আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিমুলের পায়ুপথ আবিস্কার...

সবাইকে শুভেচ্ছা...

আজকে সব কটা দৈনিক বন্ধ, এ জন্যে অনেকের চোখেই হয়ত খবরটা পড়বে না। আর পড়লেও এ নিয়ে উচ্চবাচ্য করার মত শক্তি ও ধৈর্য আমাদের অবশিষ্ট আছে বলে মনে হয়না। যে সমাজে গন ধর্ষণের মত মেগা অন্যায়কে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় হতে লালন করা হয় সেখানে এ খবরটা কতটুকু দৃষ্টি আকর্ষণের দাবি রাখে এ নিয়ে প্রশ্ন করা যায়। বাংলাদেশের কনটেক্সটে এটা এমন কোন খবর নয়, কারণ এ ধরণের খবর প্রতি মুহূর্তে তৈরী হচ্ছে কোথাও না কোথাও। বিডিনিউজ২৪'এর মুখ থেকেই শোনা যাক আসল ঘটনাটাঃ গৃহকর্ত্রীর নির্যাতনে গাজীপুরের এক গৃহকর্মী মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে হাসপাতালে।

গৃহকর্মী শিমুল (১১) পুলিশকে জানায়, টঙ্গীর মধ্য আরিচপুরে ঘর গোছাতে গিয়ে সে গত বুধবার একটি ফুলদানি ভেঙে ফেলে। এ কারণে গৃহকর্ত্রী মাহফুজা আক্তার সোমা তার (শিমু) পায়ু পথে গরম খুন্তি ঢুকিয়ে দেন। এতে শিমুল গুরুতর আহত হলেও চিকিৎসা না দিয়ে ঘরে রেখে দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে পায়খানা-প্রস্রাব বন্ধ হয়ে পেট ফুলে গেলে শুক্রবার রাতে তাকে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে চলে যান গৃহকর্ত্রী সোমা। রাতেই গৃহকর্ত্রী সোমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমা গরম খুন্তি ঢুকিয়ে দেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, খেলতে গিয়ে শিমুরের পায়ু পথে কঞ্চি ঢুকেছিল। পাঠক, এখানে কে সত্য কথা বলছে আশাকরি তা আংগুল উচিয়ে দেখাতে হবেনা। অপ্রাপ্তবয়স্ক এসব গৃহকর্মীদের উপর মনিব-মনিবানদের অমানুষিক আচরণ অনেকটা সাংস্কৃতিতে পরিনত হয়ে গেছে আমাদের সমাজে। ওরা অন্যায় করলে শাস্তি পাবে এবং তা হতে হবে পৈশাচিক ও নির্মম। গৃহকত্রী সোমার পরিণতি কি হবে তা আমাদের সকলেরই জানা।

অর্থ ও প্রতিপত্তির জোড়ে উনি স্বসন্মানে বেরিয়ে আসবেন জেল-হাজত নামের বিশ্রামাগার হতে। এ নিয়ে স্থানীয় পুলিশ দারোগা ও সাংবাদিক সমাজও কামিয়ে নেবেন বেশ কিছু নগদ নারায়ণ। শেষ পর্যন্ত শিমুর উপর দোষ চাপিয়ে থানার বড়কর্তা লিখে দেবেন বিশাল এক ফাইনাল রিপোর্ট। সব কিছু শান্ত হয়ে আসবে সবার অগোচরে। শাস্তিটা এমন হলে কেমন হয়।

শিমুলের বয়স ১১। আর ২/১ বছরের মধ্যেই তার কাছে পরিষ্কার হবে শারীরিক মিলনের কলকাঠি গুলো। আইনের করে শিমুকে সুযোগ করে দেয়া হোক গৃহকর্ত্রীর পায়ুপথ আবিষ্কারের। কোন পথে তা আবিষ্কৃত হবে তার ভার ছেড়ে দেয়া হোক তরুণ শিমুর উপর। ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়, সোমা নামের এসব নরপশুদের মাঝে মধ্যে তা মনে করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন আছে।

আমি বাংলাদেশী

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।