সাধারণ একজন মানুষ। ক্রিকেটে এখন আলোচিত বিষয় ম্যাচ ফিক্সিং। ভারতের আইপিএল কান্ডের পর বিপিএল নিয়েও তদন্ত চলছে। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের গোড়ায় রয়েছে জুয়া। ক্রিকেট বাণিজ্যে জুয়া এখন ক্যানসারের মতো ছড়িয়ে পড়েছে।
আমার শহর সিলেটও এর বাইরে নেই। ছোট ছোট চায়ের দোকান থেকে শুরু করে একেবারে অভিজাত হোটেল এমনকি বসার ঘরেও বসে বাজির আসর। দশ টাকা থেকে লাখটাকা পর্যন্ত বাজির দর ওঠে। সিলেট শহরের প্রায় প্রতিটি পাড়া মহল্লা, গলির চায়ের দোকান, ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীর দোকান, ফাস্টফুডের দোকান এ চলে বাজি ও জুয়া। এতে বেশি অংশ নেয় নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন ও যুবকরা।
তাছাড়া দাড়িয়াপাড়া, শেখঘাট, মদিনা মার্কেট, পীরমহল্লা, টিলাগড়, শিবগঞ্জ সহ আরও অনেকগুলো স্থানে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী জুয়ার চক্র। সেগুলোতে পেশাদার জুয়াড়ী, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের লোকজন জুয়ার নেশায় লগ্নি করছে। অনেকেই সর্বসান্ত হচ্ছে। কিছু প্রভাবশালী লোকজন এগুলোর সাথে জড়িত। প্রশাসন পুরোপুরিভাবে উদাসীন।
খুব শীঘ্রই যদি ব্যবস্থা নেয়া না যায় তাহলে পরিস্থিতি আর খারাপ হবে। সামনে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। নির্বাচন এর কারণে অনেক পেশাদার সন্ত্রাসী মাঠে রয়েছে, যাদের অনেকেই এই জুয়ার সাথে জড়িত। যেখানে বিশাল পরিমাণ অবৈধ অর্থ জড়িত সেখানে মদ, মাদকের মতো নেশাও থাকবে এটাই স্বাভাবিক। খুব শীঘ্রই যদি এই জুয়ার আসরগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে হয়ত খুন-জখমের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
প্রশাসন ও সরকারের কর্তাব্যক্তিদের কাছে এক্ষুনি এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।