আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চিকিৎসা বর্জ্য এখন মূর্তিমান বিপদ! : শেখ আনোয়ার

একজন জামাতের দালাল আমাকে খুর ক্রোধ ওপুলিশের পোশাক পরে নকল পুলিশের গাড়ি চুরি চলছেইকষ্টের সাথে বলল,ভাই এই জালিম সরকার নাস্তিক সরকার হেফাজতের অনেক কর্মীকে হত্যা করেছে

চিকিৎসা বর্জ্য এখন মূর্তিমান বিপদ! শেখ আনোয়ার চিকিৎসা ব্যবস্থা যত আধুনিক হচ্ছে ততই বাড়ছে চিকিৎসা জনিত বর্জ্যরে পরিমান। এই বর্জ্যরে একাংশ বিভিন্ন রোগের বাহক। বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, মাটি দূষণ, শব্দ দূষণ, প্লাস্টিক বর্জ্য, পানীয় সঙ্কট, গোবাল ওার্মিং , জীববৈচিত্র্যের সঙ্কট ইত্যাদি নানা সমস্যা নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়, সভা সমিতিতে আলোচনা হয়, কিন্তু চিকিৎসাজনিত বর্জ্যরে ব্যাপারে মিডিয়ার দায়সারা ভাব এবং পরিবেশবিদ ও বিজ্ঞান সংগঠনগুলোর নিরুৎসাহ, সাধারণ মানুষকে এ ব্যাপারে প্রায় অন্ধকারেই রেখেছে। উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশের জনগণের কাছে চিকিৎসজনিত বর্জ্য এখন এক মূর্তিমান বিপদ। কারণ প্রতিদিন টনটন চিকিৎসাজনিত বর্জ্য চলে আসছে বাইরে।

ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ। একবার ব্যবহারের জন্য তৈরি চিকিৎসার সরঞ্জাম পুনরায় প্যাকেট বন্ধ হয়ে আসছে বাজারে। হাসপাতালের বর্জ্যে মিলবেই হাজার ব্যবহৃত ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ও নিডল। কাগজ কুড়ানিরা ৬০-৭০ শতাংশ ব্যবহৃত ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ও নিডল সংগ্রহ করে বিক্রি করে দেয়। ওগুলোই আবার ধোঁয়া মোছার পর প্যাকেটবন্দী হয়ে চলে আসে বাজারে।

কাগজ কুড়ানিদের সংগ্রহের তালিকায় থাকা পাস্টিক ক্যাথেটার, রক্তের ব্যাগ ও ইন্ট্রাভেনাস টিউব পুন: প্রক্রিয়াকরণের পর হয়ে যায় শিশুর খাবারের প্যাকেট, দুধের, পাউডার ব্যাগ বা চকোলেটের আবরণ। কাগজ কুড়ানিদের সংগৃহীত ব্যান্ডেজ ও রক্ত পুঁজ মাখা তুলোর ঠাঁই হয় লেপ তোশক বালিশের মধ্যে। স্বল্প আয়ের লোকজন ও ফুটপাতবাসীরা এইসব শয্যাসামগ্রী ব্যবহার করে। সমস্ত ঘটনার সাথে এই কথাটা যুক্ত হবে যে সব বর্জ্যই জীবাণুমুক্ত না হয়ে হাসপাতাল থেকে বাইরে চলে আসছে। চিত্রটি কি ভয়াবহ নয়? ডিসপোজেবল সরঞ্জামের ব্যবহার ও আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োগ যেভাবে দিন দিন বাড়ছে তাতে এই বর্জ্যের বার্ষিক বৃদ্ধির হার হবে ৪ শতাংশ।

