লেখক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
দূর্নীতিবাজ-মাফিয়া-সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার হতে দেখে ভালোই লাগছে। গ্রেফতারকৃত ১৫ জনের সবাই স্বনামধন্য। কাউকেই আলাদা করে চিনিয়ে দিতে হয় না। তবে বেবাক সন্ত্রাসতো আর মোটে এই ১৫জন করেনি, আরো লোক আছে। আশা করবো সকলেই ধরা পড়বেন।
পাশাপাশি এটাও আশা করবো যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তার মূল র্কতব্য যেন কোনমতেই বিস্মৃত না হন। তাদের মূল র্কতব্য নির্বাচন অনুষ্ঠান, এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দায় নির্বাচিত সরকারের। নির্বাচিত সরকার সেখানে গাফিলতি করলে রুখে দাঁড়াবার দায় জনগণের। কাগজে/কলমে হলেও গণপ্রজাতন্ত্র শব্দটা হরদম ব্যবহার করছেন যে র্কতৃপক্ষ, তাকে প্রজার কাছে দায়বদ্ধ হতে হবে বৈকি।
যাদের গ্রেফতার করা হলো এবং আরো যাদের গ্রেফতার করা হবে তাদের সকলের শাস্তি নিশ্চিত করে তারপরে নির্বাচন - সরকার যদি এমনটা ভেবে থাকেন তবে তো মুশকিল । এতে ১৯৯০ এ যে গণপ্রতিনিধিত্বশীল শাসনের পূর্ণজন্ম হলো তাকে ঠান্ডা মাথায় গলাটিপে মারা হবে। দূর্নীতি বা সন্ত্রাসের মতো গভীর ব্যধি রবিনহুড ধরনের টোটকা চিকিৎসায় সারবার নয়। বিষয়টা ব্যপক। নির্বাচিত সরকারকে দূর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে বাধ্য করতে হবে।
বিচার বিভাগকে পুরোপুরি স্বায়ত্বশাসিত করতে হবে যাতে মোড়ের চা বিক্রেতাও প্রধাণমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা ঠুকতে পারেন। এই প্রক্রিয়াটি গণপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে কার্যকর করতে হবে। তা না হলে এইসব গ্রেফতারের ঘটনা একধরণের স্টান্টবাজী হয়ে থাকবে। পৃথিবীর কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই প্রধাণ রাজনৈতিক দলগুলো পূত/পবীত্র নয়। তবে জনগণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয় বলে তাদেরকে অবিরাম সৃষ্টিশীল হতে হয়।
নিয়মিত নির্বাচন অনুষ্ঠান এর একমাত্র সমাধান না হলেও গুরুত্বপূর্ণ পূর্বর্শত। নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরির্বতনের দায় জনগণ এর হাতে না থাকলে দূর্ণীতিদমন সম্ভব না বলেই মনে হয় । এটা আমার ব্যক্তিগত অনুভুতি। অপরাধী গ্রেফতারের বিরোধীতা করছিনা কোনমতেই- বরং স্বাগত জানাচ্ছি সরকারকে। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেন তাঁর মূল দায়িত্ব নির্বাচন অনুষ্ঠানকে ভুলে না যান এই কামনাই থাকবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।