জীবন ,সে তো পদ্ম পাতায় শিশির বিন্দু"
আওয়ামিলীগের প্রচাযন্ত্রের ,মানে আওয়ামি হোম থিয়েটারের যে ক'জন লোক Sub-Woofer হিসেবে কাজ করেন মুনতাসীর মামুন তাদের অন্যতম। একজন ইতিহাসবিদ হিসেবে তিনি অবশ্যই সবার কাছে শ্রদ্বার পাত্র এবং এ নিয়ে সন্দেহ নাই। কিন্তু কলামিস্ট হিসেবে উনার অবস্হানটা অনেকটা ব্র্যাকেটবন্দী প্রশ্নবোধক চিহ্নের মত। দলীয় লেজুড়বৃত্তি করতে গিয়ে আওয়ামিলীগের ভাল দিক গুলার জন্য উনার নিজের একটা চোখ সবসময় খোলা থাকে, আর অন্য চোখটা অন্ধভাবে সবসময় বিএনপির খারাপ দিকগুলোকে খোজে বেড়ায় যা তাঁর কলাম সৃস্টির উপকরন হিসেবে কাজ করে। দৈনিক জনকন্ঠে উনার আজকের একটা কলাম হল "জাতিকে বিভক্ত করেছে বিএনপির সামরিকতন্ত্র"।
উল্লেখ্য কলামে বরাবরের মত এবার ও তিনি বিএনপিকে তুলোধুনা করেছেন। শুধু তাই নয় , মাসখানেক আগে তিনি অন্য কোন এক কলামে বিএনপির বিরুদ্বে যে রেফারেন্স দিয়েছিলেন, অনেকটা জাবরকাটার মত সেই একই রেফারেন্স এবারও উল্লেখ করতে ভুল করেন নাই।
" ২০০১-০৬ সালের বিএনপির শাসনের কথা ভাবুন। আবারও ভাবুন। তারপর পাঠক বিচার করবেন বিএনপি-জামায়াতের আমলে গণতন্ত্র কতটা নিরাপদ।
ঐ আমল কয়েকটি বাক্যে তুলে ধরা যায়। সংবাদপত্রে পড়েছিলাম এক নিভৃত পল্লীতে রাতের অন্ধকারে বেগম জিয়ার 'সোনার ছেলেরা' গেছে এক পর্ণকুটিরে। সেখানে থাকেন এক বিধবা ও তাঁর কিশোরী কন্যা। তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার। দরজায় ধাক্কা।
বিধবা দরজা খুলে কয়েক 'সোনার ছেলে'কে দেখে বুঝে নিলেন তাদের উদ্দেশ্য। হাতজোড় করে তিনি শুধু বললেন, "বাবারা আমার মেয়েটা ছোট। তোমরা একজন একজন করে এসো। সবাই এক সঙ্গে নয়। "
কোন অনৈতিক কাজকে সমর্থন করা কোন রুচিবান লোকের মানায় না।
সেটা তার নিজ দলের বিপক্ষে গেলেও। বিএনপির ছেলেরা যদি এমন কোন কাজ করে থাকে তাহলে অবশ্যই তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত। অথচ মামুন সাহেব যেভাবে উনার তর্জনী বিএনপির দিকে উচিয়েছেন, সেটা কি কখনো উনার নিজের দলের বিরুদ্বে করেছেন? দেশের মানুষ এখনো (৯৬-২০০১ সালে) জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামি ক্যাডার জসীম উদ্দিন মানিকের নাম ভুলে নাই। ধর্ষণে সেন্চুরী করে যে সবাইকে মিষ্টিমুখ করিয়েছিল। এমন একটা জঘন্য কাজ করার ফলে সে তো ভার্সিটি থেক বহিস্কার হয়ই নাই :সেই সেন্চুরীর "ম্যান অব দ্য ম্যাচ" স্বরুপ সরকার তাকে একই ভার্সিটিতে পুরস্কার হিসেবে চাকরী দিয়ে সেসব ধর্ষিতা মেয়েদেরকে বৃদ্বাঙ্গুলিও প্রদর্শন করেছিল।
সাম্প্রতিক সময়ের ইডেন কেলেংকারীর কথা না হয় নাইবা বললাম। এখন কথা হল, এসব তথাকথিত বুদ্বিজীবিরা অন্যের দোষ খোজার জন্য অনুবীক্ষণ যন্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ান। আর নিজেদের সোনার ছেলেরা যখন একটার পর একটা অপকর্ম করে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ায়,তখন মামুন সাহেবরা মুখে কুলুপ এঁটে দেখেও না দেখার ভাণ করেন। এটা কোন ধরনের মানসিকতা?
জন্ডিসে আক্রান্ত রোগীরা চোখে সবকিছু হলদে রঙের দেখে। তবে ক্ষেত্রবিশেষে বোধ হয় নিজের দিকটা সবুজ হয়ে যায়।
তেমনই একজন লোক হলেন মুনতাসীর মামুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।