ঢাকা মহানগরীর জামায়াতের আমির তিনি। নাম তার রফিকুল ইসলাম খান। নামের শুরুতে 'মাওলানা' শব্দটিও রয়েছে। সম্প্রতি তিনি ৬০ লাখ টাকা মূল্যের একটি গাড়ি কিনেছেন। গাড়িটির দাম মূলত আরো অনেক বেশি।
সেকেন্ড হ্যান্ড হওয়ায় গাড়িটি তুলনামূলকভাবে কম দামে ক্রয় করা সম্ভব হয়েছে।
গাড়িটি জামায়াতের সাংগঠনিক অর্থে কেনা হয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে এটি কেবল রফিকুল ইসলাম খানই ব্যবহার করতে পারবেন।
সাদাসিধে জীবনের ইসলামি তত্ত্বের বাইরে এসে বিলাসী জীবনে অভ্যস্ত হবার ব্যাপক প্রচলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে জামায়াত-শিবির নেতৃত্বের মাঝে। তারই অংশবিশেষ আর আই খানের এই বিলাসবহুল গাড়িটি।
নিজামী-মুজাহিদের একান্ত ঘনিষ্ঠজন এই রফিকুল ইসলাম খান একসময় শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গঠন হয়। শিবিরে বর্তমান সময়ে যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব চলছে, তাতে এই রফিকুল ইসলাম খানের প্রত্যক্ষ ইন্ধন রয়েছে বলে জানা গেছে। ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত উগ্র স্বভাবের পক্ষান্তরে প্রচণ্ড চাটুকার হওয়ায় জামাত-শিবিরের ভেতরে বাইরে তিনি দারুণভাবে সমালোচিত। তবে সংগঠনটির ডিসিশন মেকারদের সাথে তার ভালো দহরম মহরম রয়েছে।
জানা গেছে, যুদ্ধাপরাধের মামলায় নিজামী-মুজাহিদ কারাবন্দি কিংবা দণ্ডপ্রাপ্ত হলে তাদের অবর্তমানে দলটির কেন্দ্রীয় আমির হবার ব্যাপারে রফিকুল ইসলাম খান বেশ আশাবাদী। এ লক্ষ্যে সংগঠনটির উচ্চ পর্যায়ে তিনি ব্যাপক তৎপরতা ও লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।