প্রত্যেক সংসদ সদস্যের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়ন করার জন্য একনেক সংসদ সদস্যদের মাথাপিছু ১৫ কোটি টাকা করে বরাদ্ধ করেছে। সংসদ সদস্যদের কাজ আইন প্রণয়ন করা, মোটেও এলাকার উন্নয়ন না।
কিন্তু আমরা সব সময়েই দেখি এলাকার স্কুল কলেজ, ক্লাব বা সংগঠনের সভাপতি হওয়ার জন্য সাংসদরা তাদের সময় ব্যায় করেন অনেক বেশি। এই কাজ করতে গিয়ে তাদের অনেক টাকা পয়সাও খরচ হয় (যদিও সেই টাকার বৈধ কোন হিসেব অধিকাংশ সময়েই থাকে না)। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নিজের নির্বাচনী এলাকায় প্রভাব বিস্তার, বিরোধীদলীয় লোকজনদের দৌড়ানির উপর রাখা আর সংসদ সদস্য পদ টিকিয়ে রাখা।
সাংসদদের কাজ দেখে মনে হয় তারা নির্বাচিত হয়েছেন এলাকার রাস্তা-ঘাট-স্কুল-কলেজ-মসজিদের উন্নয়নের জন্য। আইন প্রণয়ন তাদের কাজ নয়।
এবারের সরকার আরো এক কাঠি সরেস। তারা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের জন্য সাংসদদের ১৫ কোটি টাকা করে বরাদ্ধ দিয়েছে। সাংসদরাই যদি উন্নয়ন তহবিলের টাকা নিয়ে কাজ করবে তাহলে এলজিআরডি, রাজউক, সিটি কপোরেশন কি কাজ করবে তা সরকারই জানে।
এই টাকা অবশ্যই ছাত্ররীগ-তরুণলীগ-যুবলীগের নেতাদের পকেটে যাবে(তবে অবশ্যই এর একটা বড় অংশ সংসদ সদস্যদের পাসোর্নাল উন্নয়ন তহবিলে জমা থাকবে)। কারন এখন দেশের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডের টেন্ডার তারা পেয়ে বসে আছে।
সরকার ইতোমধ্যে টের পাইছে সামনের নির্বাচনে তার আর পাশ করা লাগবে না। কারণ পাবলিক বিএনপির কু-কির্তী ভুলতে শুরু করছে। তাই সাংসদদের নির্বাচনী প্রচারণা এখন থেকেই শুরু করার জন্য এই বরাদ্ধ।
এই বরাদ্ধ নিশ্চিতভাবে সাংসদদের দূর্নীতি করতে সহায়তা করবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।