আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাফুফে - রক্ষক যখন ভক্ষক

অসুস্থ নগরে একটু সুস্থতার খোঁজে ...........

হঠাৎ করে ৯ তারিখ রাতে গোলটেবিল বৈঠক করে বাফুফে বিদায় করে দিল ব্রাজিলীয় কোচ ডিডোকে । আরেকজন বিদেশীকে তাড়ালো তারা । পারেননি ম্যারাডোনার দেশের ক্রুসিয়ানী, পারলেন না পেলের দেশের ডিডোও । এটা কিন্তু রাতারাতি হয়নি, অনেক দিনের চেষ্টার ফল ডিডোর বহিষ্কারাদেশ । বাদল রায় জানালেন ডিডো কথা শুনতেন না, নিজে যা ভালো বুঝতেন করতেন ।

কোন সমঝোতায় যেতেন না । তাই তাকে রাখা সম্ভব হলো না। আচ্ছা ডিডো কি চেয়েছিলেন ? তিনি আশা করেছিলেন পেশাদারিত্ব, একটা পেশাদার ফুটবল ফেডারেশন। তিনি চাইতেন অফ সিজনেও যেন ট্রেনিং করার ব্যবস্থা থাকে, তাদের যেন মৌলিক চাহিদা পূরণে সমস্যা না হয় । আর চেয়েছিলেন নিয়ম-শৃঙ্খলা ।

এসব পূরণে দাদারা সচেষ্ট ছিলেন না। পাশাপাশি আমাদের তথাকথিত সেরা ফুটবলাররাও আরামপ্রিয়, তারাও পরিশ্রম করতে চান না। যা কোচের মানসিকতার বিপরীত । যারা ফুটবল দেখেন তারা নিশ্চয় জানেন ফিটনেস কত প্রয়োজন ফুটবল খেলার জন্য । আর আমরা বাংলাদেশের খেলার সময় দেখি দ্বিতীয় অর্ধে দৌড়াতে পারে না তারা ।

যাদের নতুন করে ফিটনেস লেভেল বাড়ানো সম্ভব নয়। তাই তাদের বাদ দিয়ে তরুনদের নিতে সমস্যা কি? ডিডো তাই চেয়েছিলেন, কিন্তু বাধা ফেডারেশন । তারা দেশের জন্য বিদেশীদের গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে বেশ পটু । আচ্ছা তাহলে দেশের ফুটবলের এ হাল কেন ? যে মালদ্বীপকে আমরা হেসে খেলে হারাতাম তাদের কাছে আমাদের হারতে হয় । তাহলে কি আমরা বলতে পারি বাদল রায়দের ফুটবল পলিসিটা ভুল ? তারা তো দেশের সম্মান নিয়ে ভাবেন, তাহলে জেলায় জেলায় ফুটবল চর্চা হয়না কেন ? সৎ সাহস থাকলে অনেক কিছু করা সম্ভব, আবেগ দিয়ে পেশাদার হওয়া যায় না।

এসব বাদল রায়রা ফুটবলকে নিয়ে গেছেন আইসিইউতে । সেখান থেকে বাঁচাতে দরকার সালাউদ্দীনের মত ব্যাক্তিত্বদের, একজন দিয়ে হবে না । তিনি বলেছেন ১৭ জনের মধ্যে একজন ডিডোর পক্ষে, তিনি সালাউদ্দীন নিজে । তাহলে বুঝুন বাফুফের অবস্থা । এদের দিয়ে আর যাই হোক ফুটবলের উন্নয়ন হবে না।

আমি মনে প্রাণে চাই এবার বাংলাদেশ খারাপ করুক, তখন কর্মকর্তারা কি বলবেন দেখার খুব ইচ্ছা । আর ভালো করলে আমরাই ডিডোকে গালাগাল করব, ভুলে যাব বাফুফের কূটচাল । যা ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে না মোটেও । এখন দেখার পালা, ফুটবলের কোমায় থাকাটা দীর্ঘায়িত হবে নাকি তা জেগে উঠবে নতুন জীবনি শক্তি নিয়ে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.