আমি আইনের কথা ই শুধু বলবো। যুদ্ধ অপরাধীর ফাঁসি চাই না,
ন্যায় ও ন্যায্য বিচার চাই !!!
শাহবাগে তরুণদের আন্দোলন দেখছি অনেকদিন ধরে, ফাঁসির দাবীতে জেলায়, উপজেলায়, শহরে ও নগরে নব জাগরণের মঞ্চ দেখছি। হরেক রকম ভাবে আন্দোলনের প্রতিক্রিয়া দেখছি দেখছি তার বিরুদ্ধে অনেকের ঝাঁজালো বক্তব্য বা এই প্রতিক্রিয়ার বিরুদ্ধে অনেকের প্রতিক্রিয়া!!! বলতে শুনেছি গণদাবীর কথা ও শুনেছি কবির সুমনের গান। একটা সময় মনের মাঝে নিজের কথা নিজেই শুনেছি আর ভেবেছি যে আমিও তো যুদ্ধ অপরাধীর বিচার চাই। মনে হয়েছে কাদের মোল্লার তো ফাঁসিই প্রাপ্য।
মুক্তি যুদ্ধ দেখিনি, তবে পত্র পত্রিকার বক্তব্য থেকে জেনেছি কাদের মোল্লার মত শত শত যুদ্ধ অপরাধী যে ঘৃণ্য অপরাধ করেছে তার ফিরিস্তি।
সকল সময় আমি চেয়েছি এই সকল নর পিচাশের সর্বোচ্চ শাস্তি। আমার মনে হয় এহেন কুকর্মের জন্য এই সকল দেশ বিরোধী তথা কথিত মানুষদের শাস্তি হোক। কিন্তু, আমি একটি বারের জন্যও বলবো না সকল রাজাকার, আল বদর, আল শামসের ফাঁসি হোক। নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন ???
একটি বারের জন্য ভাবুন আমাদের মা-বোনেরা বা কাজের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মীরা কি চাউল থেকে কঙ্কর, আগাছা বাছেন নাকি কঙ্কর আগাছা থেকে চাউল বাছেন??? উত্তর একটাই কঙ্কর, আগাছাই বেছে বেছে ফেলে দেন।
মুক্তি যুদ্ধের এত বছরে আমরা অনেক গুলো মুক্তি যোদ্ধার লিস্ট দেখেছি !!! কখনো কি দেখেছি রাজাকার, আল বদর, আল শামসের লিস্ট ??? না দেখিনি !!! কেন দেখিনি ? জানিনা !!! কি মুশকিল, তাহলে কি কঙ্কর, আগাছা থেকে চাল বেছে আলাদা করছি অনেক কষ্ট করে ??? তা তো করার কথা ছিল না !!! প্রয়োজন ছিল রাজাকার, আল বদর, আল শামসের লিস্ট করা ও তাদের একটি কুকর্মের লিস্ট করা। কেন পারিনি রাজনৈতিক নেতারা ভালো বলতে পারবেন।
এখন আসি আমি কেন রাজাকার, আল বদর, আল শামসের ফাঁসি চাই না। উত্তর সহজ ও সোজা। আমি কারোই ফাঁসি চাইতে পারি না।
আমি যেটা চাই তা Proper Justice বা ন্যায় বিচার ও ন্যায্য বিচার ( বিএনপির পক্ষে গেলে দুঃখিত)। আশা করি এতেই ঘৃণ্য অপরাধীর সঠিক বিচার হবে। কেন শাহবাগের তরুণেরা ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই বলা বাদ দিয়ে ন্যায় ও ন্যায্য বিচার চাই এই কথা বলছে না ??? (আঃ লিগের বিরুদ্ধে গেলে দুঃখিত) আমি কারো পক্ষে বা বিপক্ষে ওকালতি করার জন্য শপথ নেই নি !!!
আমি এহেন কুকর্মের জন্য সত্যি সত্যি কারো ফাঁসি চাই না !!! অপরাধ প্রমাণিত হলে আমি ভিন্ন প্রকৃতির শাস্তির বিধান করতে চাই প্রয়োজনে দণ্ড বিধির পরিবর্তন করে হলেও।
শাস্তিঃ একটি বড় কাচের চৌবাচ্চা থাকবে, তাতে পানি থাকবে অথৈ পরিমাণ সাথে থাকবে অসংখ্য জোঁক। সেই পানিতে যুদ্ধ অপরাধীকে ছেঁড়ে দিতে হবে।
এই চৌবাচ্চা সকলে দেখতে পারে এমন খোলা জায়গায় হবে। সকলে দেখবে জোঁক গুলো পিচাশের রক্ত মাংস কীভাবে গলদ করন করে। যদি হাড় ও নাড় বেচে যায় তা রাস্তার অভুক্ত কুকুর দের দেয়া যেতে পারে যাতে ওরা নিজেদের মধ্যে বলা বলি করতে পারে যে ৭১ এ ওদের দাদা বা পর দাদারা যে স্বাদ নিয়েছিল তা ২০১৩ সালে ওরা পেল।
(কাউকে মন কষ্ট দেয়া লেখকের কাম্য নয়। ) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।