অধিক ফলনের আশায় বিএডিসি থেকে বীজ কিনে নোয়াখলীর সয়াবিন চাষীদের এবার সর্বনাশ হয়েছে। বৈরী আবহাওয়া ও নিুমানের বীজের কারণে চারা গজায়নি এমন কৃষকরা এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন। আশায় বুক বেঁধে নতুন করে যারা সয়াবিন চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন তাদেরকে আবার চড়া দামে স্থানীয় বীজ এবং নতুন বীজ কিনতে হচ্ছে।
বিএডিসি কিংবা কৃষি বিভাগ থেকে কেউই কৃষকদের পাশে দাঁড়ায়নি। উপরন্তু বিএডিসি কতৃপ দুষলেন কৃষকের অসচেনতাকে।
ফলে চলতি রবি মওসুমে নোয়াখালী অঞ্চলে সয়াবিনের ল্যমাত্রা অর্জন নিয়ে আশংকা দেখা দিয়েছে।
চলতি রবি মওসুমে নোয়াখালীতে ১০ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে সয়াবিন আবাদের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তন্মধ্যে শুধুমাত্র সদর ও সুবর্নচর উপজেলায়ই রয়েছে ৯ হাজার ৮২০ হেক্টর জমি। মওসুমের শুরুতে আবাদের জন্য বিএডিসি নোয়াখালী অঞ্চলের ডিলারদের মাঝে ৯৮ মেট্রিক টন সয়াবিন বীজ বিতরণ করে। যেসব কৃষক ডিলারদের কাছ থেকে বীজ নিয়ে জমিতে লাগিয়েছেন তাদের সর্বনাশ হয়।
সময় গড়িয়ে গেলেও শতকরা ৮০ ভাগ বীজ গজায়নি। বিপরীত দিকে যেসকল কৃষক নিজেদের কাছে সংরতি স্থানীয় বীজ লাগিয়েছেন তাদের ৮০/৮৫ ভাগ বীজই গজিয়েছে। প্রচন্ড শীত এবং কুয়াশার কারণে বিএডিসির বীজে চারা গজায়নি বলে দাবি করলেও কৃষকরা বলছেন; বীজ সংগ্রহের সময় দূর্ণীতি ও অনিয়মের কারণে নিুমানের বীজ সংগ্রহ করা হয়, ফলে মাশুল গুনতে হয় কৃষকদেরকে। একইভাবে কৃষকদের তোপের মুখে পড়তে হয় বীজ বিক্রেতাদেরও। এনিয়ে বিএডিসির বক্তব্য হচ্ছে; কৃষকরা বীজ না নেয়ার পর সময়মতো না লাগানোর কারণেই এমনটি ঘটেছে।
সুবর্নচরের চরআমান উল্যাহ বাজারের বীজ ব্যবসায়ী বিএডিসি’র ডিলার দিলদার হোসেন জানান...................
বিএডিসির বীজ কিনে সর্বশান্ত কৃষক কবির সরকার, হারাধন চন্দ্র দেবনাথ, সিরাজুল ইসলাম, আজিজ আহম্মেদের মতো শত শত কৃষক এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন। কারণ তাদের জমি খালিই পড়ে থাকতে হবে গোটা মওসুমে। শীত এবং কুয়াশার কারণে চারা না গজানোর বিষয়টি তারা মানতে রাজী নয়। তাদের দাবি তাহলেতো স্থানীয় বীজও গজাতো না। আস্থা থাকায় বিএডিসি’র বীজ কিনেছি কিন্তু এত বড় একটা তির পরও বিএডিসি কিংবা কৃষি বিভাগের কাউকেই তারা কাছে পাননি।
এদিকে কৃষকদের এমন তি হলেও ভ্রুপে নেই বিএডিসির।
বিএডিসি নোয়াখালীর উপ-পরিচালক (বিপনন) আনন্দ চন্দ্র দাস চারা না গজানোর কথা স্বীকার করলেও দুষলে কৃষকদের। তাঁর দাবি সারাদেশে বিভিন্ন বীজাগার থেকে সয়াবিন সংগ্রহ করে তিনি ডিলারদের মাঝে সরবরাহ করেছেন। বৈরী আবহাওয়া বিশেষ করে ঘন কুয়াশা কারণে এমন হতে পারে।
#
http://www.youtube.com/watch?v=FjCYsYQBY9s
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।