জয়পুরহাট, ফেব্র"য়ারি ০৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- শিক্ষা ঋণ দিয়ে চলছিল তার লেখাপড়ার খরচ। স্থানীয় একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ধার নেওয়া ৭৭ হাজার টাকার এখনো ১০ হাজার টাকা তোলাই হয়নি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত শেষবর্ষের শিক্ষার্থী ফারুক হোসেনের ঋণ নিয়ে বোনা জীবন গড়ার স্বপ্ন দপ করেই নিভে গেছে। সোমবার গভীর রাতে ছাত্রশিবির-ছাত্রলীগ সংঘর্ষের 'সর্বনাশ' লাশ করে দিয়ে গেছে বর্গাচাষী ফজলুর রহমানের ২৩ বছর বয়সি একমাত্র ছেলে ফারুককে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংঘাতে দিন মজুরের ছেলে মেধাবী ছাত্র আবু বকর নিহত হওয়ার সপ্তাহ ঘুরতেই রাজশাহীতে আরেক মেধাবীর প্রাণ ঝরলো অকালে।
হত দরিদ্র পাঁচ সদস্যের এই পরিবারটির একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ফারুকের বাবা ফজলুর রহমান। তিন সন্তানের মধ্যে ফারুকই একমাত্র ছেলে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, ফারুকদের ভিটে-মাটিসহ জমি রয়েছে মাত্র দেড় বিঘা। ছেলের পড়াশুনার খরচ চালাতে শেষ সম্বল আবাদি জমি বন্ধক রেখে এখন নিঃস্ব প্রায় ফজলু।
ছেলের মৃত্যুর খবর যেন কিছুতেই তাদের বিশ্বাস হচ্ছে না।
আগন্তুককে দেখলেই ফজলুর সহজ সরল ভাষায় জানতে চাইছেন- "আমার ফারুক কি সত্যই মারা গেছে?"
মা হাসনা খাতুনের আর্তনাদ, "হামার ছবি তুলি কি হবে, তোমরা হামার বাবাক আনি দেও"।
ছোট বোন টপি ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে শ্বশুরবাড়ি থেকে ছুটে এসেছেন বাবার বাড়ি।
তিনি জানান, দু'দিন আগেও ভাইয়ের সঙ্গে মোবাইলে তার কথা হয়েছিল।
"ভাই আমাকে বলেছিল, আর মাত্র দুই বছর পর আমি বড় অফিসার হবো, তখন আর তোদের কোন কষ্ট থাকবে না", বিলাপ করছিলেন টপি।
ফারুক ষষ্ঠ শ্রেনী থেকে স্কুলে প্রতি বছর প্রথম হতেন।
এসএসসি ও এইচএসসিতেও জিপিএ +৫ পেয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও সেই ধারাবাহিকতা রেখেছেন অটুট। �াতক (সম্মান)-এ প্রথম বিভাগ পেয়েই উত্তীর্ণ হন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।