ভাগাড়ের তেলাপোকা চলল সমুদ্র দেখতে মুখোমুখি ফ্ল্যাট
একজন সিঁড়িতে, একজন দরজায়
: আপনার যাচ্ছেন বুঝি ?
: চলে যাচ্ছি, মালপত্র উঠে গেছে সব।
: বছর দুয়েক হল, তাই নয় ?
: তারো বেশি। আপনার ডাক নাম শানু, ভালো নাম ?
: শাহানা, আপনার ?
: মাবু।
: জানি।
: মাহবুব হোসেন।
আপনি খুব ভালো সেলাই জানেন।
: কে বলেছে। আপনার তো অনার্স ফাইন্যাল, তাই নয় ?
: এবার ফাইন্যাল।
: ফিজিক্স-এ অনার্স।
: কী আশ্চর্য ! আপনি কেন ছাড়লেন হঠাৎ ?
: মা চান না।
মানে ছেলেদের সঙ্গে বসে ...
: সে যাক গে, পা সেরেছে ?
: কী করে জানলেন ?
: এই আর কি ! সেরে গেছে ?
: ও কিছু না, প্যাসেজটা পিছলে ছিল মানে ...
: সত্যি নয়। উঁচু থেকে পড়ে গিয়ে ...
: ধ্যাৎ। খাবার টেবিলে রোজ মাকে অত জ্বালানো কি ভালো।
: মা বলেছে ?
: শুনতে পাই। বছর দুয়েক হল, তাই নয়?
: তারো বেশি।
আপনার টবের গাছে ফুল এসেছে ?
: নেবেন ? না থাক। রিকসা এল, মা এলেন, যাই।
: যাই। আপনি সন্ধে বেলা ওভাবে কখনো পড়বেন না,
চোখ যাবে, যাই।
: হলুদ শার্টের মাঝখানে বোতাম নেই, লাগিয়ে নেবেন, যাই।
: যান, আপনার মা আসছেন। মা ডাকছেন, যাই।
এই কথোপকথনটি কবি আহসান হাবীবের কবিতা, নাম 'দোতলায় ল্যন্ডিং'। আমার খুব প্রিয় একটা কবিতা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।