আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেবলই হতাশা..



আজ এক ছাত্র মরেই গেল। মারামারি চলছে তো চলছেই। মাঝে মাঝে সন্দেহ হয়, ঢাকা ভার্সিটি বোধহয় সাধারন ছাত্রদের জন্য না। এখানে পড়বে শুধু 'অসাধারণ' কিছু ছাত্র, যাদের প্রতিভা বহুমুখী। যারাই একমাত্র হতে পারে 'পলিটিক্যাল'।

প্রতিদিন ক্লাসে যাই অনিশ্চয়তা নিয়ে। আজ আহত না হয়েই ফিরতে পারব তো? কি অদ্ভুত ব্যাপার! আমি পড়তে যাচ্ছি যেখানে, সেখানে আমার জীবন বিপন্ন হবার শংকা থাকবে কেন? যে ছাত্রটি মরে গেল, আজ তার পক্ষে হয়ে কোন পক্ষকেই মিছিল করতে দেখিনি। অকর্ম্মার ধাড়ি ফুলিশ গুলো সারাদিন গাড়িতে বসে চা-সিগারেট খায় আর মাঝে মাঝে 'অ্যাকশন' নেয় নিজেদের 'যোগ্যতা' প্রমাণের জন্য। তোরা বেটা লীগকে থামাতে পারবিনা তো সাধারণ ছাত্রদের উপর চোটপাট দেখাতে যাস কেন? ইতিহাস পড়ে ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতাম, আমি বড় নেতা হয়েছি, মুজিবের মত তর্জনী তুলে বক্তৃতা দিচ্ছি। হাহ..কি ভাবি আর কি হয়।

আজ এসবের কথা মনে পরলেও হাসি পায়। এইসব মাথানীচু, ক্ষমতালোভী কয়েকটা লোকের পেছনে বৃথা দৌড়ে অামার অমূল্য ছাত্রজীবন নষ্ট করার কোন ইচ্ছা নেই। এভাবে আর কতদিন? আজকাল 'প্রাচ্যের অক্সফোর্ড' বললে আর গর্ববোধ হয়না। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের ভাগ করা হয় 'পলিটিক্যাল' এবং 'নন-পলিটিক্যাল' সেখানে গর্বের কিছু নেইও। এভাবেই বোধহয় চলবে।

'ছাত্ররাজনীতি' নামের বিষফোড়া ভার্সিটি গুলোকে গিলে ফেলবে। বছর বছর একপাল 'পলিটিক্যাল' গ্র্যাজুয়েট বের হবে। আর হতাশা কেবল বাড়বেই, কমবে না..

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।