কালহরণের কোন সুযোগই নেই। কারণ সরকারী কাজে ফাইল কচ্ছপ-গতিতে এক টেবিল থেকে আরেক টেবিলে গেলেও নদী কিন্তু তার জন্য ভাঙন থামিয়ে দেয় না। পদ্মা যেভাবে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত কুষ্ঠিয়ার শিলাইদহের কুঠিবাড়ির দিকে সর্বগ্রাসা হা মেলে ধেয়ে আসছে, তাতে যে কোন মূহূর্তে কুঠিবাড়ি পদ্মাগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। আর তা হলে এই জাতিকে কোনদিনই বিশ্বসভ্যতা ক্ষমা করবে না। সুতরাং অবিলম্বে কুঠিবাড়ী রক্ষণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণে কাজ শুরু করার কোন বিকল্পই সরকারের হাতে নেই। জানি, প্রচলিত পথে না এগুলে অনেক টাকাই নয়-ছয় হতে পারে কিন্তু তা বলে সময়ক্ষেপণের কোন সুযোগই নেই। প্রচলিত পথে হেঁটেও ত সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী থেকে শুরু করে বহু নেতা-পাতিনেতা টাকার নয়-ছয় করে নিজেদের পকেট ভারী করে, সুতরাং ঐ কুঠবাড়ী রক্ষণ করতে গিয়ে যদি কোন অসচ্চরিত্র বদমাশ নেতা-পাতিনেতা, সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারী টাকার নয়-ছয় করে, পরেও তা হিসেব করে আদায়ের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে কিন্তু কুঠিবাড়ি হারানো মেনে নেওয়া যাবে না।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।