আমি এই আমাকে খুঁজে ফিরি সবার মাঝে………………….. তোমাদের মধ্যে কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত মুসলমান হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার ভাইয়ের জন্য সেটাকেই পছন্দ করে যা সে নিজের জন্য ভালো মনে করে। আল-হাদিস
স্যাটালাইটের কল্যানে ডা. জাকির নায়েক বর্তমান মুসলিম বিশ্বে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আবস্থান করছেন। তার আসাধারন বুদ্ধিমত্তা আর reference সমৃদ্ধ অকাট্য যুক্তি নির্ভর বক্তৃতা তাকে করেছে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ট পন্ডিত। সমগ্র ভারতের শীর্ষ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে তার অবস্থান ৮৩তম। তার লেকচার শুধু শুনে অথবা টিভিতে দেখে ইসলাম গ্রহন করেছে এরকম উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক এই বাংলাদেশেই আছে।
কিন্তু আমাদের শ্রদ্ধেয় আলেম সমাজ তার ইসলাম প্রচারের এই পদ্ধতিকে কখনই ভালো চোখে দেখেন নি। উপমহাদেশের শ্রেষ্ট ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্টান দারুল উলুম দেওবন্দ তাদের website http://www.darulifta-deoband.org তে ডা. জাকির নায়েক সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো যে মন্তব্য করেছে তা হচ্ছে “ডা. জাকির খুব খোলা মনের মানুষ এবং সুন্নতি পোষাক ব্যবহার করে না কারও তার কথার উপর নির্ভর করা উচিত নয়”। এছাড়া বিভিন্ন জাইগায় তারা তার সম্বন্ধে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন এবং তার লেকচার না শোনার জন্য বলেছে। আমাদের দেশের তাবলিগ জামাত, জামায়েত ইসলামী বা অন্য স্ংগঠন গুলোও তার বিরুদ্ধে। আনেকে তাকে ফেতনা বলে অবহিত করেন।
তার বিরুদ্ধে আলেম সমাজের কয়েকটি অভিযোগ হচ্ছে—
->তিনি ইসলাম প্রচারের মাধ্যম হিসেবে টেলিভিশন ব্যবহার করেন । টেলিভিশন ব্যবহার ইসলামে নাযায়েজ।
->তার সেমিনার বা সিম্পজিয়ামে নারী পুরুষ একসাথে সহঅবস্থান করে।
->তিনি একজন গায়ের মুয়াক্কায়াললের এজ়েন্ট। ইত্যাদি……।
আমি ১০০% বিশ্বাস করি আমাদের আলেম সমাজ কখনো ভুল সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। আর সেটা যদি হয় “দারুল উলুম দেওবন্দ” তাহলে তো কোন কথাই নেই। কিন্তু ভারতে এমন অনেক অমুসলিম আছে যারা কখনও আলেম সমাজ়ের সান্নিধ্য পায় নি বা ইসলাম সম্বন্ধে জানার সু্যোগ হয় নি, কিন্তু টিভিতে বা IRF(Islamic research foundation)এ গিয়ে ইসলাম কি তা জেনেছে এবং ইসলাম গ্রহন করেছে এবং করছে। ডা. জাকির নায়েক না থকলে আর আল্লাহ না চাইলে যারা কখনই ইসলাম গ্রহন করত না।
এছাড়া ডা. জাকির নায়েক অনান্য ধর্মের পন্ডিতদের সাথে বিভিন্ন বিতর্কে, তাদের ধর্মগ্রন্থ দিয়েই ইসলামের সার্বজনিনতা ও সত্যতা প্রমাণ করেছেন।
ড.উইলিয়াম ক্যাম্বল নামের একজন খ্রীষ্টান পন্ডিত পবিত্র কোরআনের ৩৫ টি ভুল বের করে বই লেখেন(The Bible and Quiran In the light of History and Science) । দীর্ঘদিন যাবত কোন মুসলিম পন্ডিত তার ভুল গুলো খন্ডন করেন নি। ডা. জাকির তা করেছেন। এবং কোরআনের সত্যতাকে পশ্চিমাদের কাছে পরিস্কার করে উপস্থাপন করেছেন।
এবার আসি টেলিভিশন প্রসংগে, আমি জানি না টেলিভিশন ইসলামে জায়েজ কি না কিন্তু আমার প্রশ্ন যদি এদেশের সকল আলেম একযোগে ফতওয়া দেয় যে টেলিভিশন দেখা হারাম তাহলে কি টেলিভিশন দেখা বন্ধ হয়ে যাবে? খুব সম্ভাবত উত্তর হবে -না।
তাহলে যে জিনিস বন্ধ করা যাবে না তা দিয়ে যদি ১০% ভালো কাজও করা যায় তাতে ক্ষতি কি? ভারতের Peace tv যে কাজটি সফলতার সাথে করছে। আমাদের দেশের Islamic tv ও মোটামুটি সফলভাবেই এগিয়ে চলছে।
হতে পারে জাকির নায়েক অনেক জিনিসকে বিতর্কিত করে উপস্থাপন করেন,এক্ষেত্রে আমাদের আলেম সমাজ তার সাথে এসকল বিষয় আলোচনা করে সমাধান করতে পারেন। জাকির নায়েক তো একজন বিভিন্ন ধর্মের ছাত্র, আলেম বা মুফতি তো আর নন। আলেমদের উচিত, যারা জাকির নায়েকের কাছ থেকে ইসলাম গ্রহন করছে তাদের উপর মেহনত করে তাদের সামনে প্রকৃত ইসলামকে তুলে ধরা।
আলেমদের দৃষ্টিভঙ্গি একরম হওয়া উচিত যে, ডা. জাকির যে সব অমুসলিম লোকদের ইসলামের ভিত্তিমুলের উপর দাড় করিয়ে দেবেন আলেমরা তাদেরকে প্রকৃত মুসলমান করে গড়ে তুলবেন। তাবলিগ জামাতের দৃষ্টিভঙ্গীও এরুপ হওয়া উচিত। কারন তাবলিগ জামাতের মেহনত হয় basically মুসলমানদের উপর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।