আমি একটা জিনিষ
এস এ গেমসে ক্রিকেটের পর ফুটবলের সোনা জিতল বাংলাদশ। ফাইনালে আফগানিস্থানকে বিদ্ধস্ত করে। স্কোরলাইন বাংলাদেশ ৪||আফগানিস্থান ০। বাংলাদেশ যদি ৮-০ গোলে জিতত তবুও অবাক হতাম না আমি। দারুন এক জয় উপহার দিল বাংলাদেশ।
প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। খেলা শুরুর ১৮মিনিটের মাথায় ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। ফ্রি কিক নেবার জন্য তিন জন প্লেয়ার দাঁড়িয়ে ছিল। রেফারির বাঁশির পর প্রথম প্লেয়ার দৌড় শুরু করে বল অতিক্রম করে চলে যায়। ২য় প্লেয়ার একই কার করে।
তৃতীয় প্লেয়ারটি ছিলেন ওয়ালি ফয়সাল। নিখুঁত একটা বাঁক খায়ানো শট নেন তিনি। বল চলে যায় মিশুর মাথার উপর। সহজে বাকিকাজটুকো সারেন মিশু। মিশুর মাথা বল ছোঁয়া মাত্র বল জালে আছরে পরে।
এরপর আরেকটি সুযোগ পায় বাংলাদেশ। সম্ভবত মামুন মাইনাস করেন। মাইনাসের লাইনে দাঁড়ানো প্রথম প্লেয়ার শেষ মূহুর্তে বসে পরেন। এনামুল ব্যাক হেড করে বল দিতে চেয়েছিলেন পেছনে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা প্লেয়ারটিকে। প্লেয়ারটি বল পাবার আগে আফগানিস্থানের এক ডিফেন্ডার কোন মতে হেড করে বলটি হাফ ক্লিয়ার করেন।
বল ক্লিয়ার করার মূহুর্তে আমিনুলের ফ্লাইং কিক একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। খেলার ৩২ মিনিটে এই আমিনুল গোল করেন। এবার গোলকিপার চেঞ্জ করে আফগানিস্থান। বদলি গোলকিপার একটা মাইনাস করা বল ধরতে গিয়ে ফ্লাইট মিস করেন। গোলপোস্টের সামনে ফাঁকায় দাঁড়ানো এমিলির হেড মাটিতে ড্রপ খেয়ে গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়।
বলটি গোলমুখে আস্তে করে মারলেও গোল হয়ে যেত। খেলার ৬৯ মিনিটে আব্দুল বাতেন তৃতীয় গোলটি করেন। খেলার শেষ মুহূর্তে বদলি খেলোয়ার সবুজ আফগানিস্তানের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকেন। সার্বিয়ান কোচ জজরজেভিচ বাংলাদেশ দলটিকে আসধারন এক দলে পরিনত করেছেন। সাংবাদিকদের সংগে কথা বলতেন না কোচ।
শুধু বলতেন "নো কমেন্ট"। আর বলতেন "টুর্নামেন্ট শেষ হলে কথা বলব"। আসলে কাজ করতে পারলে কথা খরচ করা লাগে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।