ডুবোজ্বর

০১. একটি ধনেশপাখি শহরতলির টেলিগ্রাফের তারে বসে যাবতীয় কর্তৃত্ব গ্রহণ করার পর তারা পাখিটির অধীনে উন্নতি লাভ করতে শুরু করি। গানের শব্দের মতো এইখানে আধিক্য রাজত্ব করে। এখানকার বণিকদের একটি শ্রেণি আছে-- তারা এইটি করতে সমর্থ হতে পারে, তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে দ্বিতীয় প্রকৃতি এবং অন্যজীবনের একটি রাস্তা গঠিত হয়। আর আমি উদ্ভটচোখে পাখিটির কর্তৃত্ব গ্রহণ করতে বিস্তারিত হই। ০২. শহরতলিতে রাত্রি খোলছে তার অন্ধকার নখর আর রূপালি বিভ্রম।

আর তাই তারা একটি নতুন আলো ক্রয় করে। আর অন্যান্যরা খুব দুর্বল। তারা আঁধারে যে কোনো বাতি ব্যতীত বিছানার দিকে প্রত্যাগত। প্রার্থনা করতে করতে স্মরণ করে, আমার ঈশ্বর, আমি এবং শান্তি প্রয়োজন। নিজে সঠিকভাবে ছিন্ন করার পূর্বে আমি শান্তি প্রয়োজনবোধ করি।

০৩. কেউ অন্য বিছানাতে, কারো পেট ঘুমোয়, কারো বৃত্তান্ত বালিশের বিরুদ্ধে, কারো বাহু অসমতল খড়ের শয্যায় বিলাপিত এবং পা, ভাসমান ঝুল। কেউ একটি মুখমণ্ডল ভোগদখল করে এবং কারো হাত সংস্থাপনপ্রবণ রূপরেখায় কেটে ফেলা বাহির। ০৪. তার উলঙ্গ সংস্থান একটি খোলা গাছ ভাগাভাগি করে দুঃখ দেখতে পারে। সে হিশেবে তার ফতুয়ার ভিতর ত্বক গচ্ছিত রাখে, তার পিছনের পেশি এবং শীতল জামাকাপড়ের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করে। সে আর্দ্র মূলের সঙ্গে একটি কলাকে প্রকট করে এবং সেখানে শুরু হয় দাঁড়ানো।

সে তার মুখে এর স্বাদ ভাঁজ করে রাখতে পারে। এর সঙ্গে মিশ্রিত করে তার জিহ্বা এবং সান্ত্বনা। সে বাহিরে একবার আরও বেশি ডাক দেয়, মধ্যাহ্নভোজের পূর্বে অন্তত তার স্বরাক্রান্ত রাত্রি প্রস্তুত এবং রাস্তার ভাঙা লাইন অনুসরণ করতে শুরু করে। ০৫. পাখিপতি একটি বীজ দেয় যেটি সে আর্দ্র বুনিবন্ধের মধ্যে দিয়ে প্রায় দৃশ্যমান। একটি অবসন্ন আন্দোলন তাকে ভুল করে এবং কালো চুলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করে, নৃত্যরত চিল এবং তাকে একটি সহজ বসন দ্বারা ঢাকা দেয়া হয়।

তার মৃত্যুতে ধনেশ কাঁদে কারণ সে পাখিবীজ ধারণ করেছিলো। এইদিন পাথরের একটি য় ল্য করা হয়। মৃত একটি ঘৃণা তার মুক্ত হাত উত্তোলন করে এবং ঠোঁটে কম্পন বুনে। সে হিশেবে তাকে জীবনযাপন চুম্বন উষ্ণ ইত্যকার ভব্যতা অনুভব করতে পারে যদি ইহা একটি ভেড়ার আর্দ্র ত্বক দ্বারা ঢেকে দেয়া হয়। ০৬. শেষ পতন আর কুশীলব যখন বিদ্যালয়ে কর্ম সম্পাদন করে নি, একটি আসনও বাড়িতে থাকে নি-- কার্যকারিতা মূল্য তেরো টুকরোর জন্য যদিও একটি বাকশো এবং সমস্ত টিকিট ছিল।

যা যোগ করতে পুরনো গাহর্স্থ্যবিল উত্থাপিত। এই অনুষ্ঠান শেষ মুহূর্তে পরিবর্তন করা হয়। ০৭. দর্শক একটি কাকাতুয়া, যে খেলা দেখতে একা এসেছিলো। সে জামাকাপড় ঝুলবারান্দায় মেলে দিয়েছিলো, আমি তার জন্যে ইহা ঝুলিয়েছি। ভাঁজ করার আগে সুবিধাযুক্ত পর্দা এবং তোরঙ্গ স্থাপন করে এবং তার প্রথম ঝুলবারান্দা একটি ছোট রান্নাঘরের পেছনে, যেখানে সে মাছ এবং খেলার একটি উপাত্ত সরবরাহ করেছিলো।

