আমার সম্পর্কে বলার মতো কিছু নেই।
সুস্বাদু ফল স্ট্রবেরি শ্রীমঙ্গলেও চাষ হচ্ছেঃ
অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ রসালো ফল স্ট্রবেরি। পাশ্চাত্যের ফল বলেই এতদিন বলা হত। কিন্তু বাংলাদেশও এ ফল বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা সম্ভব। সুস্বাদু ফলের নাম শুনলেই জিহ্বায় পানি আসে।
দেখতে অনেকটা লিচুর মত হলেও এর আকার, স্বাদ ও প্রকৃতি সম্পূর্ণ আলাদা। এটি এলাজিক এসিড ক্যান্সার প্রতিরোধী। পৌঢ়ত্ব প্রতিরোধসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। চায়ের রাজধানী হিসেবে খ্যাত শ্রীমঙ্গলে বাণিজ্যিকভাবে স্ট্রবেরি চাষ শুরু করা হয়েছে। প্রথম বছরেই স্ট্রবেরি চাষ করে অনেক সুফল পেয়েছেন।
শ্রীমঙ্গল শহর হতে মাত্র কয়েক কিঃমিঃ অদূরে এক নার্সারিতে স্ট্রবেরি চাষ করে মাত্র তিন মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন এক এডভোকেট। তাকে দেখে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে স্ট্রবেরির চাষ শুরু হচ্ছে। শহরের উপকণ্ঠে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। শ্রীমঙ্গলসহ সিলেট অঞ্চলে বেকার নারি পুরুষদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য স্ট্রবেরী চাষে বিশাল পরিকল্পনা গ্রহণ করা যায়। স্ট্রবেরি চাষে অনেক লাভ পত্রিকান্তরে এমন প্রতিবেদন দেখে অনেকে স্ট্রবেরি চাষের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মঞ্জুরুল হক এর উদ্ভাবিত রাবি থ্রি স্ট্রবেরি সংগ্রহ করে চাষ শুরু করা যেতে পারে। স্ট্রবেরি চাষ করতে হলে টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে উৎপাদিত চারা সংগ্রহ করতে হবে। বর্তমানে টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে রাজশাহী ও বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমীতে চারা উৎপাদন করা হয়। স্ট্রবেরি চাষ নিয়ে ব্যাপক চিন্তাভাবনা করছেন অনেকেই। সিলেট অঞ্চলে পাশ্চাত্যের এ ফলের চাহিদা দিন দিন বাড়ঠে।
সরকারি সহযোগিতায় যদি পরিকল্পনা নিয়ে সিলেট অঞ্চলে স্ট্রবেরি চাষ শুরু করা হয় তাহলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে স্ট্রবেরি ফল রাজধানীসহ বিদেশে রফতানি করা সম্ভব বলে সংশ্লিষ্টগণ মনে করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।