কুরআন শরীফের পূর্বতন তাফসীরকারকগণ এই ঊনিশ সংখ্যা সম্পর্কে অনেক সুন্দর সুন্দর
ধারণা করেছিলেন। কেউ বলেছিলেন এই ঊনিশ হচ্ছে দোযখ নিয়ন্ত্রণকারী ঊনিশ জন
ফেরেশতা। [১] এবং অনেকে ইসলামের ঊনিশটি প্রধান স্তম্ভ বলে চিহ্নিত করতে চেয়েছেন। [২]কিন্তু
তাফসির কারক গন এই বলে তাদের কথা শেষ করেছেন যে এই সম্পর্কে আ...ল্লাহ্
তায়ালাই ভাল জানেন। অর্থাৎ তারা ১৯ সংখ্যা দ্বারা কি বোঝানো হয়েছে তা
নিশ্চিতভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেননি।
কারণ ইসলামের নবী এই ঊনিশ সংখ্যা
সম্পর্কে আসল অবস্থা বর্ণনা করেননি। বলা হয়ে থাকে এই ঊনিশ সংখ্যাটির
মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা কুরআন শরীফের আসল রচয়িতা যে তিনি তা প্রকাশ
করেছেন। কেননা যদি মুহাম্মদ নিজে কুরআন রচনা করতেন তাহলে তিনি এই ঊনিশ
সংখ্যা দ্বারা কি বোঝানো হয়েছে তা ব্যাখ্যা করে যেতেন। কুরআন নাযিল
হওয়ার ধারাবাহীকতা থেকে আমরা দেখতে পাই সূরা মুদ্দাসসির এর ৩০ নং
আয়াতটি চতুর্থ বারের সময় মুহাম্মদ এর নিকট নাযিল হয়।
“ইহার উপর আছে উনিশ”
সূরা মুদ্দাসসির এর ৩০ নং আয়াত নাযীল করে জিব্রাইল (আ) কিছুক্ষণ নীরব
থাকেন এবং এই সুরার বাকী ১৪ টি আয়াত নাযিল না করে তিনি চলে যান সেই সুরা
আল-আলাকে, যার ১ম ৫টি আয়াত সর্বপ্রথম নাযিল করা হয়েছিল।
সুরা আল-আলাকে
বাকী ১৪টি আয়াত এই সময় নাযিল করা হয়, তাহলে প্রথমে নাযিল করা সুরাটিতে
আয়াত সংখ্যা হল (৫+১৪=১৯) ।
1. সুরা আল-আলাকের যে ১ম যে ৫টি আয়াত নাযিল করা হয়েছিল গণনায় দেখা যাবে যে তার শব্দ সংখ্যা ১৯।
2. ১৯ টি শব্দের অক্ষর গুলোর যোগফল ৭৬ যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
3. সুরা আল-আলাক কুরআন শরীফের পিছন দিক দিয়ে ১৯ নং সুরা।
3. কুরআন শরীফের মোট সুরা সংখ্যা ১১৪ যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
4. কুরআন শরীফের ১ম বাক্য বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম যাতে মোট অক্ষর সংখ্যা ১৯।
5. "বিসমি" কুরআনে মোট ১৯ বার উল্লেখ করা আছে।
6. পরবর্তি শব্দ "আল্লাহ" উল্লেখ আছে ২৬৮৯ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
7. পরের শব্দ "রাহমান" আছে ৫৭ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
8. পরের শব্দ "রাহীম" আছে মোট ১১৪ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
সংগ্রহীত সবার জন্য- লিমন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।