প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।
(১)
আমাদের ছোট গাড়ি
চলে বাঁকে বাঁকে,
শহরেতে সারাদিন
জ্যাম লেগে থাকে।
(২)
ছিপখান তিনদাঁড়
তিন কাঠমোল্লা
ঘুষখোর, ভোটচোর,
সরকারী আমলা।
(৩)
পুলিশ পুলিশ ডাক পাড়ি,
পুলিশ ঘুমায় তার বাড়ি।
আয়রে পুলিশ পথে আয়,
সন্ত্রাসী সব লুটে খায়।
(৪)
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি
সারা দিন আমি যেন ঘুষ খেয়ে চলি,
অফিসের দরকারী ফাইল যত বাকি
ড্রয়ারেতে সব ফাইল তালা মেরে রাখি।
(৫)
ফুটপাথ ছিল যাহা (ব্যাকরণ মানি না),
হয়ে গেল বাজার সে কেমনে তা জানি না।
তরকারীওয়ালা কহে, "বাহবা কি ফূর্তি!
অতি খাসা এ বাজার থাকে ক্রেতা ভরতি। "
(৬)
হাসপাতালে রোগীর মাথায়
হাত উঠেছে ঐ,
ফার্মেসীতে ভেজাল ওষুধ
ওষুধ পাবে কই?
(৭)
আর্মী পুলিশ নাই কারো হুশ
সবাই দেখি খায় শুধু ঘুষ
বলবো কী আর র্যাবের কথা
নাইকো তারও হাত পা মাথা৷
(৮)
আয়রে আয় টিয়ে
স্লোগান মিছিল নিয়ে,
ঢিল মেরেছে গাড়ির কাঁচে
তাই না দেখে টোকাই নাচে৷
(৯)
যায় যায় কত মামা
ঘুষ দিয়ে যায়,
আটকানো ফাইলের
হুঁশ দিয়ে যায়৷
(১০)
আয় চোরেরা, ঘুষখোরেরা
নির্বাচনে যাই,
এম পি হয়ে চুরির সুযোগ
ছাড়তে কভূ নাই।
(১১)
আইকম বাইকম,
সন্ত্রাস চাই কম৷
প্রয়োজনে পুলিশের
সার্ভিস পাই কম৷
(১২)
শিবঠাকুরের বাংলাদেশে
চিকিৎসকরা সর্বনেশে,
মাথার ব্যাথা হলে পরে
পায়ের ব্যাথার পথ্য করে৷
(১৩)
রাজনীতিবিদ টিম
তাদের মুখে মারো ডিম৷
তারা সবাই নীতিহীন,
তারা রাজনীতিবিদ টিম৷
(১৪)
ঐ দেখা যায় সংসদ
ঐ নেতাদের গাঁ,
ঐ খানেতে ঝগড়া করে
রাজনীতিবিদরা৷
(১৫)
বোল্ড হয়ো না বোল্ড হয়ো না
ছক্কা মারো জোরে,
ক্রিকেট খেলায় ছক্কা মারলে
রানরেটটা বাড়ে৷
(১৬)
আমপাতা জোড়া জোড়া
চোর ডাকাতে দেশটা ভরা,
যাচ্ছে না তো কাউকে ধরা
র্যাবের মাথায় গোবর ভরা৷
(১৭)
'ধরাধরি' জিনিসটা
অতি চেনা আমাদের,
চাকুরীটা পেতে হলে
ধরা চাই মামাদের৷
(১৮)
হরতাল হরদম
মিছিলেতে মারে বোম,
রাজনীতি করে যারা
তারা বড় বেশরম৷
(১৯)
যখন যেদিক যেইখানে যাই
নিরাপত্তা কোথাও যে নাই,
গলি সড়ক সবখানে ভাই
সকাল বিকাল হয় ছিনতাই৷
(২০)
বাবুই পাখিরে ডাকি কহিছে চড়াই,
শুনে রাখো এত বেশী কোর না বড়াই৷
কলকাঠি আছে যত আমি যে নড়াই,
যারে খুশী যেথা খুশী সেখানে সরাই৷
(২১)
আমি দেব সকল কাজে ফাঁকি
সরকারি ঐ অফিসগুলোয় কাজ করে কেউ নাকি?
