অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া!
আজ শুক্রবার সকালে খুদেদের ক্লাশের বিষয়বন্তু ছিল প্রাক্কলন, এস্টিমেশন ও আসন্নমান, এপ্রক্সিমেশন। ক্লাশ নিয়েছে মামুন। আমি সঙ্গে ছিলাম।
আশ্চর্যজনকভাবে আমাদের সিলেবাসে এস্টিমেশন নাই আর আসন্নমানের ব্যাপারটিতে তেমন জোর দেওয়া হয়নি।
ফলে, এই দুইটি বিষয়ে আমরা যথেষ্ঠ দুর্বল। দুটোরই দরকার বাস্তব জীবনে। মামুন হোয়াইট বোর্ডের সঙ্গে প্রজেক্টর, ইন্টারনেট আর উপস্থাপনা ব্যবহার করেছে। ফলে ক্লাশ অনেকবেশি ইন্টারেকটিভ ছিল। এজন্য অবশ্য আজকে আমাদের প্রজেক্টর ধার করে আনতে হয়েছে।
ভাবছি, মাঝে মধ্যে প্রজেক্টর ধার পাওয়া গেলে ব্যবহার করবো।
মামুন শুরু করেছে একটি সাধারণ প্রশ্ন দিয়ে। একজন ক্লাশে রিকশা করে এসেছে। ও কোথা থেকে এসেছে এটা জেনে নিয়ে তার ভাড়া কত লেগেছে? এটাই অনুমান করতে দেওয়া হলো সবাইকে। একজনেরটা একবারে মিলে গেল, বাকীদের কারো কাছাকাছি হয়েছে, কারো ব্যবধান বিস্তর।
দেখাগেল ওরা অনুমান করেছে একটি ট্রাকের প্রস্ত ৩০ ফুট!
তখন তাদেরকে ফুটের হিসাবটা দেখানো হল, হোয়াইট বোর্ড মেপে দেখা গেল সেটি ৪ ফুটের মতো। তারপর বলা হল ৩০ ফুট হতে হলে এরকম হোয়াইট বোর্ড পাশাপাশি কয়টা রাখতে হবে। তারপর পাঠানো হলো রাস্তায় সেখানে ততগুলো হোয়াইড বোর্ড প্রস্থে রাখা যাবে কী না? তখনই ওরা বুজে ফেললো যে, একটি ট্রাকের প্রস্থ কখনো ৩০ ফুট হবে না!
এভাবে ক্রমশ এগিয়েছে আসন্ন মানের দিকে। ১১ কি ১০ এর কাছাকাছি না ২০ এর কাছাকাছি। এভাবে কোটির ঘর পর্যন্ত।
কেহ কেহ বুদ্ধিটা ধরে ফেললো নিজেরাই, বাকীদের একটু ধরিয়ে দিতে হলো। বুঝলো যে ঘরের জন্য কাজ করতে হবে, তার ডানদিকের প্রথম অঙ্কটিই কেবল গুরত্বপূর্ণ, বাকীগুলো নয়। যেমন ২৭৮৯ হলো ৩০০০ এর কাছে, কিন্তু ২৪৯৯ হলো ২০০০ এর কাছে।
তারপর দেখানো হলো কীভাবে আসন্নমানের গুন করা যায়।
সঙ্গে থাকলো অনুমানের একটি গেম।
শিক্ষার্থীরা খুবই মজা পেয়েছে ফলে ক্লাশ শেষ হয়েছে নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে!
কাল সুবিন আবার তার সংখ্যারেখা আর নেগেটিভ সংখ্যা নিয়ে আলাপ করবে।
জুনিয়রদের ক্লাশটা শুরু করা যায় কীনা ভাবছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।