https://www.facebook.com/tanvir.mh
……বলা নেই কওয়া নেই হুট করেই বৃষ্টি নেমে এলো। রাত ৩ টার দিকে আয়,কিন্তু না এই সুন্দর বিকালেই আসতে হল। ভিজে ভিজে বাসার আসার মুড নেই। কোথাও অপেক্ষা করার ও মুড নেই। বৃষ্টির জন্য কেনই বা অপেক্ষা করবো?
মুখের কাছে সিগারেটে নিয়ে এসে টান দিতেই বুঝা গেল যে না আজ আর বৃষ্টির সাথে পারা যাবেনা।
অন্তত সিগারেটের সুস্থতার জন্য হলেও কোথাও একটু থেমে থাকা উচিত। ছোট একটি মার্কেটের সামনে দাঁড়ালাম। অনেক মানুষ দাড়িয়ে আছে যাদের শরীরে একটু হলেও বৃষ্টির ছোঁয়া লেগে আছে। কারও চুলে একটু কারও আবার জামায় একটু। বৃষ্টি ছুঁয়েছেই সবাইকে।
তবু সবার চোখে মুখে আতংক। কখন যাবো বাসায়? কখন গরম বিছানায় শরীর ছেঁড়ে দিয়ে আরাম করে ঘুম দিবো?
এসব ভাবতে ভাবতেই হুট করে পেছন থেকে এক মেয়ে নক করে জানতে চাইল ছাতা আছে কিনা আমার কাছে। চশমার ফাক দিয়ে তাকে চেনা যাচ্ছেনা। চশমাটা খুলে তার দিকে তাকালাম। কে যেন মেয়েটা? বাংলাভিশন,এনটিভি,বৈশাখী!! কোথায় দেখেছি তাকে?
এসব ভাবতে ভাবতেই মেয়েটি জোরে চেঁচিয়ে বলল
-‘ভাইয়া আমি “শারলী”,আপনার পাশের দুই বাসা পরে থাকি।
ঐ যে একদিন আপনার পেপার থেকে নকশা লুকিয়ে রেখেছিলাম।
ও আচ্ছা মনে পরেছে বলে চুপ থেকে গেলাম। আসলে তাকে মনে পড়তে সময় লাগবে। ইদানীং মাথাটা একটু এলোমেলো হয়ে গেছে। অনেকটা আমার ল্যাপটপের ভাইরাস যুক্ত সি ড্রাইভের মত।
-ছাতা নেই। আমার কখনও ছাতা ছিলও না। চল একটা কিনে ফেলি।
-থাক ভাইয়া কিনতে হবেনা। বৃষ্টি কমলেই চলে যাবো।
-আচ্ছা ছাতার দাম কত? অনেক দাম?
-আপনি ছাতার দামও জানেন না? চশমা পরা ছেলেদের আমার অনেক জ্ঞানী মনে হয়।
-তো তুমি চশমা নিয়ে নাও।
-নাহ চশমা পরা মেয়েরা জানি কেমন হয়। তাছাড়া সুন্দর চোখে চশমা পড়তে নেই।
-তোমার চোখ সুন্দর?
-অবশ্যই।
কথা বলতে বলতে বুঝা গেল এই মেয়ের সাথে আর কিছুক্ষণ কথা বললে আমার ৫ বছরের স্মৃতি মাথা থেকে চলে যাবে। কারণ ও একটার পর একটা জাগতিক জীবনের আমার ব্রেনে পুশ করতে চাইছে। যেটা আমার জন্য খুবই পেইনফুল।
মেয়েটি কিছুক্ষণ চুপ করে দাড়িয়ে আছে। তার সাথে এখন আর কথা বলতে ইচ্ছে হচ্ছেনা।
আসলে ওর চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝা গেল ওর চোখ এতটা সুন্দর না যতটা ও ভাবে। ওর সব থেকে সুন্দর হল ওর ঠোঁট জোড়া। কিন্তু মেয়েরা ঠোঁটের প্রশংসা কমই করে। হয়তো ভাবে ঠোঁটের সৌন্দর্য নিয়ে কথা বললে কেউ জোর করে চুমু দিয়ে দিবে।
-চলুন রিকশা নিয়ে চলে যাই।
-আচ্ছা চলুন।
মেয়েটি রিকশাকে বলল নিকেতন যাবে। আচ্ছা আমিতো নিকেতন থাকিনা। তবু রিকশায় উঠলাম। জানিনা কেন যাচ্ছি।
-আমরা নিকেতন যাচ্ছি কেন?
-আপনি নিকেতন ৩ নাম্বার ব্লকে থাকেন তা কি ভুলে গেছেন?
-তুমি কিভাবে জান?
-বা রে আমি জানবো না!! প্রতিদিন বিকালে আপনাকে একা বসে থাকতে দেখি ছোট জলপাই গাছটার নিচে।
-মেয়েটির কথা শুনে মনে হচ্ছে সে ঠিকই বলছে। তাকে বিশ্বাস করা যায়………
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।