ধোপার গাধায় ভরে গেছে হিন্দু সমাজ। এরা যুক্তির পথে, শাস্ত্রের পথে চলে না। চলে বাপ-দাদাদের দোহাই দিয়ে ধোপার গাধার মতো।
বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, মহাকাব্য সর্বত্রই নির্দেশিত আছে যে ব্রাহ্মণ কোন জাত নয়, এটা একটি গুণ। শম, দম, তপ, শৌচ, ক্ষান্তি, আর্জব, জ্ঞান, বিজ্ঞান ও আস্তিক্য- এই গুণগুলি যাঁর মধ্যে আছে, সেই-ই ব্রাহ্মণ।
জন্ম দ্বারা কেহই ব্রাহ্মণ হয় না। তার প্রমাণ বেদব্যাস, কুমারী কৈবর্ত কন্যার গর্ভে জন্ম নিয়েও জারজ সন্তান ব্যাস হয়ে গেলেন জগদ্গুরু। বেশ্যার গর্ভে জাত বশিষ্ঠ হয়ে গেলেন মহামুনি। বেশ্যার গর্ভে জাত দ্রোনাচার্য হলেন কৌরব ও পাণ্ডবদের অস্ত্র গুরু। দস্যু রত্নাকর হলেন মহামুনি বাল্মীকি।
দাসীগর্ভ-জাত নারদ হলেন দেবর্ষি। জবালার ছেলে সত্যকাম হলেন একজন শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণ। কায়স্থকুল-জাত নরেন্দ্রনাথ দত্ত হলেন স্বামী বিবেকানন্দ। বৈদ্য-বংশ জাত বঙ্কিম দাসগুপ্ত হলেন ড. মহানামব্রত ব্রহ্মচারী। ঋষি সংকৃতির দুই পুত্রের মধ্যে রন্তিদেব হলেন ক্ষত্রিয় আর গৌরীবিথী হলেন ব্রাহ্মণ।
এমনি করে হাজারো উদাহরণ থাকা সত্ত্বেও আজকের এই তথাকথিত শিক্ষিত হিন্দুগুলো কুকুরের স্বভাব নিয়ে গুণহীন কুখাদ্য-ভক্ষকারী পৈতাসর্বস্ব পশু-ব্রাহ্মণদের পা চেটে চলছে। অন্যদিকে শ্রাদ্ধ এবং নানা বিধি উপলক্ষে ত্রেতাযুগের রাক্ষসকুল তথা এ যুগের বিপ্রকুলকে যেভাবে খাওয়াচ্ছে, তার একটাও শাস্ত্রসম্মত নয়। জয়দেব তাঁর চৈতন্যমঙ্গলে লিখেছেন-
স্নান-সন্ধ্যা দেবার্চনা ছাড়িল ব্রাহ্মণে।
শূদ্রের জীবিকা করে ভয় নাহি মনে।
শূদ্র-স্ত্রী সঙ্গম করে শূদ্র-ভক্ষ্যে রত।
মৎস্য-মাংস লোলুপ ব্রাহ্মণ সব যত।
ব্রাহ্মণ আজ যাকে বিয়ে করছে, সেও শূদ্রাণী। নিজের বিবাহিতা স্ত্রী যদি খাবারের সময় কোনভাবে পতিকে ছুঁয়ে দেয়, তাহলে ব্রাহ্মণের আহারও বন্ধ হয়ে যায়। বিছানায় ঢলাঢলিতে ব্রাহ্মণ অশুদ্ধ হয় না !
আর এ সকল বদমাশদের যারা পা চাটে, সেসব তথাকথিত অশিক্ষিত হিন্দুগুলোকে আগে প্রয়োজনে পিটিয়ে হলেও মানুষ করতে হবে। কারণ এরা পুঁথিগত শিক্ষিত হলেও আচরলে অশিক্ষিতই রয়ে গেছে আর এরাই সমাজ-ধ্বংসের ঘৃণিত দুষ্টব্রণ।
এদের অপসারণ অবশ্যই জরুরী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।