ফাগুনকে আরো মনে পড়ে, মেঘ এলে ফাগুনে। সোনা সে তো খাঁটি সোনা হয়, পুড়ে গেলে আগুনে।
কয়দিন আগে সীতাকুন্ডের ইকোপার্কে গিয়েছিলাম ঘুরতে। সহস্রধারা ঝরনা দেখে এলাম। যেহেতু শীতের একদম শেষে গিয়েছিলাম তাই হতাশ হতে হয়েছে।
ঝরনায় পানির প্রবাহ একদমই ছিলোনা। আর শীতের প্রকোপ থেকে প্রকৃতিও রেহাই পায়নি। অধিকাংশ গাছেরই পাতা ঝরে শুধুমাত্র কঙ্কাল দাড়িয়ে আছে। আর আমাদের কপাল এতই খারাপ যে, ওইদিন প্রকৃতিও মুখ গোমরা করে রেখেছিল। কুয়াশার জন্য মুঠোফোনে তোলা ছবিগুলোও হয়েছে যাচ্ছেতাই।
তবে আমাদের সময়টা খারাপ কাটেনি। বন্ধুরা মিলে হইচই করতে করতে ঝরনা পর্যন্ত যাওয়া আর ক্লান্ত অবসান্ত দেহে হেটে হেটে ফিরে আসা। মজাই আলাদা।
মূল ফটক থেকে তিন কিলোমিটার পাহাড়ী পথ অতিক্রম করে ঝরনার দর্শন লাভ করতে হয়। বরই কষ্টসাধ্য ব্যাপার, বিশেষ করে যারা হেটে যেতে চায় তাদের জন্য।
কিছু ছবি দিলাম। আনাড়ী হাতে মুঠোফোনে তোলা, তাই খুব একটা পদের হয়নি।
সীতাকুন্ড ইকোপার্কের মূল ফটক...
পুরো এলাকার ম্যাপ...
ঘোড়ার ডিম (নামে আছে কামে নাই, খুজতে গেলে অস্ত্বিত্ব নাই। )
পুরো এলাকআ ঘুরে শুধুমাত্র ও কেবলমাত্র দুই প্রজাতির বানর দেখেছি, লেজ সহ, আর লেজ ছাড়া। আমি ২য় প্রজাতির।
পাহাড়ের উপর থেকে কিছু দৃশ্য...
পথ এবং ক্লান্তি...
পাহাড়ের কান্না...
এখন গেলে মনে হয় আর পানির নাম নিশানাও পাওয়া যাবেনা।
পরেরবার যাবোই যাবো...
সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ মন্দির যেতে পারলে আরো ভালো লাগতো। কিন্তু গাড়ি ছাড়া হেটে হেটে অতদুর যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। তবে যাবার ইচ্ছে আছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।