আস সালাম - আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক
তোমার সাথে দেখা না হলেই বুঝি ভাল হত।
কিন্তু হল। আমিই উৎসাহ নিয়ে বললাম, "এদিকে এসেছো আর দেখা হবে না, তাও কি হয়?"
"না, হয় না। আসছি তোমার বাসায়। " তুমি জানালে।
আমি ছুটলাম রান্নাঘরে। যদিও ইদানিং সে জায়গাটা বিষময় মনে হয়। আর কত? একটা জীবনের কতটা অংশ রান্নাঘরে থাকা যায়!!! শর্টকাটের উপর দিয়ে কিছু নাস্তা তৈরী করলাম।
তুমি এলে।
তোমাকে দেখে খুশী হলাম।
আড্ডা চলছিল জমজমাট। যদিও তোমার অস্থিরতা আমার চোখকে ফাকি দেয় নি। তুমি বেশ অদ্ভূত আচরন করছিলে। অসংলগ্ন কথা বার্তা, বার বার অন্য মনষ্ক হয়ে যাওয়া। এই সবই কারো নজর এড়াল না।
বলি বলি করে অবশেষে প্রশ্নটা করলাম, "আরিফ কি আবার বিয়ে করেছে?"
"হ্যা। গত সপ্তাহে। "
আমি বুঝলাম তোমার অস্থিরতার পেছনের কারন। হাজারো আইনী ঝামেলা মিটিয়ে যে মানুষটিকে ফেলে এসেছো, তার অদৃশ্য বাধন থেকে তুমি আসলে পুরো মুক্ত নও। অথচ, এক সময় দাবী করেছিলে ওটাই হবে তোমার সবচেয়ে বড় মুক্তি।
ভোলা কঠিন। স্কুলে পড়ার সময় থেকে পরিবারের চোখ রাংগানি অগ্রাহ্য করে বছরের পর বছর ধরে যে মানুষটিকে নিয়ে বিভোর হয়ে থাকতে, যে মানুষটিকে কাছে পেয়ে একসময় তুমি নিজেকে সবচেয়ে সৌভাগ্যবতী ভেবেছিলে - সে মানুষটি আজ আর তোমার কেউ নয়। কিন্তু কেউ না হলেও যে দাগ সে রেখে গেছে, তা কি তুমি মুছতে পারবে?
ডিভোর্সের আগেও সবাই এই প্রশ্নটা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে করেছে। তখন তোমাকে কেউ টলাতে পারেনি। আজ কেন তবে তুমি লতার মত নুয়ে পড়ছ? তোমার হৃদয়ের রক্তক্ষরন যে আমাদের সবাইকে কাদায়।
ভুলে যাও। যত কঠিনই হোক।
তাতেই তোমার মুক্তি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।