চারিদিকে দেখো চাহি হৃদয় প্রসারি
• অপারেশন গ্রীন হান্ট কথাটি এখন মিডিয়ার দৌলতে ‘আম আদমি’র কাছে বেশ চেনা নাম। মনমোহন চিদাম্বরমরা বলার চেষ্টা করছেন ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার সবচেয়ে বড় বিপদ মাওবাদ/নকশালপন্থাকে দমন করতেই এই সবুজ শিকার অভিযান। কেন্দ্রর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউ পি এ সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে রঙ বেরঙের রাজ্য সরকারগুলি নেমে পড়েছে অপারেশন গ্রীন হান্টএ। ছত্তিশগড়ের বিজেপি সরকার বা পশ্চিমবঙ্গে সি পি এম নেতৃত্বাধীন ‘বাম’ সরকার – সকলেই এ অভিযানের উৎসাহী ও সক্রিয় পৃষ্ঠপোষক। সরকার ও কর্পোরেট মিডিয়ার ঘেরাটোপ পেরিয়ে এ সম্পর্কে যতটুকু তথ্য বেরিয়ে আসছে, তাও সত্যিই ‘হাড় হিম’ করে দেওয়ার মতো।
আধা সামরিক বাহিনীর হামলায় অসংখ্য আদিবাসী নিহত হচ্ছেন, খুন ধর্ষণ ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ পুলিশি অত্যাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। ‘মাওবাদীদের প্রতি সহানুভূতি প্রবণদের প্রতি সহানুভূতিপ্রবণ’ বলে ছাপ মেরেও অত্যাচার চালানো হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত তার একটি বয়ানে এ কথা ঘোষণা করে এর নিন্দা করেছেন। মাওবাদী দমনের নামে খনি জমি জঙ্গল দখলের বিরুদ্ধে কৃষক আদিবাসী বিদ্রোহ দমনে নামানো হচ্ছে স্ট্র্যাকো, কোবরা, গ্রে হাউণ্ড প্রভৃতি বিশেষ হত্যা পারদর্শী বাহিনী। বায়ুসেনার হেলিকপ্টারকে প্রয়োজনে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ সহ সর্বত্র ভুয়ো এনকাউন্টার কিলিং এর ঘটনাগুলি ঘটছে। নানা মিথ্যা মামলার পাশাপাশি ইউ এ পি এর মতো দানবীয় কালাকানুনে রাজনৈতিক কর্মীদের আটক করা হচ্ছে। অপারেশনের মূল লক্ষ্য হিসেবে সরকারের তরফ থেকে যদিও বারবার বলা হচ্ছে “দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার প্রধান বিপদ” মাওবাদের কথা, তবু এটা স্পষ্ট যে এটা আদিবাসীদের বিরুদ্ধে সরকার পরিচালিত একটি যুদ্ধ, যার মূল লক্ষ্য এই এলাকার আকরিক-খনিসম্পদকে সরকারের নিয়ন্ত্রক একচেটিয়া পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দেওয়া। একচেটিয়া কর্পোরেট ও সরকারের মধ্যে সম্পন্ন মউচুক্তিগুলিকে কার্যকরী করা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।