অন্যায় আর দুর্নীতিতে থাকব আমি লেগে,
সরকারী লোক বড়ই পাজি বলবে সবাই রেগে৷
(২২)
সাফ গেমসে পদক পাওয়া
নয়তো ভীষণ হার্ড,
তিনজনেরই কম্পিটিশনে
একজন হয় থার্ড।
(২৩)
আমরা ছাত্র আমরা বল
আমরা ছাত্রলীগ।
আমরা সন্ত্রাস আর হানাহানি
ছড়াই চারিদিক।
(২৪)
কিছু কিছু বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের
মানুষ সকল,
সরকারি সব জমিগুলো নিয়ম ছাড়াই
করছে দখল।
(২৫)
বাবুরাম সাপুড়ে
চুপিসারে দুপুরে,
জাল দিয়ে মাছ ধরে
হারুদের পুকুরে।
(২৬)
বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ
কেউ তো কারো ধার না ধারে।
অন্য লোকে যে যাই বলুক,
নিজেই নিজের তারিফ করে।
(২৭)
কিশোর, তরুণ, যুবক, বৃদ্ধ
এই ভয়টি সবার -
ভুলেও যেন খেতে না হয়
ভেজাল দেয়া খাবার।
(২৮)
ছোট মামা রেগেমেগে
বলে বাবা-মাকে,
"চাকুরিটা পেতে হলে,
ঘুষ দেয়া লাগে। "
(২৯)
পান্তা খাচ্ছে মানুষ এখন
পোলাও খাওয়া ছেড়ে,
বাজারেতে দ্রব্যমূল্য যাচ্ছে
যে রোজ বেড়ে।
(৩০)
একটি উপায় হলো
শিশুটিকে রক্ষার,
শিশুটিকে টিকা দেয়া
হাম আর যক্ষ্মার।
(৩১)
ঘুষ খেও না, ঘুষ দিও না,
দূর্নীতিটা ঠেকাও।
আমরা তো নই দূর্নীতিবাজ
বিশ্বটাকে দেখাও।
(৩২)
ভুত বলে কিছু নেই
দিনে সেতো মনে হয়,
রাত হলে আঁধারেতে
কেন জানি লাগে ভয়।
(৩৩)
যাত্রীরা ভাবছে কাঁদবে
না হাসবে,
ছয়টার ট্রেন নাকি
বারোটায় আসবে।
(৩৪)
কিছু দলের কিছু নেতার
নেইতো কোনো বোধ,
যখন তখন করে তারা
সড়ক অবরোধ।
(৩৫)
টেলিফোনে প্রতিদিন
কত কথা হয়।
ভৌতিক বিল দেখে
মনে লাগে ভয়।
(৩৬)
কাঁচা কলা দিয়ে কেউ
তরকারী খায়রে।
'কাঁচকলা' কেউ কভূ খেতে
নাহি চায়রে।
(৩৭)
সরকারী সব কাজে কিছু তো
ঝামেলা রয়।
এগারো মাসের কাজ, বাইশ
মাসে শেষ হয়।
(৩৮)
"'হস্তীমূর্খ তুই'" রেগে গিয়ে
বলে কাকা,
ভাতিজা হাসিয়া কয়, "মরা
হাতি লাখ টাকা। "
(৩৯)
রাজনীতিতে সম্প্রীতি নেই
সবাই জানে ভাই।
সকল দলের মাঝে কেবল
ঝগড়া সর্বদাই।
(৪০)
খবর পাঠক অশুভ সব
খবর দেয়ার আগে,
'শুভ সন্ধ্যা' বলে যদি
রাগটা কেমন লাগে?
(৪১)
ইটের ভাটা হচ্ছে কত অনুমতি ছাড়া,
ভাটার মালিক মানছে না তো কোনো নিয়মধারা।
এসব ভাটার কালো ধোঁয়ার নেইতো কোনো শেষ,
ভাটার কালো ধোঁয়া দূষণ করছে পরিবেশ।
(৪২)
কিছু বাসে উঠার আগে হয় না
মোটেও যা বিশ্বাস,
ধূলা-বালি, ঝাঁকুনিতে
সব যাত্রীর নাভিশ্বাস।
(৪৩)
চাচা বলেন, "দোয়া পড়ে
বুকের মাঝে ফুঁ দাও।
এনজিও'র এক সংস্থা সবার
টাকা নিয়ে উধাও। "
(৪৪)
নতুন ব্রীজ আর নতুন সড়ক যতই
বানাক সরকার,
দারিদ্রতার নিরসনই সবার
আগে দরকার।
(৪৫)
খেলায় যে দল বেশি ভালো, সেই
দলটি পায় যে কাপ।
নির্বাচনে ঠিক করা হয় কোন
দলটি কম খারাপ।
(৪৬)
দোকান মালিক বই বিক্রির নতুন
পদক্ষেপ নিচ্ছে,
'মিষ্টি প্রেমের পদ্য' কিনলে মিষ্টি
সাথে ফ্রী দিচ্ছে।
(৪৭)
ঝড় বন্যার পরে যারা থাকেন
ত্রাণের আশায়,
ত্রাণতো তারা পান না, সেসব
যায় নেতাদের বাসায়।
(৪৮)
ভীষণ রেগে বললো মামা, "আজকে
আমার কপাল ফাটা।
বাজার থেকে বাসায় ফিরে দেখি
আমার পকেট কাটা। "
(৪৯)
অনেক নেতা পেতেন আগে
ভালো কাজের পুরষ্কার।
অকাজ করার জন্যে এখন
নেতারা হন বহিষ্কার।
(৫০)
"জিয়া বড় ভালো," বলে
সরকারী আমলা,
হাসিনা গদিতে গেলে
বলে, "জয়বাংলা। "
ফ্রি ছড়া
বেশি করে ছড়া পড়ে
বেশি মজা নাও,
পঞ্চাশটা ছড়ার সাথে
এই ছড়াটা ফাও।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।