আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রধানমন্ত্রী আসুন ব্লগে কথা বলি, আসুন কৃচ্ছতা সাধন করি



............................................................................................. প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, এই ঘোর দুর্দিনে যে চিঠিটি আপনাকে লিখছি, সেই চিঠির ভবিষ্যত নিয়ে আমি নিজেই শংকিত। সবে কারেন্ট এলো, ঝাড়া দু ঘন্টা পর। নিয়মানুযায়ী টানা দু ঘন্টা বিদ্যুত থাকার কথা। কিন্তু প্রায়ই নিয়মটির ব্যতয় ঘটছে। গতকাল কারেন্ট এসেছিলো, দশ মিনিট পর চলে গেছে, টানা তিন ঘন্টা পর আবার সেটি ফিরে এসেছে।

এখন আর কারেন্ট যায়না, কদাচিৎ আসে। কাজেই এই চিঠি আদৌ শেষ করে উঠতে পারবো কিনা - আমার ঘোর সংশয় রয়েছে। এই চিঠি লেখার আরেকটি বিপদ রয়েছে। যাকে চিঠিটি লিখছি, মানে আপনি, আপনার হাতে চিঠিটি পৌঁছার সম্ভাবনা প্রায়ই শূণ্য। নামে আপনার সরকার ডিজিটাল সরকার, তবে বাংলা ব্লগ আপনি আদৌ পড়েন কিনা কিংবা বাংলা ব্লগ কমিউনিটি নামে যে একটি ব্যাপার রয়েছে, সেটি আপনি জানেন কিনা - এটি লাখ টাকার প্রশ্ন।

পৃথিবীর যেকোনও সভ্য দেশে রাষ্ট্রপ্রধানকে উদ্দেশ্য করে কিছু লেখা হলে, সেটি নিশ্চিত রাষ্ট্রপ্রধানের কানে যায়। রাষ্ট্রপ্রধান ক্ষেত্রবিশেষে তার উত্তরও দেন। বছর খানেক আগে পত্রিকায় পড়েছিলাম, বাংলাদেশে কোনও কিশোরী আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ্যে করে চিঠি লিখেছিল, রাষ্ট্রপ্রধান চিঠিটি পেয়েছেন এবং আরও আশ্চর্যের বিষয়-তিনি তার উত্তরও দিয়েছেন। আমাদের দেশে কখনও এইরকম ব্যাপার ঘটেছে বলে শুনিনি। হতে পারে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের চাইতেও আপনি বেশি ব্যস্ত।

তবে এই কথা নিশ্চিত, যাদের দায়িত্ব আপনাকে এই খবরটি দেয়া যে, একজন ভুক্তভোগী নাগরিক আপনাকে চিঠি লিখেছে , তারা এই জাতীয় চিঠিটি কখনোই আপনাকে দেবেনা। তারা দেশের স্বার্থ যেমন বোঝেন- তার চাইতে বেশি বোঝেন নিজের স্বার্থ। কেউ আপনাকে নিয়ে প্রশস্তি রচনা করলে সেটি কত তাড়াতাড়ি আপনার হাতে পৌঁছে দেয়া যায়, সেটি নিয়েই তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায় নিশ্চিত, কিন্তু এই জাতীয় চিঠি আপনাকে পৌঁছে দেবার ঝুঁকি কে নেবে ? যে চিঠি পাঠের স্বাদ আপনার তেতো মনে হতে পারে। জননেত্রীর সাথে জনগণের দূরত্ব কত গভীর হতে পারে- এইসব ঘটনা তারই প্রমাণ। আপনার যদি কোনও ইমেইল আইডি থাকতো, যেটি আমি নিশ্চিত হতাম যে আপনি মাঝে মধ্যে ইকবক্স চেক করে দেখেন , তাহলে এই চিঠিটি আমি আপনাকে নিশ্চিত মেইল করতাম।