০৮. বনের তলদেশে দাঁড়ানো একটি গাছ এবং গাছের পাড়ে একটি বহনযোগ্য স্নানঘর দৃশ্যমতি। এর খুব ছবি প্রাচুর্য আর একটি মানুষের আত্মা। আমি জানতাম এর কোনো জন্ম ছিলো না-- যে তাকে তা দিয়েছিলো বানোয়াট জনগণ হিশেবে উদ্ভূত রঙালয়। এবং সে তুলনায় একটি বিন্দু যে অনুচ্ছেদ তৈরি করে এর ভূমিকার সঙ্গে এই গল্পটিকে তৈরি করা হয়। আসলে যখন একটি বাড়িতে পরিবহণ করা অনুষঙ্গের জন্য দুইটি কাঠের তৈরি হাতল সাধারণভাবে ধারণ করে তখন আমি ব্যক্তিগত প্রভাব সংরণ করার জন্যে প্রহননের রূপ ব্যবহার করি।

০৯. প্রতি উদ্যোগে কখন আপনাকে লাভ করে, আপনি আপনাকে দয়া করে জ্যা হিশেবে মুক্ত করে দিই। কতো গভীর উৎফুল্লতা আছে! আমাদের বিশ্রামের সঙ্গে সতর্ক ঋতু বিশেষভাবে আঁকা। ইহা দীর্ঘ সময় সমাপ্তিতে আমরা অমনযোগী সমস্ত দশম মাস, আবহাওয়া থেকে অনিশ্চিত। শরৎকাল বৃষ্টি পড়ে, বায়ু পড়ে। প্রাকৃতিকভাবে জনগণের পরিবর্তন করে।

এখন, কেবল জরুরী বসন্তকাল পর্যন্ত পা রাখা। প্রত্যেকে তার প্রয়োজন তাদের দ্বারা খুঁজে পায় এবং বাতিল করে। ১০. প্রত্যেক দিনের সঙ্গে, সকাল আছে এবং রাত্রি আছে। জনগণ উষ্ণ থাকে। গ্রহণ করে ছেড়ে চলে যাওয়া হয়, একটি ঋতু কেবল বৃদ্ধির চাহিদা: পুষ্পমন্দিরে প্রতিকৃতি নিখাদ দিনের মৃত্যুর দিকে অগ্রসর হওয়া বন্য শূকরের সন্ধ্যা সময় আগুনের দ্বারা এবং ঈশ্বরের জন্য জ্বালা হয়, একটি নতুন ঋতু আমাদের ওপর।

আরম্ভ রাত্রি, যখন থিয়েটার তাদের নতুন নাটক উপস্থাপন করে, এমনকি বাসীমুখ নতুন তারকার মতো দেখে। ভিড়ের মধ্য শূন্যতা বিনির্মাণ করে। ১১. প্রযোজক নিজে কর্ম সম্পাদন করবে বলে আমাকে ছাড়িয়ে দিলো। আমি বেমালুম ভুলে গেলাম রূপালি দর্পণ। কিছু কীট বিশ্বজনীন আবির্ভূত হতে যাকিছু করবে তার মধ্য দিয়ে আসন সংরণ করে একটি তারাতে একটি চালকের স্মৃতি।

তাদেরকে স্বীকার করা উচিত, তাদের মদ শেষ হয়। কোনো জিনিশ বা বস্তু দ্বারা বাড়ির কাজ শুরু করে দিলে তারা দ্বিতীয় মেঝেতে একটি কামরা থেকে নৃত্য বহন করে একটি অন্ধ বালিকার জন্য। ১২. রাস্তায় ঝরাফুলগুলি ঝড়োহাওয়ায় ঢেউ হচ্ছিলো, কাগজের ছুরি হাতে বিশল্যচেতন আমি তার পাশে বসেছিলাম আনমনে। মনমোহন বিকেলের পর রিকশাবাজ হচ্ছিলো রাস্তা-টাস্তা। দুইমাস তেরোদিন আগে প্রবহমান ছিলো যাকিছু সুর, তার মধ্যে ছিলো কামনা, এবং আমরা যেতে চাইছিলাম, যেখানে কোনোটিও নয়, পাশে বরাবর এই খুনসুটি হতে খুঁজে বের করবো।

১৩. বৃষ্টি নিয়ে আমার অনেক স্মৃতি, স্মৃতির ভিতর আমার অনেক বৃষ্টি। ঝুমবৃষ্টি। অনেকদিন বৃষ্টির ভিতর কাঁদে নি আমার বিষাদসুন্দর চোখ। বৃষ্টির ভিতর চোখের জল আলাদা করা যায়। মোহনায় যেমন সমুদ্র আর নদী পরস্পর পৃথক হয় একটি রেখা তৈরি করে।

----------------------------------------------------------------------- উৎসর্গপত্রিকা: প্রিয় রিসাত, ব্লগের সবচে' মেধাবী স্রষ্টাদের একজন। http://www.somewhereinblog.net/blog/resat
।