আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সস্তা আর পরিবেশবান্ধব বিদ্যুতের জন্য ব্লুম বক্স

খুব ক্ষুদ্র একজন মানুষ।
ধরুন একটি ফ্রিজ-সাইজ ব্যাক্তিগত বিদ্যুত প্লান্ট বিদ্যুত তৈরি করছে খুব সস্তায় পরিবেশের কোন ক্ষতি না করেই এবং যেটার কর্মদক্ষতা (কনভার্সন ইফিসিয়েন্সি) ট্রাডিশনাল পাওয়ার প্লান্ট থেকে অনেক বেশি। সেটা আপনার বাড়ির সকল বিদ্যুত চাহিদা মেটাচ্ছে। সেই ক্ষুদে বিদ্যুত প্লান্টে ব্যবহার করা যাবে যে কোন হাইড্রোকার্বন জ্বালানী- গ্যাস, ডিজেল, পেট্রল, প্রানিজ জ্বালানি (বায়োফুয়েল), বায়োগ্যাস, কিংবা সৌর শক্তি। সেই ধরনের একটা ক্ষুদে পাওয়ার প্লান্টের নাম ব্লুম বক্স।

আবিস্কার করেছেন ডঃ কে, আর, শ্রীধর যিনি ব্লুম এনার্জি কোম্পানির প্রতিষ্টাতা। ডঃ শ্রীধর ছিলেন ইলিনয়স বিশ্ববিদ্যালয়ের ( আরবানা-স্যাম্পেইন) ছাত্র, ইউনিভার্সিটি অফ আরিজনার স্পেস টেকনলজি ল্যাবের পরিচালক। ধারনা করা হচ্ছে সেই দিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন ব্লুম বক্স ট্রাডিশনাল পাওয়ার প্লান্টকে প্রতিস্থাপিত করব। কেন সেই আলোচনায় আমরা পরে যাব। এখন আমরা ব্লুম বক্স সম্পর্কে ধারনা নেবার চেষ্টা করি।

ব্লুম বক্স হচ্ছে একটা বাক্সের মধ্যে পাওয়ার প্লান্ট। বাক্সে থাকে অনেকগুলো ফুয়েল সেল যেগুলো হাইড্রোকার্বন ফুয়েল নিয়ে পোড়ায় না বরং ইলেকট্রোকেমিকাল বিক্রিয়ার মাধ্যমে বিদ্যুত তৈরি করে। ফুয়েল সেল গুলি বালির তৈরি যাকে ডিস্কেট সাইজের বর্গাকার সিরামিকে রুপান্তর করা হয়। প্রতিটি সেল একটা লাইট বাল্বকে জ্বালানোর মত শক্তি তৈরি করতে পারে। অনেকগুলো ফুয়েল সেলকে একটার উপর আরেকটা রেখে একত্র করা হয় এবং দুটো সেলের মাঝে একটি করে ধাতব প্লেট দেয়া হয়।

এই জড় করা ফুয়েল সেল গুলো রাখা হয় ফ্রিজ-সাইজ একটা বক্সে যার নাম ব্লুম বক্স। শ্রীধরের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ৬৪ টা ফুয়েল সেল স্টারবাকস ফ্রানসাইজের মত ছোট ব্যবসা প্রতিষ্টানের জন্য যথেষ্ট। ব্লুম বক্স এখন বিদ্যুতায়ন করছে ফেডেক্স, গুগল, ওয়ালমার্ট, ই-বে এর মত বড় বড় কম্পানিকে। ই-বে ব্লুম বক্স স্থাপন করে নয় মাসে এক লাখ ডলার বি্দ্যুত বিল বাচিয়েছে। ই-বের হেড কোয়ার্টারে স্থাপন করা ব্লুম বক্স ০.৫ মেগাওয়াটের যা প্রায় ২৫০ টা বাড়িকে বিদ্যুত দিতে সক্ষম।

খরচের কথা বলতে গেলে – ১০০ কিলোওয়াট প্লান্টের জন্য খরচ সাত থেকে আট লাখ ডলার। ১ কিলোওয়াট সাথারণ বাড়ি সাইজের জন্য খরচ পড়বে ৩ হাজার ডলার অর্থাৎ দুই লাখ ১০ হাজার টাকা। তবে ব্যবহার বাড়লে খরচ কমে যাবে। ডঃ শ্রীধর প্লান্ট খরচ অর্ধেক করতে পারবেন বলে আশা করছেন। জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা যাবে যে কোন হাইড্রোকার্বন জ্বালানী- গ্যাস, ডিজেল, পেট্রল, প্রানিজ জ্বালানি (বায়োফুয়েল), বায়োগ্যাস, কিংবা সৌর শক্তি।

এখন পর্যন্ত স্থাপিত অধিকাংশ বক্স গুলোতে সাধারণত ব্যবহার করা হয় বায়োগ্যাস কিংবা সৌর শক্তি। ট্রাডিশনাল প্লান্ট থেকে এটার প্রধান পার্থক্য হচ্ছে – ট্রাডিশনাল প্লান্টে বিদ্যুত পেতে অনেক গুলো শক্তির রুপান্তরের প্রয়োজন হয় যেখানে প্রচুর শক্তির অপচয় ঘটে। কিন্তু ব্লুম বক্সে রাসায়নিক শক্তি একধাপে বিদ্যুত শক্তিতে রুপান্তর হয়। এর ফলে অপচয় তুলনামুলক অনেক কম হয়। ব্লুম বক্স বাড়িতে স্থাপনযোগ্য বলে বিদ্যুত স্থানান্তরের ফলে যে লস তাও এড়ানো সম্ভব হয়।

সুত্রঃ ১। Click This Link ২। Click This Link ৩। http://en.wikipedia.org/wiki/Bloom_Energy ৪। http://www.bloomenergy.com ৫।

http://en.wikipedia.org/wiki/K._R._Sridhar
 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।