এতো প্রকার টানাপোড়েনের মধ্যেও আপনাকে চিঠিটি লিখছি আমার দুই শিশু কণ্যার মুখের দিকে তাকিয়ে। গতরাতে বিদ্যুত ছিলনা ওরা দুবোন সারারাত ছটফট করেছে। আমার বাসাটি বেশ দামি বাসা, এর ভেন্টিলেটর ব্যবস্থা উত্তম, রুমের সাথে দক্ষিণমুখী বারান্দা। তবুও গরমে ওদের কষ্ট হয়েছে। যারা অপেক্ষাকৃত কম দামী বাসায় থাকেন, যারা বস্তিতে থাকেন, সেইসব বাবারা, সেইসব বাবাদের শিশুরা সারারাত কী নিদারুন যন্ত্রণায় রাত পার করেন, তাদের কথাও ভেবে আপনাকে পত্রখানা লিখছি।

যারা হাসপাতালে আছেন, তারা বিদ্যুত বঞ্চিত। গেল সপ্তাহে একটি পত্রিকায় ছবি ছাপা হয়েছে , ডাক্তার টর্চ জ্বালিয়ে রোগী দেখছেন । বিদ্যুত সমস্যার কারণে মরণাপন্ন রোগীদের অক্সিজেন দেয়া যাচ্ছে না। পরীক্ষা চলছে । শিক্ষার্থীরা অসহ্য গরমে মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা যুদ্ধ মোকাবেলার চেষ্টা করছে - তাদের কষ্ট, তাদের বেদনার কথা শোনার মতো কেউ নেই।

আপনি এই ব্যাপারগুলো খুব ভালো বুঝবেন না। আপনি, আপনার উপদেষ্টাগণ, আপনার মন্ত্রী, আপনার সাংসদ , তাদের অসুখ হলে ছুটে যান সিঙ্গাপুরে। নিতান্তই সর্দিকাশির মতো টুকটাক চিকিৎসা তারা নেন স্কয়ার হাসপাতালে যেখানে কারেন্ট গেলে জেনারেটর চালু হয়, যেখানে অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক, যেখানে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রটি নীরবে এলিট বাতাস বিলায়। মোমবাতি জ্বালিয়ে পড়াশুনা করে পরীক্ষা দেয় - এমন কোন শিক্ষার্থী আপনার ত্রিসীমানায় নেই। লন্ডন, আমেরিকায় তো ইলেকট্রিসিটি কখনও যায়না! কাজেই আপনি এবং আপনারা আমাদের কষ্ট বুঝবেন - এটি আমরা আশা করি না।

তবুও বলছি - আমরা ভীষণ কষ্টে আছি। বিদ্যুত, গ্যাস , পানি , দ্রব্যমূল্য --এই মুহুর্তে বিদ্যুতটাই বেশি ভোগাচ্ছে। পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রপ্রধান হচ্ছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট যা খুশি - তাই করতে পারেন না। হোয়াইট হাউসের সামনে দাঁড়িয়ে কেউ ওবামার চৌদ্দগুষ্টি তুলে গালি দিলে - তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে গেলে একটি আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

আপনার সে বালাই নেই। বাংলাদেশের কোনও প্রধানন্ত্রীর সেই বালাই কোন কালেই ছিল না। চাইলে আপনি বিমানবন্দরের নাম নিমিষেই বদলে দিতে পারেন, কাজেই বিদ্যুত সমস্যার সমাধান করা আপনার কাছে নস্যি। আপনি এবং আপনার পারিষদবৃন্দ , আমাদের সমস্যা বুঝছেন না বলেই এটি সমাধানে কোনও বাস্তব উদ্যোগ নেই। বরঞ্চ টিভিতে দেখি, আপনার মন্ত্রী, মিনিস্টার , উপদেষ্টারা স্যুট পড়ে অফিস করছেন।

