সভ্যতার প্রান্তে দাঁড়িয়ে পিছু ফিরে চলেছি
বেশ আগে একটা গল্প শুনেছিলাম। ফার্স্টলেডি বেগম রওশন এরশাদের প্রাত:ভ্রমনের অভ্যাস ছিল। উনি প্রত্যহ একই রাস্তায় প্রাতভ্রমনে বের হতেন। সেই রাস্তায় একটা গাছে টিয়া পাখি বসত। যখনি বেগম সাহেবা গাছের নিচ দিয়া যাইতেন টিয়াটা বলে উঠত 'তোর গুয়া খারাপ, তোর গুয়া খারাপ, তোর গোয়া খারাপ.........' বেগম একসময় সহ্য করতে না পেরে পাইক পেয়াদা দিয়ে সেই টিয়াকে তলব করলেন আর জিগাইলেন 'সমস্যা কি? আমার গোয়া খারাপ তোরে কেডা কইছে?' টিয়াটা কইল 'তোর গোয়া খারাপ না হইলে এরশাদ কি আর দেশের গোয়া মারে?'
আমাদের মহাপ্রক্রমশালী লেজে হোমো নাকি পশ্চাতদেশের রক্তক্ষরন জনিত কারনে হাসপাতালে শুইয়া আছেন।
ব্যাগের পরে ব্যাগ রক্ত ডুকছে তার শরীরে তারপরেও তার পশ্চাতদেশ থেকে নাকি রক্তক্ষরন বন্ধ হইতেছেনা। শুনে প্রথমেই আমার মনে হইলো কার এতো ঠেকা পরছে এই ৮২ বছরের তরুনের পশ্চাতদেশে এই আকামডা করলো। সেই লোকের মাথায় সিউর সমস্যা আছে নইলে সব বাদ দিয়া ৮২ বছরের কাকার পিছনে কেন [যদিও প্রতি ৫ বছর পর পর উনার বিশেষ অংগ উথিত হয় দুই নারীর ক্ষমতার মোহে ]? পরে হঠাত মনে পরলো সেই টিয়া পক্ষিটার কথা যে কইছিল বেগমের গোয়া খারাপ বইলা উনি দেশের গোয়া মারেন। পক্ষিটা নিখাদ সত্য কইছিল।
আমার দৃষ্টিতে এই রক্তক্ষরন এক ধরনের পাপ মোচনের প্রয়াস।
প্রাকৃতিক প্রয়াস। বাংলাদেশকে ৮ বছর ধরে যিনি উলটে পালটে ধর্ষন করে রক্তাক্ত করেছে, কয়েকশ তরুনের রক্ত যা পান করে উনি গদি ধরে রেখেছেন প্রবল প্রতাপে, সেই রক্ত আর তার শরীরে থাকতে চাইছেনা। বেরিয়ে আসছে অই পাপের শরীর থেকে। রক্তলোলুপদের এইরকম পরিনতী ওই বেহায়া নিজ চোখে দেখার পরেও উনার রক্ত পানের স্বাধ হইছিল। কি দুর্ভাগ্য, সেই রক্তই তাকে নিশ্বেষ করে দিচ্ছে।
শুধু উনি না, বাংলাদেশের গোয়া যারা মারতে চাইছিল, চাচ্ছে কোন এক কারনে হঠাত করে পশ্চাচদেশে অনর্গল রক্তক্ষরন শুরু হয়। প্রাকৃতিক গোয়া মারার এই উপায়টার নামকরনের সময় এসেছে। আমাদের অভিধানগুলোতে নতুন একটা শব্দ দরকার যেটা শুধু মাত্র প্রাকৃতিক গোয়া মারার উপায়টা বুঝাতে ব্যাবহার হবে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।