‘পৃথিবী’, ‘ধরিত্রী’, ‘ধরণী’ আরো যতো নামেই ডাকিনা কেন আমাদের এ আবাসভূমি আমাদের একান্তই নিজস্ব। আমাদের পৃথিবীতে আমরা যতো ভালো কাজই করিনা কেন সে দায়ভার আমাদের। যতো অন্যায়ই করিনা কেনো সে দায়ভারও আমাদের। আমাদের মনের মতো এ পৃথিবীকে আমরা সবাইতো নিজের মতো ভালোবাসি। আমি নিজে যেমন আমার পৃথিবীও সেরকম সেটাই তো স্বাভাবিক।
ঝগড়ার মধ্যে মুরুব্বী বলেছিলেন, আমার বউ আমি পিটাবো, তুমরা কারা, এহানে কি করো? আমার বউরে আমি আদর করবো, মারবো, যা খুশি তাই করবো তুমরা নাক না গলায়া বিদায় হও। তিনি তো ঠিক কথাই বলেছিলেন নিজের জিনিস নিজেরই। নিজের মতো।
এ প্যাচাল পাড়ার অর্থ হলো, আমাদের পৃথিবীর ইংরেজি ‘আর্থ’ শব্দটির উৎপত্তি কিভাবো হলো সেটি জানানোর। অনেকরই হয়তো জানা আছে, আবার কারো হয়তো মনে নেই।
আবার আমার মতো বেশ কিছু বেকুব আছে যারা কাজ না পেয়ে অন্যকে তথ্য জানিয়ে দেয় তাও জানা তথ্য তাদের জন্যও।
‘আর্থ’ এর উৎপত্তি হয়েছে ৮ শতকের অ্যাংলো-স্যাক্সন শব্দ‘ ইরডা’ থেকে । ইংরেজি বানান(ইআরডিএ)। ‘ইরডা’ অর্থ মাটি(সয়েল) বা ভূমি(গ্রাউন্ড)। পুরোনো ইংরেজিতে এ শব্দটি পরিচিত ছিলো ‘ইরোথি’(ইওআরটিএইচই) হিসেবে।
পরে মধ্যযুগের ইংরেজিতে এটি পরিচিত হয় ‘আর্থি’ (ইআরটিএইচই) হিসেবে। আর আর্থ প্রথম ব্যবহার পৃথিবীর উপরিস্তরের নাম হিসেবে ১৪০০ সালের দিকে।
আমাদের এই গ্রহই একমাত্র গ্রহ যার ইংরেজি নামের উৎপত্তি গ্রীস বা রোমান পুরাণ অনুসরণ করেনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।