আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

::চিকিৎসা বিজ্ঞান:: এর সহজ সমাধান মেডিসিন ব্যাতিত চিকিৎসা

যে কোন প্রয়োজনে স্বরণ কইরেন: hopelessduniya@yahoo.com এই আইডি তে..এড কইরেন...

আকাশ একা থাকতেই ভালোবাসে। বাড়িতে তার মা-বাবা আর একজন গৃহপরিচালিকা। মা-বাবা দুজনই চাকুরিজীবি। সকাল ৮.৩০ টায় দুজন বেরুলে ফেরেন সন্ধ্যা কিংবা রাতে। খুব অল্প সংখ্যক বন্ধু নিয়ে আকাশের বেড়ে ওঠা।

জীবনে চলার জন্য যা প্রয়োজন সবই আছে তার। তবুও কি যেন খোজে আকাশ। আধার কিংবা অল্প আলো ভালো লাগে তার। ধীরে ধীরে নিজেকে একা ভাবতে শুরু করে। শুরু হয় তার একাকিত্ব।

অন্য মানুষের থেকে দুরে থাকে। তাদের সে ভয় পায়। নেই তার ভিতর প্রাণচঞ্চল্য। শুরু হয় ক্ষুধামন্দা। শরীর ভেঙ্গে যেতে থাকে।

মা-বাবা ভাবেন অসুস্থ্য। চলে ডাক্তারের ঔষধ চলে তার পরার্মশ। আকাশের অবস্থার কোন উন্নতি নেই। যেন থেমে গেছে তার জীবন যাত্রা। রফিক সাহেব ইদানিং একা একা চলেন।

প্রাণচাঞ্চল্য হারিয়ে কেমন যেন বিমর্ষ হয়ে গেছেন। অজানা ভয় তাকে ভীত করে। সংসার, অফিস, স্ত্রী ও সন্তান কাউকেই তার আপন মনে হয় না। ধীরে ধীরে শরীর ভেঙ্গে পরে। কোন ঔষধই তার কাজে লাগে না।

একটু অসুখ হলেই দুর্বল হয়ে যান বহুগুন। উপরের চিত্র দুটোই আমাদের সমাজের খুব স্বাভাবিক দুটি চিত্র। হঠাৎ বদলে যাওয়ায় আমরা হই তাদের ওপর বিরক্ত । আর এভাবেই সমাজ-সংসার, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে তাদের দুরত্ব বাড়তেই থাকে। চাইনিজ চিকিৎসা বিজ্ঞান এর খুব সহজ সমাধান বের করেছেন।

চাইনিজদের মতে মানব শরীরে তিনটি পর্যায় । যথা: ১. ক্রিষ্টল বডি - যা আমরা বয়ে নিয়ে বেড়াই, দেখা যায়। ২. ইমোশন বডি - মানুষ কোন আঘাত লাগার পূর্বেই বুঝতে পারে যা অচেতন ভাবেই প্রতিহত করার চেষ্টা করে। ৩. ইন্টালেকটুয়াল বডি - এর কাজ ভবিষ্যত বা সাময়িক পূর্বে বুঝতে পারার অনুভূতি যা আমরা কাজে লাগাতে পারি না আমাদের চিন্তা-চেতনা, অস্থিরতা ও ব্যস্ততার জন্য। মানব শরীরের ইমোশন বডিতে যখন কোন পোর বা ছিদ্র তৈরী হয় তখন তার ভিতর বিভিন্ন ব্যতিক্রম দেখা যায়।

যখন কোন ঔষধ প্রদান করা হয় তখন তা যে রেডিয়েশন তৈরী করে তা সেই ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে যায়। যে কারনে মেডিসিন যথাযথ কাজ করতে পারে না। তখনই পাশ্চাত্য চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে: No medicine is The best medicine এই সমস্যায় আক্রান্ত লোকদের প্রয়োজন লাভ থেরাপি । এদের খুব গভীর মমতার কাছে টেনে নিয়ে তার ভিতরের গ্রহণ যোগ্যতা তৈরী করতে হবে। যার জন্য প্রয়োজন প্রচুর সময়, প্রয়োজন মমতা ও সহযোগীতার মনোভাব।

এরপর তাকে বোঝাতে হবে তার গ্রহণ যোগ্যতা, তার দায়িত্ব, বুদ্ধি ও শিক্ষার পরিধি। তার ওপর নির্ভরশীল মানুষের তার ওপর আস্থা। বন্ধু হয়ে পরম মমতায় তাকে সারিয়ে তুলতে হবে তিলে তিলে। সূত্র: সায়েন্স-জোন :: জুন সংখ্যা :: ২০০৮ http://www.hopeless-duniya.tk

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.