আমি ঐশী,আপনারা নিশ্চই আমাকে চিনেন। আমি জানি আমি আমার মা-বাবা দুজনকেই খুন করেছি আপনারা সবাই জানেন এটা। কিন্তু কেন?কারণ টা কি জানার চেষ্টা করেছেন কখনো?
হ্যাঁ অনেকেই ভাবছেন আমি নেশা করতাম আমার বন্ধু বান্ধব খারাপ ছিল ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু কেন আমি এসব করেছি?
আমি যখন ছোট ছিলাম আমার মা বাবা দুজনের কেউ-ই আমাকে সময় দিতেননা। তাঁরা টাকা ধরার কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
আমি বড় হই বাসার বুয়ার কাছে , ঢাকা শহরের অনেক উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়েরাও একই ভাবে বড় হচ্ছে। আমি যখন স্কুলে ভর্তি হলাম তখন নানান ধরনের মানুষ দেখলাম অনেকেই বন্ধু হতে চাইল , নিজেকে অন্যের কাছে প্রথমবারের মত মুল্যবান মনে হল।
আমি এভাবে বড় হতে লাগলাম আমার মা বাবা শুধু আমার থাকা খাওয়া পড়া এই বিষয় গুলোর জন্য টাকাই দিত কিন্তু নিজেরা তদারকি করত না। শাসন কাকে বলে তাও জানিনাই যখন জানতে পেরেছি তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। যাই হোক আমি বালিকায় পরিনত হলাম এক বালককেও ভাল লাগলো ।
তার সাথে ভালবাসার সম্পর্ক হল ,তাঁকে অনেক আপন ভাবতাম তার জন্যে নিজেকে সঁপে দিলাম। কিন্তু সেও আমাকে ছেড়ে চলে গেল । আমি আবার হয়ে গেলাম একা,খুব একা। তখন আমার নতুন বন্ধু হল নেশা । এই নেশা এমন বন্ধু যা কখনো কাওকে ছেড়ে যায়না ।
আমাকেও ছাড়লনা । অবশেষে আমি সেই প্রথম প্রেমিককে ভুলার জন্য নতুন সম্পর্ক করলাম ,কিন্তু কথায় আছে নেড়া বেলতলায় একবারই যায়, তবু আমি গেলাম কিন্তু এবার সাবধানে গেলাম ছেলেদের বিশ্বাস করতে ভয় লাগল। খুব ভয়।
দুঃখিত কান্না চলে আসল।
যাই হোক,উক্ত কারনে আমি বয়ফ্রেন্ডের বাজার খুলে বসলাম।
নিজের কামবাসনার তীব্রতা সহ্য হলনা। তাই তাদের প্রত্যেকের সাথেই কামবাসনা পূর্ণ করলাম।
আমার হাতখরচ লাখটাকা ছিল কিন্তু বন্ধুদের নিয়ে নেশা করা,হোটেলে বয়ফ্রেন্ডদের নিয়ে রাত জাপনের জন্য পরযাপ্ত নয়। তাই মা বাবাকে আরো টাকা দিতে বললাম তারা দিলনা। মনে তখন দারুন আগুন লেগে গিয়েছিল ।
তাদের শাসন আমার খুব বাজে লাগত। একসময় তারা আমাকে মারত । বন্ধুদের বললাম ,তারা পরামর্শ দিল খুন করতে। বলেছিল সাহায্য করবে বিদেশে চলে যেতে পারব। কিন্তু কেউ পাশে এলনা।
সব স্বারথপর। আমি আবার একা। এখন জেলখানার দেওয়াল আমার সাথী।
ভাল থাকবেন। আপনার সন্তান্দের সময় দিবেন,ধর্মীয় শিক্ষা বড় শিক্ষা এটার তুলনা হয়না,এটা দিতে ভুলবেন না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।