h
গত পর্বে প্রিয় কিছু নন হলিউডি ম্যুভি দিয়েছিলাম, এবারও কিছু প্রিয় নন হলিউডি ম্যুভি ও কাহিনীর সংক্ষেপ ও ডাউনলোড লিঙ্ক সহ দিচ্ছি।
১। ভোসেস ইন্নোসেন্টস (ইন্নোসেন্ট ভয়েস ২০০৪) মেক্সিকান ম্যুভি, ১৯৮০ সালে ঘটে যাওয়া এল সালভাদোরের গৃহযুদ্ধ নিয়ে কাহিনী, প্রযোজক লুইস মান্দোকি। ১১ বৎসর বয়সের ছেলে শাভা, ছোট ভাই ও তার মা কেল্লা কে নিয়ে গড়ে ওঠা এই ছবির পটভূমি। বাবা গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরই মার্কিন মুল্লুকে নিরুদ্দেশ।
শিশুদের কিভাবে এই ঘৃণ্য যুদ্ধে শামিল করা হয়,গেরিলা যুদ্ধে নিজেদের বাল্যবন্ধুর হাতে অপর বন্ধুদের মৃত্যু কিভাবে একটা ছেলেকে প্রতিবাদী করে তোলে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক।
টরেন্ট লিঙ্ক
২। তেগুকগি (ব্রাদারহুড অফ ওয়ার ২০০৪)কোরিয়ারন ম্যুভি, আমার দেখা যুদ্ধের ওপর নির্মিত অন্যতম সেরা ম্যুভি যেখানে কোন মহান মার্কিন বীর সেনানী পরের মাটিতে যুদ্ধ করে নিজের দেশের স্বাধিনতা রক্ষা করেনি! ১৯৫০ সালের কোরিয়ান যুদ্ধের পটভূমি নিয়ে নির্মিত। উত্তর কোরিয়া কমিউনিস্ট সরকার আর দক্ষিন কোরিয়ার সামরিক সরকারের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সে যুদ্ধ যা আজ অবধি বিরাজমান। ছবিটিতে মানবিক দিকটি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে অত্যন্ত সুনিপুনভাবে।
দেখানো হয়েছে যুদ্ধ, ক্রোধ, ঘৃণা, সমাজতন্ত্র বা সৈরতন্ত্র থেকে প্রেম, ভ্রাত্যি্ত্ব আর সহমর্মিতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, পরিবারের বা আপনজনের তুলনায় কোন –ইজম বড় নয়। দেখা না থাকলে অবশ্যই দেখবেন ছবিটি।
টরেন্ট লিঙ্ক
ইউটিউব লিঙ্ক
৩। হোয়াইট (ত্রি কালারস – হোয়াইট ১৯৯৪)আবার এলো কাইস্লোওয়াস্কি। অনেকেই হয়তো কাইস্লোওয়স্কির থ্রি কালারস(রেড-ব্লু-হোয়াইট) দেখেছেন তার মধ্য থেকে আমার সবথেকে ভালো লেগেছে এই হোয়াইট ম্যুভিটি।
হতাশাগ্রস্থ এক স্বামীর,তার উচ্চাভিলাসী ও পরকিয়া প্রমে মত্ত স্ত্রীর প্রতি প্রতিশোধ কতটা মধুর হতে পারে, বুঝবেন ছবিটি দেখে।
টরেন্ট লিঙ্ক
৪। ডাস লেবেন ডের এনডেরেন (দ্যা লাইভস অফ আদারস ২০০৬) জার্মান ছবি, বার্লিন দেয়াল ভাঙ্গার আগে পুর্ব জার্মানির ত্রাস সিক্রেট পুলিশ স্তাজির অত্যাচারে সাধারন মানুষের জীবন দুর্বিসহ, এর পর আবার যোগ হয়েছে দুর্ণিতিবাজ মন্ত্রী। দেশের বুদ্ধিজীবি মহলের একটা অংশ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য রুখে দাড়ায়, আর তাদের পেছনে লেলিয়ে দেয়া হয় সিক্রট পুলিশদের। এমনই এক সিক্রেট পুলিশ, আর ক্রমে ক্রমে তার সরকারের বিরুদ্ধে চলে যাওয়ার কাহিনী নিয়ে এই ছবিটি।
যারা স্পাই ম্যুভি পছন্দ করেন তাদের ভালো লাগবে আশা করি।
টরেন্ট লিঙ্ক
৫। পারসোনা (১৯৬৬) প্রখ্যাত সুইডিশ পরিচালক ইঙ্গমার বার্গম্যানের তৈরী মনস্তাত্বিক ছবি। ছবির সিনেমাটোগ্রাফী বাদ দিলেও মনস্তাত্বিক বিশ্লেষণ অত্যান্ত সুনিপুন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক। দুইজন মহিলা,এক বিখ্যাত অভিনেত্রী আর তার নার্সকে নিয়ে গড়ে ওঠা ছবির পটভূমি।
একজনের ব্যক্তিত্বকে অপরজনের ওপর কতটুকু গুঢ় প্রভাব ফেলে তা দেখা যাবে ম্যুভিটিতে।
টরেন্ট লিঙ্ক
৬। দ্যা লাস্ট এমপেরর (১৯৮৭) ইতালিয়ান পরিচালক বার্তোলুচ্চি-র পরিচালনায় চায়নার মাঞ্চু বংশের শেষ সম্রাট পুই কে নিয়ে গড়ে ওঠা পটভূমি। যদিও ছবিটা কলম্বিয়া পিকচার্স রিলিজ দিয়েছে, কিন্তু তবুও ঠিক গতানুগতিক হলিউডি ম্যুভি মনে হয়নি আমার কাছে। প্রবল পরাক্রমশালী সম্রাটের অপরিপক্কতা আর রাজনৈতিক ভূল সিদ্ধান্তের কারনে সাধারন মালীতে পরিনত হওয়া, যেন রূপকথার ঠিক বিপরীত প্রতিচ্ছবি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাককালে চায়নার অনেক অজানা ইতিহাস, বাল্য সম্রাটের প্রাসাদ ষড়যন্ত্র,তথাকথিত স্বাধিন পুতুল রাষ্ট্র ‘মাঞ্চুকাওয়া’ আর চায়নার বিপ্লব সবকিছু মিলে এক অসাধারন ছবি।
টরেন্ট লিঙ্ক
আপাতত এই পর্যন্তই থাক, আগামী পর্বে আরও কিছু ছবি নিয়ে আসব…
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।