ধৈর্য
সোশ্যাল মিডিয়া বরাবরের মতই আমার আগ্রহের একটি বিষয়। একসময় যখন ফেসবুকে প্রথম একাউন্ট খুললাম তখন দেখলাম ফেসবুক ছিল একটা ঘরোয়া পার্টির মত। কেবল আমার বন্ধুরা আসছে, গ্রুপ জোক, আর হাল্কা কথা বার্তা। তবে টুইটার প্রথম থেকেই কিঞ্চিত সিরিয়াস জায়গা। সেখানে আপনার নিছক কথায় আপনার চেনা লকজন হাততালি দিবেনা।
বরং আপনার কথায় যদি জোড় থাকে তাহলেই সেটা সবার মুখে ধ্বনিত প্রতিদ্ধনিত হতে থাকবে।
ক্রমে সোশ্যাল মিডিয়া গুলার বিবর্তন হল। বাংলা কম্যুনিটি ব্লগ জনপ্রিয় হল। অন্যদিকে করে ফেসবুক এখন হয়ে গেছে একটা পার্কের মত। প্রত্যেকের নিজস্ব একটা কর্নার আছে।
কথাও জটলা করে ফুটবল নিয়ে মাতামাতি হচ্ছে, কথাওবা হচ্ছে তরকযুদ্ধ, আর স্পিকারস কর্নারে একের পর এক ফেবু সেলিব্রিটিরা সাম্প্রতিক বিষয় কিম্বা রাজনীতি নিয়ে বক্তিতাবাজী করছে। আপনি যখন যেখানে খুশি বসে যেতে পারেন।
তবে যে জিনিষটা বুঝতে পারছি যে, চ্যটরুমের মত হাল্কা মেজাজ ত্যগ করে মোটামুটি সব সোশাল মিডিয়াই এখন বড় হয়েছে। এর ব্যবহারকারী কিশোরেরা এখন যুবক। রাজনীতি নিয়েই এখন তাদের যত আগ্রহ।
মিশরের তাহ্রির স্কয়ার থেকে শুরু করে দেশে দেশে অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলন আর হালের শাহবাগ আন্দোলনে আমরা এই যুবকদেরকেই দেখছি।
এই ব্যপারটা নিয়ে একটা থিসিস পেপার লেখার প্রয়াস নিয়েছি সাম্প্রতিক। আপনারাও এই গবেষণায় সাহায্য করতে পারেন একটা অনলাইন সার্ভেতে অংশ নিয়ে। সার্ভেটি পাবেন এইখানে । সার্ভেতে অংশ নেয়ার অনুরোধ রইল আপনাদের সবাইকে।
উল্লেখ্য কম্যুনিটি ব্লগ আর ইউটিউবের মত সাইট গুলাও সোশ্যাল মিডিয়া।
ধন্যবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।