তোমার শরীরের দিকে চাও, মগ্ন হও একবার তোমার শরীরের পানে, কবিতারা ওখানে বসবাস করে অহোনিশি
:: হ্যালো মাধবীলতা, নীল বলছি। কেমন আছো তুমি?
: হুম ভালো।
:: শুধু ভালো
:ভালো, শুধু ভালোই। তুমি কেমন?
:: এইতো চলছে। চলতে চলতে অসীমের দিকে যাত্রা...
: কি করা হচ্ছে আজকাল?
:: কিছুই না।
দেশে দেশে ঘুরাঘুরি, মন না টিকলে স্বদেশে ফেরা।
: আর
:: আর কি
: আর কি করো
:: তোমেদের সুখী সুখী মুখ দেখতে মন চায় মাঝে মাঝে। তাই এই ওবেলায় ফোন।
: আসোনা একদিন
:: কোথায়?
: আ মাদের এখানে
:: কেন
: এমনি
:: সুজন কি বলবে
: কিছুই বলবে না
:: ওর সমস্যা হবে
: হলে হবে
:: না সম্ভব নয়
: কেন সম্ভব নয়
:: এমনি
: তার মানে তুমি আসবে না তাইতো?
:: না মানে সমস্যা হবে আসলে
: কার হবে সমস্যাটা
:: তোমার
: আমার হলে হবে, আসো
:: না আসবো না
: ফোন করবে না তাহলে
:: ঠিক আছে, করবো না। ওকে, বাই ই.....
: হ্যালো নীল নীল নীইইল.........
হ্যালো....ও...ও....ও...ও
অনেক বছর পর একদিন দেবদাস মার্কা একখান চিঠি পায় মাধবীলতা।
লিখেছে সে আর কোনদিন দেশে ফিরবে না। ক্ষমা চেয়েছে মাধবীলতার কাছে অনেকবার। এবং মাধবীলতার সুখী জীবনের কামনায় সে আর কোনদিন এসে দাঁড়াবে না তার সামনে অথবা ফোনে কোনদিন ডিস্টার্ব করবেনা।
আরও অনেক বছর পরে নীলও একটা চিঠি পায় সুজনের (মাধবীলতার স্বামী)----মাধবীলতা পাগলা গারদে। মানসিক বিকারগ্রস্থ সে এখন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।