যতক্ষণ আপনারা ক্ষমতায় থাকেন, ততক্ষণ আপনারা বাস করেন সম্পূর্ণ অন্য একটা জগতে। খোদ বেহেশতেও এত সুযোগসুবিধা এভাবে মুফতে পাওয়া যায় না। আপনি বিদ্যুত সমস্যা মোকাবেলায় বাস্তব উদ্যোগ নিন। আমরা কাজ দেখতে চাই ,কথা নয়। যেসব কথা আপনি কিংবা আপনারা বলেন ( বিগত সরকার দায়ী ইত্যাদি ) এগুলো শুনে শুনে আমাদের মুখস্থ হয়ে গেছে।

১. এই খরদাহে বিদ্যুত সমস্যা মোকাবেলায় প্রথমেই জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করুন এবং জাতীয় সকল ক্ষেত্রে কৃচ্ছতা কর্মসূচী শুরু করুন। ২. ঢাকার সমস্ত শপিংমল সাপ্তাহে তিনদিন বন্ধ রাখুন। কাপড়চোপড় কেনা কাটার চাইতে হাসপাতালের রোগী, অসংখ্য শিশুসহ নাগরিক ভোগান্তি অনেক বড় বিষয়। আপনি শপিংমল বন্ধ করলে শপিংমলের মালিকরা খেপবে - কিন্তু সুবিধাবঞ্চিত জনগণকে নিশ্চিত আপনার পাশে পাবেন। ৩. আপাতত সংসদ অধিবেশন মুলতুবি করুন।

সংসদ অধিবেশন চালাতে প্রচুর বিদ্যুত খরচ যায়। মাসখানেক সংসদ অধিবেশন বন্ধ রাখলে গণতন্ত্র অক্কা পাবে না কিন্তু বিদ্যুত পানির এই অবস্থা চললে আমাদের পটল তুলতে বেশি সময় লাগবে না। ৪. স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে এক মাসের বিশেষ গ্রীষ্মকালীন ছুটি ঘোষণা করুন। বিদ্যুতের সাশ্রয় হবে, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমবে। রবীন্দ্রনাথের তোতাকাহিনী গল্পটির কথা মনে আছে আপনার ? গরমে স্কুল কলেজ করতে গিয়ে কত ছেলেমেয়ে অসুস্থ হচ্ছে - একবার খবর নিয়ে দেখুন।

এক মাস স্কুল বন্ধ রাখলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চাঙ্গে উঠবে এমনটা ভাবার মতো আবার্চীন আপনি নিশ্চয়ই নন। সজীব ওয়াজেদ জয় বিদেশে পড়াশুনা করেছে - প্রয়োজনে উনার সাথে পরামর্শ করলেও আপনি নিশ্চিত হবেন , বৈরী পরিবেশে একমাস স্কুল বন্ধ রাখলে বিদ্যাবুদ্ধির কোনও ঘাটতি হয়না। ৫. চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রসহ সকল বিনোদনকেন্দ্রে আলোকসজ্জা, সঙ্গীতানুষ্ঠান, জলসা -ইত্যদি আগামী একমাসের জন্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করুন। সমাজের গুটিকয় সুবিধাবাদী এলিট শ্রেনীর লোকজনের বিনোদনের জন্য এক ওয়াটও বিদ্যুত যাতে অপচয় না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখুন। আপনি নিজেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, আলোচনা , সভা , সংবর্ধনা -ইত্যাদি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।

আপনার একটি অনুষ্ঠানে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত দিতে গিয়ে হয়তো হাসপাতালের অসংখ্য রোগী গরমে কষ্ট করছে। তাদের কথা ভাবুন। এই রকম আরও অসংখ্য উদ্যোগ আছে - যেগুলো নিলে বিদ্যুতের উপর চাপ অনেকাংশেই কমে যাবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার বাসায় আপনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি - একদিন দশ মিনিটের জন্য হলেও আসুন , দেখে যান গরমে আমার বাচ্চা দুটি কী রকম কষ্ট করছে ... আপনিও একজন মা, আপনি বুঝবেন। আমার স্ত্রী আপনাকে লেবুর সরবত দিয়ে আপ্যায়িত করবে।

