পরে জানাচ্ছি
আমি নোভার ফ্যান। যদি জিজ্ঞাস করেন নোভার অমুক গানটা শুনছ, তাইলে আমি বলব, না, অমুক গান, না। যদি আমাকে নোভা ব্যান্ড নিয়ে আরও মামুলি, খুচরা টাইপ কোন প্রশ্নও করেন তাইলেও বলব যে জানি না। তাইলে আমি কেন নিজেরে নোভা ব্যান্ডের ফ্যান বইলা দাবি করতেছি?
স্কুল পলাতক মেয়ে। আমার যখন মন খারাপ থাকে, যখন আর কিছুই ভালো লাগে না তখনই আমি আমার কল্পনায় স্কুল ব্যাগ কাধে নিয়ে দুই বেনী করা মেয়েটিকে আমার দিকে ছুটে আসতে দেখি, চোখে মুখে তার দুষ্টামি।
খুচরা বাতাসে (ক্রিকেট ধারাভাষ্যকাররা এটাকে বলে জেন্টল ব্রিজ) সামনের অবাধ্য চুলগুলো ওড়ে।
আমি দুই বেনী করছি দেইখা হাইস না, প্লিজ। ভূতের মতো লাগতেছে? লাগুক। আমি ভূত তুমিও ভূত। ভূতে ভূতে কাটাকাটি।
ভূগোল ম্যাডাম সমুদ্র স্রোত পড়াবে। তাই বাঙ মারলাম। আমি কী বড় হয়ে কলম্বাস হব নাকি যে আটলান্টিক সমুদ্রের মতিগতি বুঝতে হবে। কালকে আম্মার সাথে ডেন্টিস্টটের কাছে গেছিলাম, আমার নাকি এনামেল কম। তুমি কি মন খারাপ করলা তোমার বউয়ের এনামেল কম বইলা? আমরা যখন বিয়ে করব, তখন তুমি প্রতিদিন অফিস থেকে আসার সময় আমার জন্য এনামেল নিয়া আসবা।
আনবা না! বল আনবা। আমার মাথা ছুয়ে বল।
আমার সেই কিশোরী মেয়েটা এখনো কিশোরীই আছে। এখনো পলাতক। আমার ভেতর।
ঘর অন্ধকার করে দিয়ে যখন পিঙ্ক ফ্লয়েড শুনি...সেট দ্য কন্ট্রোল টু দ্য হার্ট অব দ্য সান...সে গুটিসুটি মেরে বসে থাকে আমার পাশে। ফিসফিস করে বলে, খুব ভয় লাগছে, ভালোও লাগছে। কি করবো? আচ্ছা আমি যদি মরে যাই তুমি এই গানটা আর শুনো না। তোমার অনেক কষ্ট লাগবে। অনেক কষ্ট।
বল আর শুনবা না। মাথায় হাত দিয়ে বল। আমি তার ভেজা গালে হাত দেই। নীলচে আলোয় আমার হাত ভরে যায়।
খুব স্বার্থপর আমি।
মেয়েটিকে আর বড় হতে দেইনি। এখনো তাকে কিশোরীই বানিয়ে রেখেছি। মাঝে মাঝেই তীব্র অভিমানে আমাকে দোষারোপ করে। আমি খাই না দাই না। ফিরে ফিরে খুজি সেই বিষন্ন দুপুরের পলাতক মুখ।
এই পলাতক মুখটির কথা আমি বলতে পারি না। কোথাও না। জলে স্থলে অন্তরীক্ষেও কোথাও না। ফেসবুকে স্টাটাস দিয়েছিলাম সেদিন একটা, হা হা করে ছুটে এলো কয়েকজন। করো কি করো কি তুমি।
কিছু একটা করতে গেলেই চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এলোমেলো মহাভারত সব অশুদ্ধ হতে থাকে। আমি আর মহাভারত অশুদ্ধ করতে চাই না। জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক, সকল মহাভারত পবিত্র থাকুক।
পলাতকের এই ব্লগে সবাইকে স্বাগতম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।