সমাজের প্রয়োজনকে ঘিরে যার জীবন আবর্তিত সেই তো প্রকৃত মানুষ
তাঁরা চাকরিপ্রার্থী। তাই তাঁরা নিয়োগ পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় পত্রিকার খবর অনুযায়ী তাঁরা যে উপায় অবলম্বন করেছেন তা প্রশ্নাতীতভাবে অসৎ।
তাঁরা যে পেশার জন্য নিয়োগ পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছেন, উন্নত বিশ্বে ওই পেশাকে শ্রেষ্ঠ পেশা হিসাবে গণ্য করা হয়ে থাকে। পেশাটা হচ্ছে মানুষ গড়ার পেশা।
যদিও তৃতীয় বিশ্বে পেশা আর জীবিকাকে আলাদা করে দেখার তেমন প্রবণতা নেই। তবু মানুষ গড়ার পেশাটাকে কেবলই জীবিকার উপায় মাত্র ভাবলে চলবে না। এর সঙ্গে আদর্শ, সততা, নৈতিকতা ইত্যাদি অন্যান্য জীবিকার তুলনায় বেশি মাত্রায় জড়িত।
সুতরাং, যাঁরা জীবিকার জন্য যেনতেন প্রকারে একটা চাকরি চান, তাঁরা এই পেশার মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার পরিবর্তে ভূলুণ্ঠিতই করে বসবেন। কারণ, এই মহান পেশায় ফাঁকতালে ঢুকে পড়া মানুষ গড়ার তথাকথিত কারিগরদের হাত দিয়ে প্রখর নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন ভবিষ্যৎ নাগরিক না বেরিয়ে কেবল সনদধারী তথাকথিত তারকাই বেরুতে থাকবে।
বর্তমান সরকার ঘোষিত ভিশন ২০২১-এর আলোকে সরকারের শিক্ষা-সংস্কার সংক্রান্ত চলমান প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিবর্গের উচিত শিক্ষকতা পেশার এই দিকটি ভেবে দেখা। কারণ, এর প্রভাব সুদূর প্রসারী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।