সময় না পেলে আসার দরকার নেই- বরং আপনার অফিসের একটু পাশে নাখালপাড়া এলাকায় পাঁচটি মিনিট কোনও এক কুটিরে বসে দেখুন কী কষ্টই না করছে বাংলাদেশের মানুষ ... এই কষ্ট তাদের প্রাপ্য না ... মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ... দেশের খবর জানতে মানুষের খবর জানতে নিজের চোখে সবকিছু যাচাই করে দেখুন। বাংলাদেশে মানুষের অভাব নেই ... একটু কষ্ট করে প্রধানমন্ত্রীর ঘেরাটোপ ছেড়ে মিনিট খানেকের জন্য বাইরে আসুন ...নিজ চোখে দেখুন আমরা কীভাবে বেঁচে আছি ... আর পত্রিকার পাশাপাশি ব্লগ পড়ুন, ব্লগে লিখুন, ভাবনা বিনিময় করুন দেশের মানুষের সাথে ... আপনিই না ডিজিটাল বাংলাদেশে কথা বলেন ... প্রায়ই .... ............................................................................................. ............................................................................................. ............................................................................................. আগের আপডেটসমূহ ১.ঢাবির এক ছাত্র আমাকে ফোনে জানিয়েছে যে একটা সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আজ কালের মধ্যেই লেখাটা পাঠানোর ব্যবস্থা করার চেষ্ট করছে। ২. সন্দীপন বসু মুন্না ফোনে আমাকে জানিয়েছেন, উনি উনার পত্রিকার পুরো সমস্যাটি ধরে একটি বিশেষ আয়োজন করতে যাচ্ছেন। ৩.গতকাল রাত নয়টার দিকে ওয়ারিদ নাম্বার থেকে একজন ফোন করে আমাকে হুমকি দিয়েছেন। যিনি হুমকি দিয়েছেন, তিনি বারবার আমার লোকেশন জানতে চাচ্ছিলেন, আমি কোথায় আছি -ইত্যাদি।

গতকাল বেশ কিছু নাম্বার থেকে মৃদু হুমকি খেয়েছি। আজ রাতের হুমকিতে একটু ভড়কে গিয়েছিলাম। আমি খুবই ভীতু মানুষ। আমার মনে হয়েছিল, ইশশশশ .... কাউকে যদি কাছে পেতাম। আমি আলিম আর রাজি আর অমি রহমান পিয়ালের কাছে কৃতজ্ঞ, তারা ফোনে আমাকে যথেষ্ট সাহস যুগিয়েছেন।

তাদেরকে ধন্যবাদ। এখন মনে হচ্ছে, ওই উটকো ফোনে এতটা ভয় না পেলেও চলতো। কয়েকজন মানুষকে খুব ভাল করে চিনলাম। আমার একজন সহকর্মীকে ফোন করে আকুলভাবে বলেছিলাম, কে যেন আমাকে ফোনে হুমকি দিচ্ছে, তুমি একটু হেল্প করবে। উত্তরে সে কী বলেছিল সেটা নাইবা বললাম।

শুধু ইশ্বরকে ধন্যবাদ, তিন আমাকে ইতর এবং মানুষের পার্থক্য বার বার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। ৪. ইউনুস খান। তিনি লিখেছেছন, আওয়ামীলীগের এক প্রতিমন্ত্রীর সাথে আমার খুবই সুসম্পর্ক। উনাকে ফোনে রিকোয়েস্ট করলাম এই পোস্টটি পড়ার জন্য। ওয়েবের এড্রেসও দিলাম উনার পিএসকে।

উনি কথা দিসেন পোস্টটি উনি পড়বেন, ভালো হলে প্রধানমন্ত্রীকে পড়াবেন। দেখা যাক কি হয়। ৫. প্রচুর ফোন পাচ্ছি। যারা ফোন করে সমর্থন দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ। যারা ধমক দিয়েছেন তাদেরও ধন্যবাদ।

