আশীফ এন্তাজ রবি চমৎকার একটি ব্লগ লিখেছেন । সেই ব্লগে মন্তব্য লেখার জন্যেই আমার ব্লগ খোলা। লিখতে গিয়ে ধাক্কা খেলাম। নবীন ব্লগারদের সে সুযোগ নেই। অগত্যা রবির জন্যে লিখতে বসে যাওয়া।
কেউ যদি দয়া করে ব্লগটিকে কপি টপি করে কোন ভাবে সামনের দিকে আনতে পারে তাহলে রবির চোখে পড়তে পারে। নিঃসন্দেহে প্রধানমন্ত্রী আসুন ব্লগে কথা বলি, আসুন কৃচ্ছতা সাধন করি একটি সময়োপযোগি লেখা। আমরা যারা ঢাকায় থাকি তাদের জন্যে এ সময়ে এর চেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ আর কিছু হতে পারে না। রবি ভাই কে ধন্যবাদ। এত অল্প সময়ে কোন ব্লগ এতবার পঠিত হয়েছে কি না আমার জানা নেই।
সে বিচারে লেখা টিকে সর্বকালের সেরা বাংলা ব্লগ হিসাবে ধরা যায়। তবে ব্লগ টিতে কেন যেন আমার মনে হয়েছে বাস্তবতার চাইতে আবেগ কে প্রধান্য দেওয়া হয়েছে। ঢাকার তরুনদের আবেগ আমি ভালো বুঝিনা। অনেক কমগুরুত্ব পূর্ণ বিষয়কেও তারা মহা গুরুত্ব পূর্ণ করে তুলতে পারে। যেমন গত দেড় দিনের আপডেট দেখে মনে হচ্ছে ব্লগ টিকে প্রধান মন্ত্রীর নজরে আনার চেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ কাজ আর ভূ -ভারতে নেই।
আর একটা বিষয় আমি বুঝিনা প্রধান মন্ত্রী ব্লগটি দেখেন নি বলে আমরা ধরে নিচ্ছি কেন? এমন ও তো হতে পারে তিরি ব্লগটি দেখেছেন কিন্তু আমার মতই সরাসরি জবাব দিতে পারছেন না।
গত কাল হঠাৎ করেই যে কিছু জরুরী সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো ( ১ ঘন্টা পর পর লোড শেডিং, ৭ টার পর দোকানীদের জাতীয় গ্রীডের বিদ্যুৎ ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা, দ্রুত তম সময়ে বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা ইত্যাদি)
হ্যা আমরা অত্যন্ত কঠিন অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এ থেকে উত্তোরনের জন্যে আমাদের চেরাগের দৈত্য নেই। পাঠকরা নিশ্চয়ই মানবেন হও বললেই বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে যাবেনা। এর জন্যে সরকার কে সময় দিতে হবে একই সাথে আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।
বিদ্যুৎ সম্পর্কে প্রধান মন্ত্রীর বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনেছি, বেশ আন্তরিক মনে হয়েছে। যারা শোনেন নি তাদের কে অনুরোধ করবো পত্রিকায় পড়ে দেখতে। বিশ্বাস করা না করা পঠকের ব্যাপার তবে আমার মনে হয়েছে পরিকল্পনা ভালো। তবে এটির বাস্তবায়ন শেষ পর্যন্ত কি রকম হবে বলতে পারি না। ( বিদ্যুতের খুটি কিনে খাম্বা মামুন বিচারের কাঠ গড়ায় দাঁড়ানোর পরও কয়েকদিন আগে খুঁটি কেনার তোড় জোড়ের কথা পত্রিকায় পড়েছি।
যদিও শেষ পর্যন্ত প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ব্যাপার টি বন্ধ হয়েছে। আমর কথা হলো এরকম প্রতিটি বিষয়্ই প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনা লাগবে কেন? প্রধান মন্ত্রী কখনও দেশটি তার একার বলে দাবি করেন নি। তাহলে আমরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করবো না কেন?)
