এখনই, নয়তো কখনই নয়...।
একটা সময় আমার মনে হতো, এই যে আমি প্রতিদিন ৮-১০ ঘন্টা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরী করি তা নিছক মাস শেষে মাইনের জন্য কিংবা চাকরী জীবনের কোন এক পর্যায়ে আমার পদন্নোতি হবে এই আশায়। অথবা চাকরী করতে হবে, চাই করা। কত সংকীর্নই না ছিলো আমার দৃষ্টিভঙ্গি। এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমার সার্বিক উন্নতি কতটুকু হতো? কতটুকু এ সমাজকে দিতে পারতাম? আমার জীবনটা কি শুধুমাত্র মাইনে আর পদন্নোতির মাঝেই ঘুরপাক খাওয়ার জন্য? তাহলে তো কোন কারনে যদি আমার মাইনে আর না বাড়তো অথবা আমার পদন্নোতি না হতো, তা হলে তো আমার জীবনটাই থেমে যেত, অর্থহীন হয়ে পড়ত।
এজন্যই আমি চাইনা আমার জীবনটা কোন একটা সীমানার মাঝে আবদ্ধ হয়ে পড়ুক। সীমানার সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে আমার জীবনটা হোক সর্বদা প্রবাহমান, অসীম। এর মানে এই না যে আমি আমার মৃত্যুকে অস্বীকার করছি। এ কঠিন সত্যকে মেনে নিয়েই আমার অসীমের পানে যাত্রা। আরেকটা কঠিন সত্য হলো এই যে হলো আমার আত্মার তো ধ্বংশ নেই এবং আমার আত্মিক অংশটা অবিশ্বর হওয়ায় আমি আমার সবরকম অনুভূতি নিয়ে বেঁচে থাকবো অনন্তকাল।
জীবনটা নিয়ে এই যে আমার উপলব্ধি তার নিরিখেই আমার এক সহকর্মীকে আমি কিছু পরামর্শ দিয়ে ছিলাম যার বর্ননা নিচে দিলাম।
আমার এক সহকর্মী তার হতাশা প্রকাশ করে আমাকে বলেছিল যে সে নতুন ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে কিছুই আশা করে না এবং নতুন ম্যানেজমেন্ট তার কাজে কোন মূল্যায়ন করবে না এ ব্যাপারে সে একেবারেই নিশ্চিত যেহেতু সে পুরনো একজন কর্মকর্তা। তার এই মন্তব্যের জবাবে তাকে বলেছিলাম যে আপনি আপনার এই মানসিকতা নিয়ে খুব বেশি দূর এগুতে পারবেন না। এই মানসিকতার কারনে আপনি একটা পর্যায়ে ভালো কোন কাজ করার বা কোন কাজ দক্ষতার সাথে করার সক্ষমতাটাই হারিয়ে ফেলবেন। এতে করে নতুন ম্যানেজেমেন্ট এটাই বুঝবে যে তারাই দক্ষ আর আপনারা পুরনো কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানের বাড়তি বোঝা ছাড়া আর কিছুই নন।
আপনি তো বরং এ চেষ্টায় রত থাকবেন যে কি করে নতুনদের চেয়েও আরো ভাল পারফর্মেন্স কিভাবে করা যায়, কি ভাবে নিজেকে নতুন ম্যানেজমেন্টের কাছে নিজেকে একটু আলাদাভাবে তুলে ধরা যায়। শেষে তাকে আমি আরো বলেছিলাম যে আপনি প্রতিদিনই কিছু না কিছু শিখুন যা আপনার প্রতিদিনের কাজ আরো দক্ষতার সাথে করার রসদ জোগাবে। সবসময়ই মনে রাখবেন যে শেখার শেষ নেই, এর কোন সীমারেখা নেই আর যা শিখলেন তা একান্তই আপনার। এতকিছুর পরেও আপনি আপনার বোনাস বা ইনক্রিমেন্ট থেকে বঞ্চিত হতে পারেন আর পদোন্নতি তো দূরের কথা। কিন্তু যা থেকে আপনাকে কেউ বঞ্চিত করতে পারবে না তা হলো আপনার জ্ঞানার্জন, আপনার প্রতিনিয়ত কিছু শেখা।
আপনি আপনার অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে অন্য এমন কোন প্রতিষ্ঠানে যেতে পারেন যারা আপনার কাজের মূল্যায়ন করবে।
এতকিছু বলার মুল সুরটা ঘুরেফিরে একটাই যে কোনভাবেই জীবনটাকে সীমাবদ্ধ করার বৃথা চেষ্টা না করা কারন "Life itself is a journey towards enternity."
আমার কৈফিয়ত:
উপরের লেখাটার প্রকাশকাল নিম্নরূপ:
১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৮:০২
কিন্তু প্রকাশের সময় web site এর কোন এক সমস্যার কারনে আমি আমার "আপনার ব্লগ দেখুন" এই ফোল্ডারে লেখা দেখতে পাই কিন্তু ব্লগের ১ম পাতা কিংবা পরের কোন পাতায় লেখাটা খুজে পাইনা। তাই বাধ্য হয়ে আবার পোষ্ট করলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।