বোঝা যাচ্ছে ক্ষীণ করে হলেও একটা ধাক্কা লাগছে। ৬. আমি লেখাটিকে একটি মুভমেন্টে পরিণত করতে চাই। কীভাবে অনলাইন পিটিশন করতে হয় আমি জানিনা, কেউ কি এগিয়ে আসবেন, একটা অনলাইন পিটিশন তৈরী করি। ৭. লেখাটি পত্রিকায় ছাপানো দরকার। প্রথম আলো, আমাদের সময়, ডেইলিস্টারে পরিচিত কেউ আছেন ? ওদের ঠিকানায় চিঠি আমরা সবাই একে একে মেইল করলে কেমন হয় ? আমি আমাদের সময়ে মাত্র মেইল করলাম।

আমার মনে হয়, গাদাখানেক মেইল গেলে ওদের বোধোদয় হবে। ব্যক্তিগত যোগাযোগও কার্যকরী ভুমিকা রাখবে। ৭. অন্যান্য সকল ব্লগে লেখাটি কপি পেস্ট করার অগ্রিম অনুমতি দিলাম। ছড়িয়ে দিতে পারলে খুবই ভালো হয়। ) ............................................................................................. ............................................................................................. এখন পর্যন্ত সর্বশেষ আপডেট কী করা যায় বলুন তো ? আমরা আর কী করতে পারি ? আশাবাদী হবার মতো কোন আপডেট এখনও নেই তবুও আমি আশাবাদী হতে চাই কেননা প্রচুর ফোন এবং এসএমএস পাচ্ছি।

বিস্ময়কর ব্যাপার হল অনেকেই যে যার মতো ব্যক্তিগত উদ্যোগে চেষ্টা করছেন চিঠিটি প্রধানমন্ত্রী বরাবর পৌঁছানোর। আমি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি, প্রত্যেকেই এটা তার ব্যক্তিগত সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং একটি ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধানের জন্য যে আন্তরিকতা প্রয়োজন, অবিকল সেই একই আন্তরিকতা নিয়ে কেউ কেউ মাঠে নেমেছেন। ব্যাপারটি অভাবনীয়। কিশোরগঞ্জের একজন ব্লগার চেষ্টা করছেন স্পিকারের কাছে চিঠিটা পৌঁছানোর , যাতে স্পিকারের হাত হয়ে চিঠিটি প্রধানমন্ত্রীর হাতে পৌঁছায়। আহা, আমাদের প্রধানমন্ত্রী কত দূরে বাস করেন ? অনলাইনের এই আন্দোলনটি ডাউন টু আর্থ করার পরামর্শ দিচ্ছেন কেউ কেউ।

একজন বললেন, শাহবাহ থেকে টিএসসি পর্যন্ত রাস্তায় চক দিয়ে এই চিঠিটি লিখতে, যাতে প্রধানমন্ত্রীর নজরে এটি পরতে বাধ্য হয়। ব্যাপারটি নিয়ে ভাবা যেতে পারে। এই মুহুর্তে আমাদের দরকার যৌথ আলোচনা এবং কর্ম পরিকল্পনা। এই সমস্যায় যেহেতু আমরা ভয়াবহভাবে ভুগছি , এবার সময় এসেছে নিজেদের সমস্যা সমাধানের জন্য একটু গা ঝাড়া দিয়ে দাঁড়ানোর। আপনারা এই ব্যাপারে মতামত এবং পরামর্শ দিন।

কী করে একটি কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া যায়। আর প্রায়ই সবাই পরামর্শ দিচ্ছেন : লেখাটি সব পত্রিকায় গণহারে ইমেইল করার জন্য। আইডিয়াটা খারাপ না। ফিফা কমেন্টে লিখেছেন : মাত্র দুজন লোকের নজরে আনলে সেটা প্রধানমন্ত্রীর গোচরে আসবেই- ১. এইচটি ইমাম - প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা। ২. দীনা হক - প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক।

ফিফা, এদের সাথে যোগাযোগের কোনও লিংক আমার নেই। আপনার কিংবা অন্য কোনও ব্লগারের কী আছে ? থাকলে বেশ ভালো হতো । অন্যান্য আপডেটগুলো মূল লেখার শেষে সংযোজিত হল ........................................................................................ .............................................................................................

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.