ঘুনে খাওয়া হৃদয়টাকে নিয়ে চলতে চলতে আজকাল খুব ক্লান্ত লাগে নিজেকে..
প্রতিটি মানুষের ভিতরেই বিবেক নামের একটা বস্তু থাকে, যা সে জন্মগতভাবেই লাভ করে। মানুষ যখন ছোট থাকে তখন তার ভিতরে এই বিবেকের শক্তি থাকে অসীম। কিন্তু দিন যত যায়, সে যতই বড় হতে থাকে, বুঝতে থাকে পৃথিবীটাকে, ততই যেন তার এই বিবেক নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে থাকে। পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি নানা কারণে দিন দিন বিবেক নামক অদৃশ্য মহাশক্তিটি প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে থাকে। অর্থের লোভ, ক্ষমতার লোভ এবং জাগতিক সমস্ত লোভের তাড়নায় বিবেক নামক মহাশক্তিধর বস্তুটি দিন দিন দুর্বল হতে থাকে।
এবং এক সময় তা পুরোপুরি নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এর ফলে মানুষ দেধারছে একের একের পর এক অন্যায় করে চলে, বিভিন্ন পাপ কার্যে নিশ্চিন্তে লিপ্ত হয়ে পড়ে। ফাইল আটকিয়ে ঘুষ খেতে তার একটুও বাঁধে না, বরং সে তা খুব খুশী মনেই করে। পিস্তল ঠেকিয়ে মায়ের মতন কোন নারীর কাছ থেকে স্বর্ণ-অলংকার লুট করতেও তার বাঁধে না। চোর ভালো করেই জানে চুরি করা মহাপাপ।
তবুও সে তা খুশী মনেই করে থাকে। বিবেক বিসর্জন দিয়ে মানুষ বড় গর্বের সহিত মানুষ হতে অমানুষে পরিণত হয়, পশুর থেকেও অধম কোন প্রাণীতে সে পরিণত হয়।
খুব আশ্চর্য লাগে যখন দেখি বড় বড় ডিগ্রীধারিরা হাসি মুখে ঘুষ খাচ্ছে। অবাক বিস্ময়ে ভাবি, এরা কিভাবে ঘুষ খায় ? এদের বিবেক কোথায় গেল ? এত্ত বড় বড় পাশ দিয়েছে, এদের বিবেকতো সবচাইতে মজবুত থাকার কথা। পরক্ষণেই আফসোস করি এদের দুর্ভাগ্যের কথা স্মরণ করি।
এরা পড়ালেখা করেছে, বড় বড় পাশ দিয়েছে ঠিকই.... কিন্তু পুস্তক থেকে, শ্রদ্ধেয় গুরুদের কাছ হতে কোন জ্ঞানই নিতে পারেনি। আফসোস। পড়া গিলে গিলে এরা আজ বড় বেশি মডার্ণ হয়ে গেছে। ঘুষ, অন্যের হক মারা ছাড়া এরা থাকতেই পারে না। এদের ভিতরে যে বিবেক ছিল তা মরে মাটি হয়ে গেছে বহু আগেই।
মানুষে খোলস পড়ে আছে তাই এদেরকে এখনও মানুষের মতনই দেখাচ্ছে। তবে একটু ভালো করে লক্ষ্য করলেই দেখা যায় এরা আসলে সত্যিকারের মানুষ নয়। এরা মানুষ নামধারী অমানুষ ওরফে জানোয়ার।
আসুন বিবেকের চর্চা করি। বিবেকবান হই।
মূল্যবোধের শিক্ষায় শিক্ষিত হই। নৈতিকতার আদর্শে জীবন করে তুলি আনন্দময়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।