দুনিয়া টা দেখেও যারা আল্লাহ কে অবিশ্বাস করে...তাদের জন্য আফসোস হয়।
হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত হলো যে বন্ধুরা সবাই মিলে বিরিশিরি যাবো। বিরিশিরি হলো নেত্রকোনা থেকে প্রায় ২৫ কিঃমি দূরে। যা হোক যা কথা তা কাজ। ৬ই নভেঃ সকাল ৭.৩০ টায় সবাই মহাখালি বাস স্টান্ডে একসাথে হলাম।
মহাখালি থেকে সরাসরি বিরিশিরির বাস পাওয়া গেলো। অতএব, ৮.৩০ টায় যাত্রা শুরু......
বাসে খুব মজা করতে করতে গেলাম। শুধু ১টা জিনিস বাদে,তা হলো, নেত্রকনা থেকে বিরিশিরি যাওয়ার রাস্তা খুবই খারাপ। তারপরেও আমরাতো দমে যাওয়ার ছেলে নই......বিরিশিরি নামলাম তখন বাজে ঠিক ১.১৫মিঃ। প্রথমেই থাকার ব্যবস্থা করতে হয়।
খোজ নিয়ে জানতে পারলাম যে কাছেই একটা YMCA রেষ্টহাওজ আছে। দেরি না করে ঐখানে রুম নিয়ে একটু রেষ্ট নিলাম। তারপর খাওয়া দাওয়া করে বেরিয়ে পরলাম ৩টায়।
সমেশ্বরী নদী পারহওয়ার পর গেলাম রানীখং। যাওয়ার মধ্যম রিক্সা।
তবে মটরবাইকেও যাওয়া যায়। রানীখং এ দেখার মতো একটা চার্চ আছে। তারপর ঐখান থেকে গেলাম বিজয়নগর বিডিআর কেম্প। যোশ একটা জায়গা...............পাশেই ইন্ডিয়ার সীমানা। কি সুন্দর যে পাহাড়!!!!ঐখান থেকে গেলাম সাদামাটি।
এ আরেক মনোরম জায়গা........যাহোক,ঘুরাঘুরি করে রাতেরবেলায় রেষ্টহাওজে প্রত্যাবর্তন এবং খাওয়াদাওয়া করেই দে ঘুম............
একটু সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই বেরিয়ে পড়লাম দুর্গাপু্র দর্শনে। ঐখানে কয়েকটি যায়গা ঘুরে দুপুরে আবার গেলাম সমেশ্বরী নদীর তীরে। এ এক আজব নদী......পাহারী ঢল থেকে সৃষ্টি এই নদী। তাই পাথর,কয়লা আর বালি দিয়ে পূর্ন এই নদী। মানুষ জন হেটেই পার হতে পারে।
এই নদীতেই সবাই এক সাথে গোসল করে তারপর আবার রেষ্ট হাওজে প্রত্যাবর্তন। অতপর, দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে ৪.৩০টায় ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা...............
প্রকৃতির এক নৈস্বঃগিক স্থান বিরিশিরি..................মনে হয় বেড়িয়ে আসলে মন্দ হবে না.........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।