গতকাল রাত্রে একটা ঘটনা দেখলাম। একজন PQS শান্তিনগরের সামনে মোবাইল হারালো গাড়ীতে উঠতে গিয়ে। হয়তো পকেট থেকে পড়ে গিয়েছিলো। দারোয়ান দরজা খুলে দিয়েছিল উনাকে। অল্পদূর গিয়েই উনার মনে হলো, আরে মোবাইল কই?
ফিরে এসে দারোয়ানকে দেখলো একটি গাড়ীর আড়ালে দাঁড়িয়েছে।
ডাকার পরও সামনে আসছেনা। কেমন যেন সন্দেহ হলো। কিন্তু দারোয়ান স্রেফ অস্বীকার করলো। অনেকক্ষণ প্রলোভন ও ভয় দেখানোর পরও স্বীকার করলোনা। বললো মোবাইল সে ব্যবহার করতে জানেনা।
মোবাইল নিয়ে তাই কি করবে!
পরে শুরু হলো সার্চ। দারোয়ানের দুটি পলিথিনের পোটলা ছিলো। সেগুলো সার্চ করতেই বের হলো কয়েকপার্টে বিভক্ত হারানো মোবাইলটা। যদিও সিম নেই। তারপর মাইর!!
খুব খারাপ লাগলো্।
দারোয়ান যদি চুরি করে, অল্প দামী একটা মোবাইলের লোভ সামলাতে না পারে, PQS কর্তৃপক্ষ কিভাবে চলছে এই দারোয়ানদের উপর ভরসা করে, তাদের লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পদ দারোয়ানরা পাচার বা চুরি করছেনা, তার গ্যারান্টি কই?
PQS-এ আমি প্রায়ই যাই। একটি জিনিস শুধু খেয়াল করি, এদের মালগুলো, বিশেষ করে গোশত মাছ প্রায়ই নিম্নমানের হয়। আমার মনে হয়, মালিক হয়তো ঠিকই টাকা খরচ করে, কিন্তু একটা সংঘবদ্ধ চক্র (এই দারোয়ানদের মতো) লিপ্ত টাকা মারার ধান্দায়। গত রাতে কয়েকজন PQS-এর স্টাফ দারোয়ানের হয়ে যেভাবে সাফাই গাইতে চেয়েছিলো তাতে এটা আরো মনে হয়েছে।
হয়তো সেই কারণেই শান্তিনগর ও আশেপাশের এলাকায় সর্বপ্রথম সুপারস্টোর হয়েও PQS সুনামের পরিবর্তে ক্রমাগত কাস্টমার হারাচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।