দেখা গেছে, মোট চিকিৎসাজনিত বর্জ্যরে ১০-১২ শতাংশ হল সংক্রামক। কিন্তু এই কম পরিমাণ বর্জ্যকে যদি ফেলে দেওয়ার আগে জীবাণুমুক্ত না করা হয় তা জনস্বাস্থ্যের ব্যাপক তি করতে পারে। এ থেকে ছড়াতে পারে নানা রোগ, যেগুলির মধ্যে আছে এইডস, ভাইরাস ঘটিত হেপাটাইটিস, যক্ষ্মা, ব্রঙ্কাইটিস এবং ত্বক ও চোখের রোগ উল্লেখযোগ্য। বায়োমেডিক্যাল উদ্ভূত সর্বপ্রকার দূষণ পদার্থের উৎস সরকারি হাসপাতাল, বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিং হোম, ডাক্তারের কিনিক, দন্ত চিকিৎসা কিনিক, ডিসপেনসারী, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্্র, প্রাণী সংরণ গৃহ, প্রাণী নিধনগৃহ, ল্যাবরেটরী, মেডিক্যাল গবেষণা সংস্থাসমূহ, ভ্যাকসিন কেন্দ্র, বায়ো টেকনোলজিক্যাল প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও পালস পোলিও টীকাকরণ কেন্দ্র, সংক্রামক রোগ নির্ণয় কেন্দ্র বা হাসপাতাল, ওষুধ দোকান প্রভৃতি।

এই সব সংস্থা থেকে প্রতি বছর প্রচুর বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন হয়। এক সমীা থেকে জানা গেছে- সরকারী হাসপাতাল আধা কেজি থেকে ৪ কেজি বর্জ্য পদার্থ প্রতিদিন প্রতি শয্যায় তৈরি হয়। প্রাইভেট হাসপাতালে আধা কেজি থেকে ২ কেজি, নার্সিং হোমে আধা কেজি থেকে ১ কেজি বর্জ্য উৎপন্ন হয়। একটি শহরে মোট বর্জ্য উৎপাদন হয় প্রতিদিন চলিশ টন। এভাবে শহরাঞ্চলে প্রতিদিন বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে এবং দূষিত পদার্থের বিশাল পাহাড় সৃষ্টি হয়ে চলেছে।

এগুলো ধ্বংস করা জরুরী নতুবা বিপদের সম্ভাবনা থেকে যায়। যারা দূষণ উৎপাদন, সংগ্রহ, জমায়েত করে ছড়ায়, ব্যবহার করে, পরিচর্যা করে তাদের েেত্র আইন প্রয়োগ করা প্রয়োজন। চিকিৎসা বর্জ দূষণ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে যদি দূষণ পদার্থ সমূহকে অগ্নিদগ্ধ করা হয়, রাসায়নিক পদার্থের পরিশুদ্ধি করা হয়। হাসপাতালের চত্বর বড় হলে খুব দূরে বর্জ্য পদার্থ পুঁতে ফেলা হয়। অনেক পদার্থের জীবাণুসমূহকে নিষ্ক্রিয় করে ডেলায় পরিণত করা হয়।

সিমেন্ট ও অন্যান্য পদার্থের সাথে উক্ত বর্জ্য বায়োমেডিক্যাল পদার্থকে একসাথে গোলা তৈরি করা হয়, এই মিশ্রণের অনুপাত হবে- ৬৫ শতাংশ বায়োমেডিক্যাল পরিত্যক্ত, ১৫ শতাংশ চুন বা লাইম, ১৫ শতাংশ সিমেন্ট, ৫ শতাংশ সিমেন্ট। এভাবে ডেলা পাকালে সব জীবাণু ও অন্যান্য পদার্থ মিশে গিয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে, যদি হাসপাতাল বা মিউনিসিপ্যালিটির জায়গা কম থাকে, তখন বর্জ্য পদার্থকে বহুদূরে প্রথিত করা হয়। অস্বচ্ছ প্লাস্টিক ব্যাগ পুড়িয়ে ফেলতে হবে, শেষে মাটিতে গর্ত করে ছাইসহ পুঁতে দিতে হবে। ইদানিংকালেই পরিবেশ দূষণের একটা বৃহৎ অংশ চিকিৎসা বিষয়ের সাথে জড়িয়ে আছে। সাধারণ নাগরিক এ ব্যাপারে সাহায্য করলে বায়োমেডিক্যাল দূষণের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে।

সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, হাসপাতাল কর্তৃপ ও জনসাধারণ সচেষ্ট হলে এসব দূষণকে ঠেকানো সম্ভব। ধানমন্ডি, ঢাকা। ০১৭২০১৯৪১১০ শেখ আনোয়ার চিকিৎসা ব্যবস্থা যত আধুনিক হচ্ছে ততই বাড়ছে চিকিৎসা জনিত বর্জ্যরে পরিমান। এই বর্জ্যরে একাংশ বিভিন্ন রোগের বাহক। বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, মাটি দূষণ, শব্দ দূষণ, প্লাস্টিক বর্জ্য, পানীয় সঙ্কট, গোবাল ওার্মিং , জীববৈচিত্র্যের সঙ্কট ইত্যাদি নানা সমস্যা নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়, সভা সমিতিতে আলোচনা হয়, কিন্তু চিকিৎসাজনিত বর্জ্যরে ব্যাপারে মিডিয়ার দায়সারা ভাব এবং পরিবেশবিদ ও বিজ্ঞান সংগঠনগুলোর নিরুৎসাহ, সাধারণ মানুষকে এ ব্যাপারে প্রায় অন্ধকারেই রেখেছে।

উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশের জনগণের কাছে চিকিৎসজনিত বর্জ্য এখন এক মূর্তিমান বিপদ। কারণ প্রতিদিন টনটন চিকিৎসাজনিত বর্জ্য চলে আসছে বাইরে। ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ। একবার ব্যবহারের জন্য তৈরি চিকিৎসার সরঞ্জাম পুনরায় প্যাকেট বন্ধ হয়ে আসছে বাজারে। হাসপাতালের বর্জ্যে মিলবেই হাজার ব্যবহৃত ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ও নিডল।

কাগজ কুড়ানিরা ৬০-৭০ শতাংশ ব্যবহৃত ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ও নিডল সংগ্রহ করে বিক্রি করে দেয়। ওগুলোই আবার ধোঁয়া মোছার পর প্যাকেটবন্দী হয়ে চলে আসে বাজারে। কাগজ কুড়ানিদের সংগ্রহের তালিকায় থাকা পাস্টিক ক্যাথেটার, রক্তের ব্যাগ ও ইন্ট্রাভেনাস টিউব পুন: প্রক্রিয়াকরণের পর হয়ে যায় শিশুর খাবারের প্যাকেট, দুধের, পাউডার ব্যাগ বা চকোলেটের আবরণ। কাগজ কুড়ানিদের সংগৃহীত ব্যান্ডেজ ও রক্ত পুঁজ মাখা তুলোর ঠাঁই হয় লেপ তোশক বালিশের মধ্যে। স্বল্প আয়ের লোকজন ও ফুটপাতবাসীরা এইসব শয্যাসামগ্রী ব্যবহার করে।

সমস্ত ঘটনার সাথে এই কথাটা যুক্ত হবে যে সব বর্জ্যই জীবাণুমুক্ত না হয়ে হাসপাতাল থেকে বাইরে চলে আসছে। চিত্রটি কি ভয়াবহ নয়? ডিসপোজেবল সরঞ্জামের ব্যবহার ও আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োগ যেভাবে দিন দিন বাড়ছে তাতে এই বর্জ্যের বার্ষিক বৃদ্ধির হার হবে ৪ শতাংশ। দেখা গেছে, মোট চিকিৎসাজনিত বর্জ্যরে ১০-১২ শতাংশ হল সংক্রামক। কিন্তু এই কম পরিমাণ বর্জ্যকে যদি ফেলে দেওয়ার আগে জীবাণুমুক্ত না করা হয় তা জনস্বাস্থ্যের ব্যাপক তি করতে পারে। এ থেকে ছড়াতে পারে নানা রোগ, যেগুলির মধ্যে আছে এইডস, ভাইরাস ঘটিত হেপাটাইটিস, যক্ষ্মা, ব্রঙ্কাইটিস এবং ত্বক ও চোখের রোগ উল্লেখযোগ্য।

