আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সানিয়া শোয়েব বিয়ের মেন্যুতে ছিল

মোনে আমার শিক্ষার ক্ষুদা মিটাবেন কি মোনের জ্বালা।

০০ বিরিয়ানি ০০ মোরগমোসল্লাম ০০ দম কা চিকেন ০০ খাসি ০০ কাবাব ০০ হরেকরকম মিষ্টি ০০ স্পোর্টস ডেস্ক বুধাবার রাতে হায়দরাবাদের তাজকৃষ্ণ হোটেলে সঙ্গীত অনুষ্ঠানে সানিয়া মির্জা আর শোয়েব মালিক সালসা নেচে চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছেন দুই পরিবারের লোকেদেরও। মাত্র তিন মিনিটের নাচ, তাতেই বাজিমাত। সানিয়া গত এক সপ্তাহ ধরে বরকে নিয়ে রীতিমতো অনুশীলন করেছেন। মুম্বই আর রাজস্থান থেকে বিশেষ দল আনা হয়েছিল নাচের অনুষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য।

নেতৃত্বে ছিলেন মুম্বইয়ের বিশিষ্ট কোরিওগ্রাফার আরিয়ান। বিখ্যাত গাইয়ে তালাত আজিজ এ বিয়ে নিয়ে একটা গজলই লিখে ফেলেছেন। তার আগে পরিবারের লোকজন বসেছিলেন গানের আসরে। সে আসরে ছিল খানিকটা বিষণœতার সুর। গানের থিম যে ছিল সানিয়ার স্বামী গৃহে যাত্রা।

বাজে বলিউডি অনেক গান। বাছার দায়িত্বে ছিলেন সানিয়া নিজে। ‘কাজরা রে’র সঙ্গে কোমর দোলালেন অনেকেই। শোয়েব বেছেছিলেন কিছু পাঞ্জাবি গান। সেগুলোও বাজে।

তার মধ্যেই চলে বিরিয়ানি, হালুয়া, দই, মুর্গ কা সালান, দম কা চিকেন, বায়গান কা সবজি, রায়তা দিয়ে স্যালাড পরিবেশন। আলাদা কাবাব কাউন্টার, স্যালাড কাউন্টার তো আছেই। এগুলো সবই ছিল (বৃহস্পতিবারের) প্রীতিভোজের মেনুতেও। বিরিয়ানি রান্নার দায়িত্বে থাকছেন পেশোয়ারের রাধুনি। মুরগি ও খাসির দমফুকট রান্না করেন হায়দরাবাদের রাঁধুনি।

মিষ্টি বানানোর দায়িত্বে ইউনিভার্সাল বেকারি। এই বেকারির মালিক শোহরাব মির্জার বাবা। এই শোহরাবের সঙ্গে এক সময় বাগদান হয়েছিল সানিয়ার। বুধবার ছিল সরকারি ছুটির দিন। তারপরও হায়দরাবাদ সিটির বিভিন্ন আড্ডার আলোচনার বিষয় ছিল সানিয়ার বিয়ে।

গতকাল রাতে ছিল সানিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা। এ অনুষ্ঠানের জন্য সানিয়ার দু’সেট পোশাক কেনা হয়েছে দিল্লীর সবচেয়ে নামী পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থা (শান্তনু আর নিখিল) থেকে। একটাতে ছিল কুর্তা, খাড়া দোপাট্টা, লেহেঙ্গা। শোয়েবের শেরওয়ানি একেবারে সাধারণ নকশায় তৈরি দুই ফ্যাশন ডিজাইনার। চমক বলতে শুধু দুটোর বদলে একটা পকেট।

প্রশ্ন উঠেছে, প্রথম স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকীকে নিকাহ করার সময় শোয়েব যেখানে মাত্র ৫০০ টাকা দিয়েছিলেন, সেখানে সানিয়াকে মেহোর হিসাবে ৬১ লক্ষ রুপি দিলেন কেন? তবে মির্জা এবং মালিক পরিবার আর এসব নেতিবাচক প্রশ্ন নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নয়। সীমান্তের ওপারে নবদম্পতিকে বরণ করে নেয়ার তোড়জোড় শুরু কথা রয়েছে। সেখানকার অনুষ্ঠান ওয়ালিসার জন্য লাহোরের গভর্নর হাউস বাছা হয়েছে। এপ্রিলের শেষে সানিয়া-শোয়েব আজমিরের খাজা মইনুদ্দিন চিস্তি এবং মুম্বইয়ের হাজি আলিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। শ্বশুর বাড়িতে প্রথমে ঢুকতে পারেননি শোয়েবও।

মেহেন্দির আগে শোয়েবের দোর আটকেছিলেন সানিয়ার বোন আনম। প্রায় মিনিট কুড়ি দর কষাকষি চলে শালি-দুলাভাইয়ের। প্রথমে হাজার টাকার নোট বার করেন। শেষ পর্যন্ত শালির সঙ্গে দশ হাজার টাকায় রফা হয়, তবে মোটা টাকা পকেট থেকে খসলেও সারাক্ষণ হাসিমুখেই ছিলেন মির্জাবাড়ির জামাই।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.