আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চশমার কারিশমা: উৎসর্গ সাবি্বর



দশম শ্রেণীতে থাকতে কয়েকজন ক্লাশমেটকে দেখেছিলাম চশমা পরতে। অন্যরা বলতো অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে চোখের পাওয়ার কমে গেছে তাই এরা চশমা পরে। কিন্তু আমার এইসব কথার কোন গুরুত্ব নেই বরং চশমা পরাটাকে কেমন গবের মনে হলো। চশমা পরার ইচ্ছা জাগলো মনে। তাই বুঝি সব ঝাপসা দেখা শুরু করলাম।

বাবাকে বলে চক্ষু হাসপাতালে গিয়ে চেকআপ করালাম। বাংলা ইংরেজীর বণমালা সবের পরীক্ষা দিলাম কয়েকবার। কিন্তু ফলাফল কিছুই হলোনা। চশমার বদলে একটা ড্রপ ধরিয়ে দিলেন অপটিশিয়ান। এর কয়েকমাস পরে আবার গেলাম।

কোন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলেই ইচ্ছে করে আমতা আমতা ভান করে উত্তর দিলাম যাতে অপটিশিয়ান বুঝে যে আমি চোখে ঝাপসা দেখি। অবশেষে তাই হলো। আমাকে খুব কম পাওয়ারের চশমা দেয়া হলো। আমিতো বেজায় খুশি। পছন্দমত দেখে একটা চশমা কিনে নিলাম এরপর স্কুলে গিয়ে একটা ভাব ধরলাম।

ক্লাশমেটরা খেপাতে লাগলো যে আমি নাকি অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করি তাই চশমা লাগলো। এসব আমার কানে যায়না। এর কিছুদিন পর দাদুর বাড়ী গেলাম। দাদুর চোখে মোটা কাচের চশমা। চশমা ছাড়া কিছুই দেখেন না।

আমাকে চশমা পরা দেখে ব্যাথিত কনেঠ বললেন এত অল্প বয়সে চোখ হারালে দাদু? এই চোখ যে কত বড় নিয়ামত চক্ষুহীনরা বোঝে। এই কাচের চশমাটা আমার অনেক প্রিয়। একমাত্র এই পারে আমাকে এত সুন্দর দুনিয়া দেখাতে। এরপর আর কোনদিন চশমা পরার ইচ্ছা জাগেনি মনে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।