রাতের পাতায় লিখি কলমের ঘুম
১
এসো নিশি, এসো রাত্রির নীল ধারা
এখানে অবনত ফুল, এখানে স্নিগ্ধ অনল
২
দু'একটা প্রজাপতি মরে গেলে হ্যালোজেন রাতে নামে ফরিঙের ধুম
নিশিঘোরভোরে প্রজাপতির ডানায় খুঁজো প্রাচীন অক্ষর
পাঠ করো নিশি, পাঠ করো ভোর
৩
তাঁর রক্তে গাঢ়ো হলে হাতের রুমাল
বাঁশপাতা তির তির বিষণ্ণকাল:
নিশিনিশি শূণ্য অবয়ব এঁকে চলে ভেতরের কাঁচঘর
কাঁচঘরে জমা থাকে অশ্রু, সকাল।
৪
অশ্রু নামে আমার কেউ ছিল
কেউ ছিলো অশ্রুর ধারা
চলে যাওয়া ট্রেনের দিকে তাকিয়ে উদাস হতে
শিখিয়েছিল সে, সে অশ্রু- প্রিয় দুচোখের তারা।
৫
কোন কোন রাতে জেগে থেকে হাওয়া গুনি;
দেশলাইবারুদে পোড়াই নেশাতুর ঘ্রাণ-
চুম্বক চুম্বনে আড়াল করি শ্বেতপথআবরণ;
ধুলো ওড়ে ধুলোর পথে-ধুলো ধুলোঘর।
৬
পুরনো আস্তিনে লেগে আছে ঘামের জনন
কোহিনূর পাংশু গোলাপে শিরা শিরা ঘনকণাজল
আঁধারে তুলে আনি স্রষ্টা আর সৃষ্টি সকল-
৭
মাথা ব্যথা হলে দেখো হাতের রেখা-
হাতের রেখা নদী হয়ে ওঠে
কখনোবা এলোমেলো পথ।
নদীতে ডুবে মরা যায়-
অনিচ্ছার পথে হারানো যায় পৃথিবীর পাপ।
এসো নত হয়ে জল দেখি, দেখি জলের কাঁপন
১
শূন্যকে অবহেলা করা যায় না, আমরা সকলেই শূন্যকে আমাদের ভেতরে রাখি-
কেউ ধারণ করে, কেউ ধারণ করতে পারে না। যারা ধারণ করে তারা হাওয়ায় ওড়ে।
২
এখন এ অসময়ে ফুল হয়ে ফোটে রাত্রি, জননীর ঘুমের পাশে বিকৃত সাহস ঘুমায়
এসো খুন করি অভিশাপ, এসো মুঠোর ভেতর ধারণ করি পাপ , এসো লীন হই হাওয়ার ভাঁজে।
৩
এসো নত হয়ে জল দেখি, দেখি জলের কাঁপন
ওখানে তুমি নেই, ব্যক্তি একই সাথে দুটি স্থান দখল করতে পারে না,
ওখানে হাওয়া ওড়ে, হাওয়াদের ঘর নেই
হাওয়ারা জল খুঁড়ে জলকণাঢেউ শুধু তোলে।
লীন হোক প্রজাপতি রাত
১
সবুজ অনঙ্গ বোধ: সারি সারি কালো ফুল, এসো পেন্সিল সুর বেঁধে তুলো-
২
তোমাদের গাঢ়ো চোখ অশ্রুতে ম্লান, ওখানে কান্না নেই, ওখানে হাসি নেই; ওখানে দাঁড়াতে হয় না চুপ।
৩
হাতের রেখায় লুকিয়ে রাখছি ভুল: ইচ্ছে হলেই খুলে দেখো, সাঁতার কাটো, নদীর মতো ইচ্ছে মতো।
৪
কবি, তোমার পাজামায় লেগে আছে প্রাচীন ধূলো; মুছে ফেলো।
৫
জ্বি, আমি কৃষ্ণ, জ্বি আমিই কৃষ্ণ তরুণ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।