রবি ভাই ঢাকার যে কষ্টের কথা লিখেছেন সেটা দুঃখের না কষ্টের সেটা এদেশের শতকরা কতজন জানেন? বন্ধুদের কেউ জানাবেন বাংলাদেশের শতকরা কতজন বিদ্যুৎ সুবিধা পান? ঢাকার বাইরেও একটা বাংলাদেশ আছে। একটা ছোট্ট কথা বলি, আমদের নাগরিক সভ্যতায় বেড়ে ওঠা তরুনদের রাত পোহায় সূর্য মাথার ওপর উঠে যাবার পর। এটি আমদের দিনের আলোর কত বড় অপচয় আমরা কখনও ভেবে দেখেছি কি? অধিকাংশ গ্রামেই বিদ্যুৎ নেই।
গ্রামের মানুষ সেটা পুষিয়ে ভোরে ঘুম থেকে উঠে। সূর্যের আলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার করে।
রবি একমাস স্কুল কলেজ বন্ধ করে দিতে বলেছেন। আমি একমত। শরীর মন ভালো না থাকলে কিসের লেখা পড়া? একই সাথে মনে পড়ছে অমাদের সময় খুব বেশি স্কুলে বৈদ্যুতিক পাখা ছিল না।
আমরা লেখা পড়া করতাম কি ভাবে? তাপমাত্রা বেড়েছে ইত্যাদি কথা র্বার্তাও আলোচিত হচ্ছে। পুরানো পত্রিকা ঘেটে দেখলাম এর চেয় বেশি তাপ মাত্রা ঢাকায় বেশ কয়েক বছরই উঠেছে। তবে তখন ঢাকার জন সংখ্যা কমছিল আর জনতার সহ্য শক্তি বেশি ছিল। এখন মানু সহযেই অস্থির হয়ে পড়ে।
হরিপদ কেরাণি রা আগে তেলের পয়সা বাঁচাবার জন্যে সন্ধ্যা টা কাটিয়ে আসতেন বাইরে।
আর অজকাল ব্লগ আর টিভি সিরিয়াল সারা রাতই জ্বলিয়ে রাখে সবাইকে।
সপ্তাহে তিন দিন শপিং মল বন্ধ করার পক্ষে আমিও। তবে দোকানের কর্মচারিদের কথা ভেবে শঙ্কিত ওরা বন্ধের দিনের বেতন পাবে তো? তার চেয়ে সকাল আট টার মধ্যে দোকান পাঠ খুলে গেলে ক্ষতি কি? লম্বা একাটা দিন পার করে সন্ধ্যা নাগাদ তো !দোকান বন্ধ করা যেতেই পারে।
উন্নত দেশে বিদ্যুতের সমস্যা নেই । কি ন্তু সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যেই দোকান পাঠ বন্ধ হয়ে যায়।
আমাদের দেশে দোকান খোলা বন্ধের সময় নিয়ে এত কথা কেন? কারন আমরা কেউই কোন ছাড দিতে চাইনা।
বৃহত্তর সংকট থেকে উত্তরণের জন্যে সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া খুব জরুরী।
গত দুদিনে ব্লগারদের যে ভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে দেখছি তাতে মনে হচ্ছে এবার কিছু একটা হবে। যে ভাবে সবাই মিলে প্রধান মন্ত্রীর কথা শুনতে চাচ্ছেন তাতে মনে হচ্ছে প্রধান মন্ত্রীর প্রতি ব্লগারদের অনড় আস্থা । মনে হচ্ছে প্রধান মন্ত্রীকে তারা ম্যজিসিয়ান ভাবছেন।
বাংলাদেশের যে কোন প্রধানমন্ত্রীর জন্যে এ এক বিরল পাওয়া। আমি মনে করি রবি ভাই এর মত মানুষরা যদি এগিয়ে আসেন বর্তমান অবন্থা থেকে আমাদের উত্তরণ হবেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।