Everything in the world has an expirary date, even relationship.
বেশি দিন আগের কথা না ...... ১৯ কি ২০ এপ্রিল, ২০১০ ... পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশে হয়ে গেলেও ব্যস্ততার কারণে আমরা তা এখানে সেলিব্রেট করতে পারি নাই। এমন সময় খবর এলো এখানে(ইংল্যান্ড) গ্রেট হর্টন চার্চ ক্রিকেট ক্লাবে আমাদের পহেলা বৈশাখ পালন করা হবে। আর সেই-দিন দিতে হবে অগ্নি-পরীক্ষা, ক্রিকেট ম্যাচ হবে আমাদের সাথে তাদের। আমরা ইংল্যান্ডে প্রায় নতুন, মাইয়াগুলা বাদ দিয়া টোটাল ১৪ জন(কেউ ছাত্র, কেউ শিক্ষক) আছি। এর আগে সবাই ঢাকায় থাকতাম, মাঠের অভাবে ক্রিকেট খেলিনা ৪-৫ বছর হয়ে যায়।
আর আমাদের অপোজিশন হলো এখানকার শিক্ষক সহ কিছু লোকাল ব্রিটিশ-বাংগালি পোলাপাইন(কলেজ লেভেলে খেলে, ক্লাবে খেলে, কাউন্টিতে খেলবে .. আরো কতো কি !!!! )।
হাতে সময় ৫ দিন, না জিতলে বাংলাদেশের মান-সম্মান শেষ। ব্যাট-বল-স্ট্যাম্প নগদে কেনা হইলো। বিকাল বেলা শুরু হলো নিজেদের মধ্যে প্রাকটিস। সাথে কিছু নেপালী(#) আর পাকিস্তানি(##) পোলাপাইন যোগ দিলো প্রাকটিসে।
গাঁও-গেরামের পোলা আমি, অল্প কয়দিনের প্রাকটিসে ফিরে পাইলাম সেই পুরাতন ব্যাটিং ফর্ম। সবার উন্নতি হইলো অনেক দ্রুত।
# নেপালী পোলাপাইনরা যে ভালো ক্রিকেট খেলে এটা আগে বিশ্বাস করতাম না। এখন দেখি, এদের ৬ টা পোলার মধ্যে ২ টা পোলাই জিনুইন পেসার।
# পাকিস্তানি যে ৩ জন ছিলো তারাও অনেক ভালো খেলে।
আর খুব ভালো লাগছিলো যেদিন তারা বলছিল যে, তারা ইয়ং জেনারেশনরা ১৯৭১ এর বিষয়ে মন থেকে খুব লজ্জিত ও দুঃখিত।
তো যাই হোক, তাগো দিয়া তো আর কাম নাই। মেইন ম্যাচে তো আর তারা খেলতে পারবো না। ম্যাচ হইবো আমাগো বাংলাদেশ vs ইংল্যান্ড। ২৫ তারিখে আমরা বাংলাদেশীরা চইলা আইলাম খেলার মাঠে।
খেলার ফলাফল পরে কইতাছি, আগে খেলার কয়েকটা ফটু দেখেন ----
আমাগো বাংলাদেশীদের টীম মিটিং অ্যান্ড গেম প্লানিং:
আমাগো ব্যাটসম্যান রাফি ভাই এর ব্যাটিং:
ম্যাচ চলাকালীন অবস্থা:
এইডা কেউ না, এইডা আমি ( এই বলে ৪ মারছিলাম )
আমাগো রান তখন ২১/০ ... বাংলাদেশ ন্যাশনাল টীম হইলে এতোক্ষনে ইমরুল আর আশরাফুল আউট হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না ....
আমাগো বোলার ইলিয়াস ভাইয়ের দুর্দান্ত বোলিং ...
ম্যাচের রেজাল্ট কই এবার। আমরা ২০ রানে জিতছি। জেতার জন্য টার্গেট নিয়া মাঠে নামছি, দেশের জন্য খেলছি। উপরে আল্লাহ ছিলো। নিচে দেশপ্রেম আর টীম-স্পিরিট ছিলো আমাদের সাথে।
বাংলাদেশ টীমরে এখন একটা কথাই কইতে চাই। আরে বাপ, আমরা যদি মাত্র ৫ দিন প্রাকটিস কইরা শুধু দেশপ্রেম আর টীম-স্পিরিটের জোরে এখানকার প্রাকটিস করা পোলাপাইনদের হারাতে পারি, তোরা ক্যান পারবি না। একটা দেশের ১৫ কোটি মানুষ যখন কাজ-কাম থুইয়া তোগো খেলা দেখে, তখন তোরা কিভাবে উল্টা-পাল্টা শট খেলে আউট হস। শুনছি অষ্ট্রেলিয়ার একেকটা প্লেয়ার যখন দিনে ১৪ ঘন্টা ক্রিকেট প্রাকটিস করে। তখন তোরা কোন হিসাবে দেশের মানুষের রক্ত পানি করা টাকা দিয়ে বিদেশে শপিং করে আর সাইট-সিয়িং করে সময় নষ্ট করিস।
দেশের মানুষদের কথা চিন্তা করে তোরা একটু বেশি প্রাকটিস কেন করিস না, দেশের কথা চিন্তা করে একটু ভালোভাবে কেন খেলিস না।
একটা চরম সত্যি কথা কই, আমাগো দেশের যেকোন সুস্থ-স্বাভাবিক পোলা যদি টানা ৫-৭ বছর একটু ভালোভাবে ক্রিকেট প্রাকটিস করে, তাহলে তারাও ইমরুল-আশরাফুল-আফতাবগো মতো প্রতি ৫-১০ ম্যাচে ১ টা কইরা ৫০+ মারতে পারবো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।