বায়োমেডিক্যাল উদ্ভূত সর্বপ্রকার দূষণ পদার্থের উৎস সরকারি হাসপাতাল, বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিং হোম, ডাক্তারের কিনিক, দন্ত চিকিৎসা কিনিক, ডিসপেনসারী, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্্র, প্রাণী সংরণ গৃহ, প্রাণী নিধনগৃহ, ল্যাবরেটরী, মেডিক্যাল গবেষণা সংস্থাসমূহ, ভ্যাকসিন কেন্দ্র, বায়ো টেকনোলজিক্যাল প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও পালস পোলিও টীকাকরণ কেন্দ্র, সংক্রামক রোগ নির্ণয় কেন্দ্র বা হাসপাতাল, ওষুধ দোকান প্রভৃতি। এই সব সংস্থা থেকে প্রতি বছর প্রচুর বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন হয়। এক সমীা থেকে জানা গেছে- সরকারী হাসপাতাল আধা কেজি থেকে ৪ কেজি বর্জ্য পদার্থ প্রতিদিন প্রতি শয্যায় তৈরি হয়। প্রাইভেট হাসপাতালে আধা কেজি থেকে ২ কেজি, নার্সিং হোমে আধা কেজি থেকে ১ কেজি বর্জ্য উৎপন্ন হয়।

একটি শহরে মোট বর্জ্য উৎপাদন হয় প্রতিদিন চলিশ টন। এভাবে শহরাঞ্চলে প্রতিদিন বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে এবং দূষিত পদার্থের বিশাল পাহাড় সৃষ্টি হয়ে চলেছে। এগুলো ধ্বংস করা জরুরী নতুবা বিপদের সম্ভাবনা থেকে যায়। যারা দূষণ উৎপাদন, সংগ্রহ, জমায়েত করে ছড়ায়, ব্যবহার করে, পরিচর্যা করে তাদের েেত্র আইন প্রয়োগ করা প্রয়োজন। চিকিৎসা বর্জ দূষণ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে যদি দূষণ পদার্থ সমূহকে অগ্নিদগ্ধ করা হয়, রাসায়নিক পদার্থের পরিশুদ্ধি করা হয়।

হাসপাতালের চত্বর বড় হলে খুব দূরে বর্জ্য পদার্থ পুঁতে ফেলা হয়। অনেক পদার্থের জীবাণুসমূহকে নিষ্ক্রিয় করে ডেলায় পরিণত করা হয়। সিমেন্ট ও অন্যান্য পদার্থের সাথে উক্ত বর্জ্য বায়োমেডিক্যাল পদার্থকে একসাথে গোলা তৈরি করা হয়, এই মিশ্রণের অনুপাত হবে- ৬৫ শতাংশ বায়োমেডিক্যাল পরিত্যক্ত, ১৫ শতাংশ চুন বা লাইম, ১৫ শতাংশ সিমেন্ট, ৫ শতাংশ সিমেন্ট। এভাবে ডেলা পাকালে সব জীবাণু ও অন্যান্য পদার্থ মিশে গিয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে, যদি হাসপাতাল বা মিউনিসিপ্যালিটির জায়গা কম থাকে, তখন বর্জ্য পদার্থকে বহুদূরে প্রথিত করা হয়। অস্বচ্ছ প্লাস্টিক ব্যাগ পুড়িয়ে ফেলতে হবে, শেষে মাটিতে গর্ত করে ছাইসহ পুঁতে দিতে হবে।

ইদানিংকালেই পরিবেশ দূষণের একটা বৃহৎ অংশ চিকিৎসা বিষয়ের সাথে জড়িয়ে আছে। সাধারণ নাগরিক এ ব্যাপারে সাহায্য করলে বায়োমেডিক্যাল দূষণের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, হাসপাতাল কর্তৃপ ও জনসাধারণ সচেষ্ট হলে এসব দূষণকে ঠেকানো সম্ভব। ধানমন্ডি, ঢাকা। ০১৭২০১৯৪১১০


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.