রোববার দিনে ও শনিবার রাতে ২১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ফখরুদ্দিন মানিক ও কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আতিকুর রহমানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনীতে রোববার আধাবেলা হরতাল ডেকেছে সংগঠনটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহরের রশিদ কলোনী এলাকায় পিকেটাররা সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা ভাংচুর করেছে।
এ সময় পিকেটারদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে সিএনজি চালক আহত হন।
পরে পুলিশের ধাওয়া দিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে।
এছাড়া শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের সামনের সড়কে পিকেটাররা টহল পুলিশের একটি পিকআপভ্যান লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করে।
এতে পিকআপভ্যানের সামনের গ্লাস ভেঙে যায়।
এরপর ওই এলাকা থেকে শিবিরকর্মী বেলায়েত হোসেন, সাইফুল ইসলাম ও কাউসার হোসেনকে আটক করে বলে পুলিশ জানায়।
সুধারাম থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, আটক তিন শিবিরকর্মীর বিরুদ্ধে জননিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সেনবাগের পত্রিকা এজেন্ট জাকির হোসেন জানান, পিকেটাররা ভোর ৬টার দিকে ফেনী-নোয়াখালী সড়কের সেবারহাটে চট্ট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা পত্রিকাবাহী একটি গাড়ির গ্লাস ভাংচুর করেছে।
এ সময় তারা ঢাকা থেকে অন্যান্য পত্রিকাবাহী আরো একটি গাড়ি আটকে রাখে। তবে, পরে তা ছেড়ে দেয়।
হরতালে দূরপাল্লার বাস-ট্রাক টার্মিনাল ছেড়ে না গেলেও নোয়াখালী-লাকসাম ট্রেন এবং জেলা সদরের সঙ্গে হাতিয়ার সি-ট্রাক চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
সকালে জেলার বাণিজ্যিক শহর চৌমুহনীতে হরতালের সমর্থনে মিছিল করেছে শিবিরকর্মীরা।
পুলিশ সুপার আনিসুর রহামান বলেন, হরতালে নাশকতার আশঙ্কায় বিভিন্ন স্থান থেকে শনিবার রাত থেকে জামায়াত-শিবিরের ১৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।