"পসার বিকিয়ে চলি জগৎ ফুটপাতে, সন্ধ্যাকালে ফিরে আসি প্রিয়ার মালা হাতে"
কথোপকথন
: দেখো দেখো, আকাশের তারাটা খসে পড়লো!
: তুমি কী কিছু চাইলে?
: খসে পড়া তারার কাছে চাইলে বুঝি সবকিছু পাওয়া যায়?
: তা জানিনা! তবে লোক মুখে তেমনটাই শুনি।
: তুমি কি কিছু চাইলে?
: নাহ্। কিছু চাইবার মতো সময় পাইনি।
: কেন? তা কেন? কিছু চাইলেই পারতে!
: তুমি আমার পাশে থাকলে আমি অন্যকিছু চাইনা!
: বাব্বা! তাই বুঝি! আমি কিন্তু চেয়েছি।
: চাইতেই পারো।
কারণ আমার মতো তুমি আমাতে তেমন মগ্ন নও।
: তুমি এতো কিছু বুঝো!
: না বুঝে উপায় কী! তোমাকে আমি অনেকের চাইতে ভাল চিনি।
: সত্যিই কি তুমি আমাকে চেনো? কোন ছেলে কী কোন মেয়েকে তেমন করে চিনতে পারে?
: পারে হয়তো। আমি অন্তত পারি। তোমাকে চিনতে ভুল হবার কথা নয়।
: ভুল ধারণা। এটা তোমার এক ধরণের আত্মতৃপ্তি। ঠিক অহংকার বলছিনা।
: কেন! হঠাৎ একথা বলছো কেন? আমি কি তোমাকে চিনতে ভুল করেছি?
: চিনতে ভুল করেছো কিনা জানিনা, তবে আমার মনের সব কথা তুমি জানোনা।
: আচ্ছা, তুমি কি আমাকে বিশ্বাস করো?
: করি।
একটা পর্যায় পর্যন্ত তোমাকে বিশ্বাস করি। করতেই হয়।
: ঠিক বুঝলাম না। বিশ্বাসের আবার কোন পর্যায় আছে নাকি?
: কেন থাকবেনা? আজ তোমার আমার সম্পর্ক শুধুইতো প্রেমের। সেখানে ভালবাসা কতটুকু আছে কে জানে?
: তুমি কি মনে করোনা- আমি তোমাকে ভালবাসি?
: মনে করি।
তবে ভালবাসার চাইতে ভাললাগাটাই এখন প্রবল।
: ভাললাগা থেকেইতো ভালবাসার জন্ম।
: সেটা জানি। আর সেখানেইতো আমার ভয়!
: মানে!
: মানে হলো, আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাললাগা থেকেইতো আজকের এই ভালবাসা। আজ আমরা দুজনেই প্রেমে অন্ধ।
তাই তোমার কাছে আমার এটা ভাল, আমার ওটা ভাল। আমার সব ভালগুলো তোমার চোখের সামনে হাজির। তুমি আজ খারাপ কিছুই দেখছো না।
: খারাপ কিছু আছে নাকি?
: অবশ্যই আছে। তুমি প্রেমে অন্ধ না হলে আমার অনেক কিছুই খারাপ দেখতে পেতে।
: যেমন!
: যেমন- আমি শ্যামলা, কালোই বলতে পারো। আমার বাবা তেমন বড়লোক নয়। বিয়ের সময় আমাকে হয়তো কিছুই দিতে পারবেনা। আমি ছাত্রী হিসেবেও মোটামুটি সাধারণ, ভবিষ্যতে ভাল কোন চাকরি পাবো কিনা জানিনা। আমার অনেক আত্মীয় স্বজন, অনেক সময় তোমাকে হয়তো ওদের মুখোমুখি দাঁড়াতে হতে পারে, আরো কত কিছু!
: তুমি অতো ভাবো কেন বলতো!
: আমি যে মেয়ে, আমাকে ভাবতেই হয়।
কারণ একদিন তোমার এই ছোট ছোট ভাললাগাগুলো হারিয়ে গেলে আমি যে একেবারে নিঃস্ব হয়ে যাবো।
: কেন হারাবে? হারাতে দিলেতো!
: হারাতেই পারে। মানুষের মনতো বদলাতেই পারে। কারণ বিয়ের পর তুমি হয়তো বলবে আমার রান্না ভালোনা, আমি কোন কিছু গুছিয়ে রাখতে পারিনা, ঠিকমতো তোমার সেবা-যত্ন করতে পারিনা। তোমার বাবা-মা’র প্রতি আমি তেমন খেয়াল রাখতে পারিনা।
আরো কত কী!
: বিয়ের আগে এসব ভেবে লাভ কি? খামাখা! মুডটাই কেমন অফ হয়ে গেল।
: বুঝতে পারছি। আর সেজন্যেই খসে পড়া তারার কাছে কিছু চাইলাম।
: কি চাইলে?
: চাইলাম, অকারণে তুমি যেন আমাকে ভুল না বুঝো। আমি যেন তোমার মনের মতো হতে পারি।
: তবেতো আমারো কিছু চাওয়া দরকার ছিল।
: কি চাইতে?
: চাইতাম, হে ঈশ্বর মেয়েদের মন বুঝার মতো ক্ষমতা আমাকে দিও।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।