আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দরজার ওপাশে বাজছে এক্সপির বিদায়ঘন্টা

আমরা যদি না জাগি মা, কেমনে সকাল হবে...

উইন্ডোজ ৯৮ ছিল, ২০০০ ছিল, মাঝখানে ক্ষণিকের জন্য উঁকি দিয়েছিল উইন্ডোজ মিলেনিয়াম, তারও পরে মহাসমারোহে আসে উইন্ডোজ ভিস্তা, আর সর্বশেষ উইন্ডোজ সেভেন। কিন্তু একটি অপারেটিং সিস্টেম, উইন্ডোজ এক্সপির মহিমাকে কেউ ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। বলা হয়ে থাকে, এমন স্ট্যাবল, এমন ব্যবহারবান্ধব অপারেটিং সিস্টেম সম্ভবত আর আসেনি। গলা টিপে মারার আয়োজন ভিসতা আসার পর এক্সপিকে গলা টিপে মারার সব প্রস্তুতিই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। তবে বিধির বিচার, ভিসতা নিজেই মাইক্রোসফটের সর্বকালের সবচেয়ে ফ্লপ ওএসের উদাহরণ হয়ে আছে।

ভিসতার ফ্লপ হওয়া এবং লিনাক্সভিত্তিক নেটবুকের উত্থানের কারণে মাইক্রোসফট 'এক্সপি নিধন অভিযান' সাময়িক স্থগিত রাখে। সেটা অল্প সময়ের জন্যই, উইন্ডোজ সেভেন রিলিজ হওয়ার পর পুরনো নেশা আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এক্সপি যতোদিন না মরবে, উইন্ডোজ সেভেনের বিক্রি ততোদিন বাড়বে না- এ হল সরল সমীকরণ। ভিসতা ফ্লপ হওয়ার পর উইন্ডোজ সেভেনের বেলায় যেন সেই দুর্দশা নেমে না আসে, সেজন্য মাইক্রোসফট এখন অনেক সতর্ক। সতর্ক হওয়া মানেই এক্সপির ওপর খড়গ আরো কঠোর হওয়া।

মাইক্রোসফট গত বছরই পই পই করে বলে দিয়েছিল, ২০০৯ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে এক্সপির জন্য কোনো সাপোর্ট দেওয়া হবে না। উইন্ডোজ এক্সপির জন্য সিকিউরিটি প্যাচ তৈরি করা হবে আরো চার বছর, ২০১৪ সালের ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এক্সপি বন্দনা উইন্ডোজ ভিস্তা রিলিজ হওয়ার আগ পর্যন্ত সারা বিশ্বের কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে এক্সপি ব্যবহার করছিলেন। উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে, গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি ব্যবহারকারী এক্সপি ব্যবহার করছেন। যদি ভুল না হয়ে থাকে, ইন্টারনেটে আমাদের বাংলা লেখাও শুরু হয়েছিল ২০০১ সালে রিলিজ হওয়া এক্সপিকে সঙ্গী করেই।

উইন্ডোজে প্রথম বাংলা সাপোর্টও বোধহয় এক্সপিতেই পাওয়া গিয়েছিল প্রথম। উইন্ডোজ ৯৮ এ যখন-তখন সেটআপ দেওয়া নিয়ে নিত্যই যেখানে উদ্বিগ্ন থাকতে হতো, এক্সপি এসে সেই উদ্বেগ কমিয়ে দিয়েছিল অনেকখানিই। সবমিলিয়ে বলাটাই বাহুল্য, এক্সপির সঙ্গে অনেক স্মৃতি, অনেক আবেগ জড়িয়ে আছে। তবে প্রযুক্তিজগতে পুরনোর মূল্য নেই, মানুষ মনে রাখে না। সুতরাং বেশিদিন নয়, চৌকোনো মনিটরে সবুজ পাহাড় আর নীল আকাশ লুটোপুটি খাবে না আর।

এক্সপির বিদায়ঘন্টা শুনতে কি পাচ্ছেন?

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।