টেস্ট বা ৩/৪ দিনের ম্যাচে দুই ইনিংসে কোন ব্যাটসম্যান ডাব্বা মারলে অর্থাৎ ০ রানে আউট হলে একে ক্রিকেটের আদিভাষায় বলে পেয়ার। ( জোড়া শূন্য ! আহা কি জুটি !) বাংলায় নামটা বেশ কৌতুককর- চশমা ! সুনীল গাভাস্কারের সাথে চেতন চৌহান এক সময় ওপেন করতেন। তিনি এক টেস্টে চশমা পাবার সময় আমার এই জ্ঞানলাভ হয় যে ক্রিকেটে চশমা আসলে কী বস্তু। বাংলাদেশে এই জ্ঞান নতুন করে লাভ করার মওকা দিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্যাপ্তান, বাংলাদেশের ক্রিকেটের মুকুটহীন সম্রাট মহামান্য আশু। যাকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়ার অধিকার বা সাহস রাখেন না মাননীয় নির্বাচকবৃন্দ।
তার ইচ্ছায় তাকে ''বিশ্রাম'' দেওয়া হয়েছে।
সেই বিশ্রাম আবার ঘরে বসে খেলা দেখা নয়। জাতীয় লীগে ঢাকা বিভাগের হয়ে নেমেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিলো ব্যাটিং দিয়ে নির্বাচকদের, সাথে আমরা যারা তার শুভ্রস্থানীয় অনুরাগী নই তাদের একটা উচিৎ জবাব দেয়া। সেটা তিনি দিয়েছেনও।
দুই ইনিংসেই ০ রানে আউট !!!!
এই অনন্য উচ্চতার ব্যাটিং প্রদর্শনীতে মুগ্ধ হয়ে আমাদের নির্বাচকরা তাকে বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করেছেন। টেস্টের আগে ইংল্যান্ডের সাথে প্রস্তুতিমূলক তিনদিনের ম্যাচের জন্য ঘোষিত বাংলাদেশ ''এ'' দলের অধিনায়ক বানানো হয়েছে আশুকে। এর ভেতর দিয়ে নির্বাচকবৃন্দ নিজেরা সম্মানিত(!?) হয়েছেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটকেও গৌরবান্বিত (!?) করেছেন।
যে ম্যাচের জন্য আশু বাংলাদেশ ''এ'' দলের অধিনায়ক হলেন সেই ম্যাচেও দুটি ইনিংস হবে। সেখানে যদি আশু একই প্রকার ব্যাটিং কৃতিত্ব দেখিয়ে চশমা লাভে সমর্থ হন তাহলে সাম্প্রতিককালে অধিনায়কত্ব নিয়ে সাকিব ও মাশরাফির ভেতর যে মন কষাকষি শুরু হয়েছে আমাদের নির্বাচকবৃন্দ বাংলাদেশ জাতীয় দলকে সেই মন কষাকষি থেকে বাঁচানোর সুযোগ পাবেন।
চশমার জোরে আশু জাতীয় দলের অধিনায়কত্বটা ফিরে পেয়ে যেতে পারেন !
আহা কী আনন্দ (ক্রিকেটের) আকাশে বাতাসে !!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।